নাগর শিল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

নাগর শিল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য  :

দক্ষিণ ভারতের চালুক্যরাজারা গম্বুজ আকৃতি যে মন্দির নির্মাণ রীতি প্রবর্তন করেন তাকেই নাগর স্থাপত্য বলা হয়

ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে অষ্টম ও নবম শতকে আঞ্চলিক স্বাতন্ত্র্যের প্রতিষ্ঠা ঘটেছিল, ধ্রুপদী ধারাও পাশাপাশি প্রবহমান ছিল। ভারতের ভাস্কর্য নিদর্শনগুলি অবশ্যই ত্রিমাত্রিক, চিত্রকলা হল দ্বিমাত্রিক।

 কোনো কোনো শিল্পে ভাস্কর্য ও চিত্রকলা মিশে গেছে, অজন্তা ও ইলোরার গুহাগুলির ক্ষেত্রে এর নিদর্শন আছে। ভাস্কর্যের ওপর ধর্মের প্রভাব খুব বেশি, প্রথমদিকে ভাস্কর্য হল দেবদেবীর মূর্তি, এর মধ্যে মিশেছে ধর্মীয় আবেগ ও সৃজনশীলতা।

 বিষ্ণু, সূর্য, উমা-মহেশ্বর, বুদ্ধমূর্তি নির্মিত হয়েছে, মন্দিরে বহু মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। ভাস্কর্যের উন্নতি সর্বত্র একই সময়ে হয়নি। কোনো কোনো স্থানে ভাস্কর্যের চেয়ে চিত্রকলা ও কারিগরি শিল্প প্রাধান্য পেয়েছে।

জীবনের প্রয়োজনে শিল্পসুষমামণ্ডিত পণ্য তৈরি হয়েছে। পোড়ামাটির মূর্তি, চিত্র নির্মাণ করে শিল্পী-কারিগর জীবিকানির্বাহ করেছে।

দেবদেবীর পাশাপাশি জীবজন্তু, গাছপালা, নরনারীর মূর্তিও তৈরি হয়েছে। ভারতবর্ষে চিরকাল অলংকার শিল্পের চলন ছিল, কারিগর ও শিল্পীরা চাহিদা অনুযায়ী এগুলি নির্মাণ করেছে। সোনা, রুপো, পাথর, ব্রোঞ্জ ও পিতলের সব সুন্দর মূর্তি ও অলংকার নির্মিত হয়েছে। মন্দিরগাত্রে, পর্বত গুহায়, প্রাসাদে নানাধরনের মূর্তি, বাদ্যযন্ত্র, জীবনের নানাদিক প্রতিফলিত হয়েছে। শিল্প কখনো জীবনবিমুখ নয়, পার্থিব জীবনের নানাদিকের প্রতিফলন ঘটেছে ভাস্কর্যে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading