মহাস্থানগড় সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টাকা লেখো।

মহাস্থানগড় সম্পর্কে টীকা : বর্তমান বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত মহাস্থানগড় প্রাচীন ভারতের ইতিহাস তথা প্রাচীন উত্তরবঙ্গের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে নিয়েছে। প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদী মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষের পূর্বদিক দিয়ে প্রবহমান। 1928-29 সালে KN Dikshit-এর তত্ত্বাবধানে সর্বপ্রথম এই অঞ্চলে খননকার্য চালানো হয়। প্রথম পর্বে, জাহাজঘাটা, মুনির গাঁও, বৈরাগীর ভিটা প্রভৃতি স্থানে খননকার্য চালানো হয়। … বিস্তারিত পড়ুন

পান্ডুয়া সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টাকা লেখো।

পান্ডুয়া সম্পর্কে টীকা : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরে মালদা জেলায় অবস্থিত, পান্ডুয়া শহরটি ‘হজরত পান্ডুয়া’ বা ‘বড় পেন্ডো’ (বৃহত্তর পেন্ডো) নামেও পরিচিত। পান্ডুয়া, গৌড়ের উত্তরে 32 কিলোমিটার এবং ইংরেজ বাজারের প্রশাসনিক কেন্দ্র থেকে প্রায় 19 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কোনো এক সময় বেশ কয়েকজন মুসলমান সাধু ও প্রচারকের বাসস্থান ছিল এই শহরটিতে এবং ‘হযরত’ নামটি এসেছে … বিস্তারিত পড়ুন

বানগড় সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।  

বানগড় সম্পর্কে টীকা : প্রাচীন উত্তরবঙ্গের ইতিহাসে বানগড় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান। কোটিবর্ষ, শোনিতপুরা, উমাবন, দেবীকোট ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়, কালভেদে বানগড় পরিচিত হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বাজারের সন্নিকটে পুনর্ভবা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলকে প্রাচীন বানগড়ৰূপে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলেই সর্বপ্রথম খননকার্য সম্পাদন করা হয়েছিল। অধ্যাপক K G Goswami … বিস্তারিত পড়ুন

বরেন্দ্রী সম্পর্কে একটি ছোটো টীকা লেখো।

বরেন্দ্রী সম্পর্কে একটি টীকা : খ্রিস্টীয় দশম শতক থেকে পুণ্ড্রবর্ধনের কেন্দ্রস্থলরূপে বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রীর নাম পাওয়া যায়। কবি সন্ধ্যাকর নন্দীর ‘রামচরিত’ কাব্যের কবি প্রশস্তি অংশে এবং গয়ারত্বঙ্গদেবের তালচের পট্রোলিতে বরেন্দ্র মণ্ডলের নামের উল্লেখ আমরা পাই। কবি সন্ধ্যাকর নন্দী বরেন্দ্র অঞ্চলকে পাল রাজাদের ‘জনক-ভূ’ বা পিতৃভূমি বলে উল্লেখ করেছেন। বৈদ্যদেবের কমৌলি লিপি, সিলিমপুর শিলালিপি, তর্পণদিঘি, মাধাইনগর … বিস্তারিত পড়ুন

পুণ্ড্রবর্ধন/পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা লেখো।

পুণ্ড্রবর্ধন/পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তির ওপর একটি : প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে অবিভক্ত বাংলার উত্তরাংশ ‘পুণ্ড্রবর্ধন’ নামে পরিচিত ছিল। এই অঞ্চল পশ্চিমে মহানন্দা এবং পূর্বে করতোয়া নদী দ্বারা বেষ্টিত ছিল। ‘আত্রেয় ব্রাহ্মণ’ (7 century, BC)-এ প্রথম ‘পুণ্ড্র’ শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। এখানে ‘পুণ্ড্র’ শব্দটি জনজাতি অর্থে ব্যবহূত হয়েছে। তবে প্রাচীনকালে জাতি এবং ভৌগোলিক ক্ষেত্র উভয় অর্থেই ‘পুণ্ড্র’ শব্দটি ব্যবহৃত … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের মানুষদের খাদ্য ও পানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখো ?

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের মানুষদের খাদ্য ও পানীয় সংস্কৃতি : প্রাচীন উত্তরবঙ্গের মানুষ সাধারণ বাঙ্গালি খাবারই খেত। ভাতই ছিল এখানকার মানুষের প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া চিনার ভাত এবং ‘পষরার গুড়া’ (যবের ছাতু) লোকে ভক্ষণ করতেন। ভাতের সঙ্গে ডাল, শাকসবজি, মাছ-মাংস, দুধ, ঘি ইত্যাদি ছিল তাদের খাদ্য। বিবিধ ফলমূলও তারা আহার করত। ভাজা চাউলের ছাতু দরিদ্র লোকেরা অধিক … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের বিলাসিতা ও অনৈতিকতার ওপর একটি সংক্ষিপ্ত টীকা  লেখো।

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের বিলাসিতা ও অনৈতিকতা : রামচরিত ও পবনদূতে রামাবতী ও বিজয়পুরের বর্ণনা এবং বানগড়, রামপাল, মহাস্থান দেওপাড়া প্রভৃতি স্থানের ধ্বংসাবশেষ থেকে মনে হয়, সমৃদ্ধ নগরবাসীরা ইট-কাঠের তৈরি ক্ষুদ্র গৃহে বসবাস করতেন। রাজপ্রাসাদও তৈরি হত ইট-কাঠের গ্রামে ইট-কাঠের বাড়ি খুব একটা ছিল না। দরিদ্র নিম্নকোটির লোকেরা তো পার্টেই এমনকি বিত্তসম্পন্ন মহত্তর গৃহস্থরাও সাধারণত মাটি, খড়, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো। 

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের পরিবহণ ব্যবস্থা : প্রাচীন বাংলাসহ উত্তর বাংলায় যানবাহনের মাধ্যম ছিল গোরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, নৌকা, হাতি প্রভৃতি। সাধারণ লোকেরা স্থলপথে পদব্রজে এবং জলপথে ভেলা এবং নৌকাযোগেই যাতায়াত করত। নৌকার সঙ্গে বাঙালি জীবনের ঘনিষ্ঠ আত্মিক যোগের কথা ধরা পড়েছে চর্যাগীতিতে। নৌকায় খেয়া-পারাপারের ইঙ্গিতও আছে। খেয়া-পারাপারের মাশুল আদায় হত কড়ি দিয়ে। খেয়া-পারাপারের কাজ অনেক সময় … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের সংগীত ও নৃত্য সংস্কৃতির ওপর একটি বর্ণনামূলক আলোচনা করো।

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের সংগীত ও নৃত্য সংস্কৃতি : নৃত্যগীতবাদ্যের প্রচলন ও প্রসার সম্বন্ধে প্রমাণ সুপ্রচুর। রামচরিত, পবনদপ্ত প্রভৃতি কাব্যে, নানা লিপিতে, সদুক্তিকর্ণামৃতের শ্লোকে, চর্যাগীতি ও দোহাকোশের নানা জায়গায় নানা সূত্রে নৃত্যগীত বাদ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। উচ্চ ও নিম্নকোটি উভয় শ্রেণির মানুষদের মধ্যে এই দুই বিদ্যা সম্বন্ধে সমাদর ছিল যথেষ্ট। বারাসনা ও দেবদাসীরা যে নানা কলানিপুণ ছিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের শহরের ওপর একটি বর্ণনামূলক আলোচনা করো।

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের শহর : বর্তমানে গঙ্গা নদীর বিভাজিকা ধরে পশ্চিমবলাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হলেও, এই বিভাজন সম্পূর্ণ অপ্রশাসনিক। বর্তমানে আটটি জেলা নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিস্তৃতি। প্রাচীন যুগে এই উত্তরবঙ্গ ছিল পুণ্ড্রবর্ধনের অংশ। অবিভক্ত বাংলার রাজশাহি, বগুরা এবং অবিভক্ত দিনাজপুর নিয়ে গঠিত ছিল পুণ্ড্রবর্ধন। মহাস্থানগড় শিলালেখ থেকে জানা যায় এই পুণ্ড্রবর্ধন মৌর্যদের সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress