B.A 6TH SEM DSE1/2-P2-POLITICAL SCIENCE

: ভারতে স্থানীয় স্বশাসন বলতে সেই শাসনব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে স্থানীয় সংস্থা বা পৌরসভার তাদের নিজ নিজ এলাকাগুলি পরিচালনা করার ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নীতির উপর ভিত্তি করে, যেখানে নির্দিষ্ট প্রশাসনিক, আইন প্রণয়ন এবং আর্থিক দায়িত্বগুলি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলি থেকে স্থানীয় স্তরে স্থানান্তরিত হয়। ভারতে স্থানীয় স্বসরকারের ধারণাটি বিকেন্দ্রীকরণ নীতির উপর ভিত্তি … বিস্তারিত পড়ুন

আয়ের প্রধান উৎস ছিল পথ, সেতু, খেয়াঘাট, ডাকবাংলো, খোঁয়াড় প্রভৃতি থেকে প্রাপ্ত কর। সরকারি অনুদানও বোর্ডগুলি পেত। এছাড়া সাধারণের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষমতাও তাদের দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনোত্তর কালে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার প্রবর্তনের আগে অবধি এই বোর্ডগুলি কাজ করে গিয়েছে।

পুরসভাগুলি শহরের জল সরবরাহ, হাসপাতাল, রাস্তা, রাস্তার আলো, নিকাশী নালা, দমকল, বাজার, জন্ম ও মৃত্যু নথিবদ্ধকরণ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।

কমিটি 24 নভেম্বর 1957 তারিখে তার রিপোর্ট পেশ করে এবং ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ’ প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে যা অবশেষে পঞ্চায়েতি রাজ নামে পরিচিত হয়। পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হল স্থানীয় সমস্যাগুলি স্থানীয়ভাবে সমাধান করা এবং জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করা।

ন্যায় পঞ্চায়েতের লক্ষ্য বিবাদকারীদের পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছে তাদের পক্ষ ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে ছোটখাটো ফৌজদারি এবং দেওয়ানি বিরোধগুলি সমাধান করা। তাদের ছোট জরিমানা বাড়ানোর অধিকার আছে কিন্তু ব্যক্তিদের কারারুদ্ধ করার অধিকার নেই।

একটি ন্যায় পঞ্চায়েত ( লিট। ‘ বিচার পঞ্চায়েত ‘ ) হল ভারতের পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থায় গ্রাম পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির একটি ব্যবস্থা।

গ্রাম সভা হল একটি গ্রামের সমস্ত লোকের সাধারণ সভা, যাদের বয়স 18 বছর পূর্ণ হয়েছে এবং তাদের নাম ভোটার তালিকায় প্রবেশ করানো হয়েছে। গ্রামসভার কার্যনির্বাহী কমিটি গ্রাম পঞ্চায়েত নামে পরিচিত যা সভা দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত।