বাংলা গদ্য সাহিত্যে শ্রীরামপুর মিশনের ভূমিকা ও গুরুত্ব লেখো।

শ্রীরামপুর মিশনের ভূমিকা: বাংলা গদ্যের চর্চার ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান অনেকখানি। প্রধানত বঙ্গদেশে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্যই কলকাতার নিকটবর্তী হুগলির শ্রীরামপুরে এই মিশন প্রতিষ্ঠা করেন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান মিশনারীরা। ইংরেজ শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনের কাজকর্মে এবং জীবিকার প্রয়ােজনে শিক্ষার গুরুত্ব দ্রুতবেগে বাড়তে থাকে। ইংরেজরা শাসনকার্য পরিচালনার জন্য গদ্য চর্চা করতে থাকেন। বিশেষ প্রয়ােজনবােধকে সামনে … বিস্তারিত পড়ুন

নাসিক্যী ভবন কাকে বলে? উদাহরণসহ লেখো।

যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণকালে শ্বাসের বায়ু মুখ দিয়ে বের না হয়ে নাক দিয়ে বের হয়, সেগুলোকে নাসিক্য বা আনুনাসিক ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়। বর্তমান বাংলা ভাষায় তিনটি নাসিক্য ধ্বনিমূলগুলো আছেঃ “ঙ”, “ন”, ও “ম”। কিছু কিছু ব্রাউজার এই পৃষ্ঠার আ-ধ্ব-ব বর্ণগুলো ঠিক মত প্রদর্শন করতে পারবে না।

স্বরসংগতি কাকে বলে? উদাহরণসহ-এর প্রকারভেদগুলির নাম উল্লেখ করো।

একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন:– দেশি (দ্+এ+শ্+ই) – দিশি (দ্+ই+শ্+ই); মুলা (ম্+উ+ল্+আ) – মুলো (ম্+উ+ল্+ও) ইত্যাদি।  স্বরসঙ্গতি ৫ প্রকার যথা: প্রগত, পরাগত, মধ্যগত, অন্যোন্য এবং চলতি বাংলা স্বরসঙ্গতি)

দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসনগুলির নাম লেখো। তাঁর শ্রেষ্ঠ প্রহসনের প্রধান চরিত্রের নাম কী?দীনবন্ধু মিত্র প্রহসন

দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসনগুলি সাতটি নাটক ও প্রহসন লিখেছিলেন। ‘নীলদর্পণ'(১৮৬০), ‘নবীন তপস্বিনী'(১৮৬৩), ‘কমলে কামিনী'(১৮৭৩)- এই তিনটি তাঁর গভীর রসের নাটক। আর চারটি প্রহসন হল ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো'(১৮৬৬), ‘সধবার একাদশী'(১৮৬৬) ‘লীলাবতী'(১৮৬৭), ‘জামাই বারিক'(১৮৭২)

বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক উপন্যাস কোনটি? এটি কার লেখা এবং কবে প্রকাশিত হয়?

বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক উপন্যাস ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ফুল মণি করুণার বিবরণ নামীয় গ্রন্থটিকে বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাসোম রচনা হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত প্যারীচাঁদ মিত্রের লেখা আলালের ঘরের দুলাল নামীয় আখ্যানে উপন্যাসের বৈশিষ্ট্যাবলী সুচিহ্নিত হয়েছিল।

ত্রয়ী মহাকাব্য-এর নাম লেখো। এগুলি কার রচনা?

ত্রয়ী মহাকাব্য-নবীন চন্দ্র সেনের রৈবতক, কুরুক্ষেত্র এবং প্রভাস-এই তিন মহাকাব্যকে একত্রে ত্রয়ী মহাকাব্য বলে। এই কাব্য তিনটিতে কৃষ্ণচরিত্রকে কবি বিচিত্র কল্পণায় নতুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। কবির মতে আর্য ও অনার্য সংস্কৃতির সংঘর্ষের ফলে কুরুক্ষেত্রযুদ্ধ হয়েছিল।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখক গোষ্ঠীর নাম ও তাঁদের গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখক 1.উইলিয়াম কেরি (১৭৬১ – ১৮৩৪) ১৮০১ সাল থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে শিক্ষাদান করেন। 2. জন বোর্থউইক গিলক্রিস্ট (জুন ১৭৫৯ – ১৮৪১) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২ 3. তারিণীচরণ মিত্র (১৭৭২ – ১৮৩৭) ছিলেন ইংরেজি, উর্দু, হিন্দি, আরবি ও ফার্সি ভাষায় পণ্ডিত।

হর্ষবর্ধনের শাসন ব্যবস্থা সমন্দে আলোচনা কর?

ভূমিকাঃ প্রাচীন ভারতীয় রাজতন্ত্রে রাজাই সর্বশক্তির আধার হিসেবে কাজ করতেন। সুতরাং রাজার যোগ্যতার ওপর শাসন ব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করত। হর্ষবর্ধন এই কথা ভালভাবে বুঝতেন। ফলে তিনি প্রায় সারাদিন রাজকার্যে ব্যস্ত থাকতেন। রাজকর্মচারীদের ওপর অন্ধভাবে নির্ভর না করে তিনি নিজে তাদের কাজের তদারকি করতেন। হিউয়েন সাং-এর মতে, হর্ষের শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য ছিল, প্রজাদের সঙ্গে গণ সংযোগ … বিস্তারিত পড়ুন

গুপ্ত যুগের বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো

ভূমিকা : প্রাচীন ভারতে ‘সুবর্নযুগ‘ হিসাবে খ্যাত গুপ্ত যুগে একদিকে যেমন সাহিত্যের বিকাশ ঘটেছিল অন্যদিকে তেমনই বিজ্ঞানচর্চারও প্রভুত উন্নতি হয়েছিল। জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, চিকিৎসা বিজ্ঞান, ভেষজ শাস্ত্র, রসায়ন, খনি ও ধাতুবিদ্যা প্রভৃতি বিজ্ঞানের নানা শাখার উন্নতি এই সময় লক্ষ্য করা যায়। গুপ্তযুগে বিজ্ঞানের এই অভূতপূর্ব অগ্রগতি সম্ভব হয়েছিল গুপ্ত রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ও তাদের আনুকূল্যে। গুপ্ত যুগের বিজ্ঞান … বিস্তারিত পড়ুন

গুপ্ত সাম্রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করো

ভূমিকা :- ইতিহাসের ধারা প্রবহমান হলেও, কতকগুলি কার্যকারণের জন্য তাতে পরিবর্তনের স্রোত দেখা যায়।মোর্যসম্রাজ্য পতনের পর ভারতে -এর রাজনীতিতে যে বিচ্ছিন্নতা, আঞ্চলিকতার প্রকাশ ও বৈদেশিক শক্তিগুলির অনুপ্রবেশ ঘটেছিল তাতে ছেদ পড়ে এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যের উদ্ভব ঘটে। উপাদান রাজার ক্ষমতা  গুপ্ত শাসন ব্যবস্থায় আপাত দৃষ্টিতে রাজা ছিলেন সকল ক্ষমতার কেন্দ্রস্থল। সেনাদল, কর্মচারীবৃন্দ তাঁরই নির্দেশে চলত। তিনি তাদের নিয়োগ করতেন … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress