জলসাঘর’ গল্পের মহিম চরিত্রটির পরিচয় দাও।

জলসাঘর’ গল্পের মহিম চরিত্র তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জলসাঘর’ গল্পে মহিম একজন গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বচরিত্র। মহিম ছিল প্রধান চরিত্র বিশ্বম্ভর রায়ের পুরনো সেবক। বিশ্বম্ভর রায় যখন ধীরে ধীরে তার ধন-সম্পদ এবং জমিদারি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও মহিম তার পাশে থেকে বিশ্বস্তভাবে তার সেবা করত। মহিম ছিল বিশ্বম্ভর রায়ের প্রতি অত্যন্ত অনুগত এবং সৎ। গল্পে মহিমের চরিত্রের মাধ্যমে … বিস্তারিত পড়ুন

‘মহেশ’ গল্পের শেষে সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের যে ইঙ্গিত আছে তার স্বরূপ উদঘাটন করো।

‘মহেশ’ গল্পের শেষে সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের যে ইঙ্গিত আছে তার স্বরূপ জগদীশচন্দ্র বসুর ‘মহেশ’ গল্পের শেষে সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তা সমাজের নির্মম বাস্তবতা এবং তার বিপর্যয়কর ফলাফলের প্রতিফলন। গল্পের শেষে মহেশ এবং গফুর দুজনই নির্মম মৃত্যু বরণ করে, যা সমাজের নিষ্ঠুরতা ও সহানুভূতির অভাবকে প্রকট করে তোলে। এই মৃত্যু সমাজের অবক্ষয় এবং মানবিক … বিস্তারিত পড়ুন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পটিকে কোন পর্বের অন্তর্ভুক্ত করা হয়? রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের ক্ষেত্রে এই পর্বের বৈশিষ্ট্য লেখো।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পটিকে কোন পর্বের অন্তর্ভুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পটি তাঁর “কালান্তর পর্ব” (বা “কৃষ্ণকাল”)-এর অন্তর্ভুক্ত। এই পর্বটি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন সংকট এবং জাতীয়-রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটায়। রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো: সমাজের পরিবর্তন এবং বিদ্রোহের সুর: এই পর্বের গল্পগুলোতে রবীন্দ্রনাথ সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি, … বিস্তারিত পড়ুন

বাংলা ছোটগল্প কল্লোল পর্বে এসে যে বাঁক নিয়েছিল, তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

বাংলা ছোটগল্প কল্লোল পর্বে এসে যে বাঁক নিয়েছিল, তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় বাংলা ছোটগল্পে “কল্লোল পর্ব” একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ১৯২০-এর দশকে সাহিত্য জগতে একটি নতুন ধারার সূচনা করে। এই পর্বে বাংলা ছোটগল্পে যে পরিবর্তন এসেছিল, তার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো: নতুন চিন্তাধারা ও প্রতিবাদী মনোভাব: কল্লোল যুগের সাহিত্যিকরা সমাজের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও প্রথাগত … বিস্তারিত পড়ুন

‘তৃতীয় দ্যুতসভা’ গল্পটি কোন মূল গ্রন্থ থেকে নেওয়া? গ্রন্থটি কবে প্রকাশিত হয়? এই গল্পে কোন্ পৌরাণিক বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘তৃতীয় দ্যুতসভা’ গল্পটি তার গ্রন্থ ‘শ্রীকান্ত’ থেকে নেওয়া হয়েছে। ‘শ্রীকান্ত’ গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে। এই গল্পে মহাভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ পৌরাণিক ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে, যা হলো পাণ্ডবদের তৃতীয় দ্যুতক্রীড়া (জুয়া খেলা) এবং দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ। গল্পে মহাভারতের এই বিখ্যাত ঘটনা এবং তার নৈতিক ও সামাজিক পরিণতির উপর আলোকপাত করা হয়েছে।

“বস্তার মুখটা দড়ি জড়িয়ে এঁটে বেঁধে পুকুরের জলের নীচে, পাঁকে গিয়ে শুয়ে রইল।” কার কথা বলা হয়েছে? তার স্বামীর নাম কী? সে কেন এমন করল?

এই উদ্ধৃতিটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের “পুঁই মাচা” গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে যে বস্তার কথা বলা হয়েছে, সেটি মূলত এক নারীর মৃতদেহ, যার নাম গিরিবালা। তার স্বামীর নাম ছিল রামলোচন। গিরিবালা এমন করেছিল (আত্মহত্যা করেছিল) কারণ তার জীবন ছিল অসহনীয় কষ্টে পূর্ণ। তার স্বামী রামলোচন ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও অমানবিক, যে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন … বিস্তারিত পড়ুন

‘জলসাঘর’ গল্প অনুসারে রায়বাড়িতে কয়টি আস্তাবল ছিল? সেখানে যে ঘোড়াটি ছিল তার নাম কি এবং কত বয়স?

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জলসাঘর’ গল্প অনুসারে রায়বাড়িতে দুটি আস্তাবল ছিল। সেখানে যে ঘোড়াটি ছিল, তার নাম তুফান এবং তার বয়স ছিল পঁচিশ বছর।

‘মহেশ’ গল্পে বর্ণিত জমিদারের নাম কী? তিনি কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন?

‘মহেশ’ গল্পে বর্ণিত জমিদারের নাম কী? তিনি কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন? জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা ‘মহেশ’ গল্পে বর্ণিত জমিদারের নাম হরকালী পাঠক। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং নির্দয় প্রকৃতির মানুষ। জমিদার হিসেবে তিনি দয়ামায়াহীন, নির্মম এবং কঠোর ছিলেন। তাঁর আচরণে কখনো মানবিকতা দেখা যায় না। গল্পে দেখা যায়, তিনি তার প্রজা গফুরের মেয়ের মৃত্যুর পরেও মহেশের … বিস্তারিত পড়ুন

‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পের স্ত্রীর নাম কী? গল্পে তার বিবাহিত জীবনের কত বছরের উল্লেখ আছে? সে বাড়ির কত নম্বর বউ ছিল?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পে স্ত্রীর নাম মৃণাল। গল্পে উল্লেখ আছে যে, তার বিবাহিত জীবনের ১৫ বছর কেটে গেছে। এছাড়া, মৃণাল ছিল বাড়ির নবম বউ।

বাংলা ছোটগল্পের উদ্ভব কার হাত ধরে হয়েছিল? তাঁর প্রথম গল্পের নাম কী? উনি মোট কয়টি ছোটগল্প লিখেছেন?

বাংলা ছোটগল্পের সার্থক স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ। তার ‘ঘাটের কথা’ ছোটগল্পটি বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ছোটগল্পের স্বীকৃতি পেয়েছে। বীন্দ্রনাথের “ভিখারিণী” গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প। ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ কবিকাহিনী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৮ মে, ১৮৬১ – ৭ আগস্ট, ১৯৪১) ৯৪টি ছোটোগল্প রচনা করেছিলেন।

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress