তুলনামূলক সমালোচনার রীতি-পদ্ধতি সম্বন্ধে আলোচনা করো।

তুলনামূলক সমালোচনা হলো বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, বিশেষ করে ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির সাহিত্যকর্ম, তাদের মধ্যে মিল ও পার্থক্য বিশ্লেষণ করা। এটি সাহিত্য সমালোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যা সাহিত্যের গভীরতা ও বৈশিষ্ট্য বুঝতে সাহায্য করে। তুলনামূলক সমালোচনার মূল পদ্ধতিগুলি হলো: • বিষয়বস্তু নির্বাচন: প্রথমে, তুলনামূলক সমালোচনার জন্য দুটি বা ততোধিক সাহিত্যকর্ম নির্বাচন করা হয়। এই সাহিত্যকর্মগুলি হতে … বিস্তারিত পড়ুন

আদি মহাকাব্য ও সাহিত্যিক মহাকাব্যের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করো।

আদি মহাকাব্য এবং সাহিত্যিক মহাকাব্যের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো আদি মহাকাব্যগুলি মূলত একটি জাতির দীর্ঘ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে এবং সেগুলি মৌখিক বা লোক traditions-এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়, যেখানে সাহিত্যিক মহাকাব্যগুলি নির্দিষ্ট লেখকের দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে রচিত হয় এবং সাধারণত আদি মহাকাব্যের বিষয়বস্তু বা গঠন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকে। এখানে আদি মহাকাব্য এবং সাহিত্যিক … বিস্তারিত পড়ুন

সামাজিক নাটকের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো উদাহরণসহ।

সামাজিক নাটক হল এমন এক ধরনের নাটক যেখানে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা, মানুষের জীবনযাত্রা, এবং সামাজিক সম্পর্কগুলি আলোচনা করা হয়। এই ধরনের নাটকের মূল বৈশিষ্ট্য হল সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। উদাহরণস্বরূপ, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি নীল চাষের সমস্যা এবং কৃষক-শ্রমিকদের কষ্টের কথা তুলে ধরেছিল। সামাজিক নাটকের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল: … বিস্তারিত পড়ুন

রাজনৈতিক উপন্যাসের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো উদাহরণসহ।

রাজনৈতিক উপন্যাস এমন একটি সাহিত্য যা রাজনৈতিক ঘটনা, ব্যবস্থা এবং তত্ত্বের উপর আলোকপাত করে, এবং সমাজের সমালোচনা বা বিকল্প প্রস্তাব করে। এই উপন্যাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর উপর জোর দেওয়া, যেখানে সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যাগুলো চরিত্র ও ঘটনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। রাজনৈতিক উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য: • রাজনৈতিক ঘটনা ও তত্ত্বের প্রতিফলন: রাজনৈতিক উপন্যাসগুলো প্রায়শই … বিস্তারিত পড়ুন

‘কাব্যং গ্রাহ্যম্ অলংকারাৎ’ বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।

‘কাব্যং গ্রাহ্যম্ অলংকারাৎ’ — এই সংস্কৃত বাক্যটির অর্থ হলো: “কাব্যকে গ্রহণ করতে হবে তার অলংকার (শিল্পগুণ বা অলংকারচর্চা) দেখে নয়, তার সারবস্তুর ভিত্তিতে।”এটি এক ধরনের সাহিত্যিক মুল্যবোধের কথা বলে, যেখানে অলংকার (অলঙ্করণ, চমৎকার শব্দ বা শব্দচাতুর্য) নয়, বরং কাব্যের অভিপ্রায়, ভাব, রস, ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য মুখ্য হয়ে ওঠে। 🔶 ১. অলংকার বনাম কাব্যের সারবস্তু • … বিস্তারিত পড়ুন

ছোটগল্প হিসেবে ‘শাস্তি’ গল্পের সার্থকতা সংক্ষেপে বিচার করো।

“শাস্তি” গল্পের নামকরণের সার্থকতা হলো, এটি গল্পের মূল বিষয়বস্তু এবং শেষ পরিণতিকে ভালোভাবে প্রকাশ করে। গল্পে, চন্দরা নামের একজন নারী, তার স্বামীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে এবং পরে স্বামীর হাতেই নিহত হয়। এই ঘটনাটি একদিকে যেমন চন্দরাকে শাস্তি দেয়, অন্যদিকে, স্বামীর উপর সমাজের চাপ এবং তার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতাও “শাস্তি”র শিকার হয়। এই অর্থে, গল্পের নামকরণটি … বিস্তারিত পড়ুন

আশাপূর্ণা দেবীর ‘ইজ্জত’ গল্প অনুসরণে সুমিত্রা চরিত্রটি চিত্রিত করো

আশাপূর্ণা দেবীর ‘ইজ্জত’ গল্পে সুমিত্রা চরিত্রটি এক প্রতিবাদী নারী হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। বাসন্তীর মেয়ে জয়ীর বিপদগ্রস্ত অবস্থায় সুমিত্রা তাকে আশ্রয় দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তার স্বামী মহীতোষ এতে বাধা দেয়। এই ঘটনায় সুমিত্রার মনে সমাজের প্রতিবাদের সুর জেগে ওঠে. সুমিত্রার চরিত্রটি মূলত নিম্নলিখিত দিকগুলো দিয়ে চিত্রিত হয়েছে: • প্রতিবাদী মানসিকতা: সুমিত্রা সমাজের প্রচলিত ধারণা ও কঠোর … বিস্তারিত পড়ুন

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ‘নিমগাছ’ গল্পটির নামকরণের তাৎপর্য বিচার করো।

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের (যিনি মনোজ বসু নামেও পরিচিত) লেখা ‘নিমগাছ’ গল্পটির নামকরণ কেবল আক্ষরিক নয়, এটি প্রতীকী অর্থে গল্পটির কেন্দ্রীয় ভাব, চরিত্র এবং আবেগের গভীর প্রকাশ ঘটায়। নিমগাছ এখানে শুধু একটি গাছ নয়, বরং একাধিক স্তরে বিশ্লেষণযোগ্য এক প্রতীক, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানবিক সম্পর্ক, শৈশব স্মৃতি, গ্রামজীবনের নৈসর্গিকতা এবং সংস্কৃতির টানাপোড়েন। এই প্রেক্ষিতে গল্পটির নামকরণের … বিস্তারিত পড়ুন

প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘শুধু কেরাণী’ গল্পে কেরাণী জীবনের যে করুণ-অসহায়তার ছবি ফুটে উঠেছে তার স্বরূপ উদঘাটন করো।

প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘শুধু কেরাণী’ একটি অনবদ্য ছোটগল্প, যেখানে মধ্যবিত্ত কেরাণী জীবনের অসহায়তা, করুণ বাস্তবতা এবং সামাজিক বঞ্চনার মর্মস্পর্শী চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। এই গল্পে লেখক একদিকে যেমন কেরাণীদের একঘেয়ে ও নিরানন্দ জীবনের চিত্র এঁকেছেন, তেমনি তুলে ধরেছেন তাদের আত্মমর্যাদা, সীমাবদ্ধ প্রতিবাদ, এবং মানবিক অস্তিত্ব রক্ষার নিরন্তর সংগ্রাম। নিচে বিশ্লেষণ করে ধাপে ধাপে গল্পটির মূল ভাব ও … বিস্তারিত পড়ুন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অতিথি’ গল্প অনুসরণে তারাপদ চরিত্রটির পরিচয় দাও।

‘অতিথি’ গল্পের তারাপদ চরিত্র রবীন্দ্রনাথ সৃষ্ট ‘অতিথি’ গল্পের তারাপদ চরিত্রটি বাংলা সাহিত্যে একটি অবিস্মরণীয় চরিত্র। রবীন্দ্রনাথ নানা মাত্রায় চরিত্রটিকে জীবন্ত করেছেন, সম্পৃক্ত নানাবিধ জীবন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে। তারাপদ চরিত্রে রবীন্দ্রনাথ যে বৈশিষ্ট্য সম্পৃক্ত করেছেন সেগুলি এমনভাবে সাজানো যেতে পারে- ১. তারাপদ সমস্ত প্রকার মানব বন্ধনের বিপ্রতীপ মেরুর সৃষ্টি। কোনোপ্রকার মানব বন্ধনকে গ্রাহ্য করে না সে। ২. … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress