ফৌজদারি মামলার ও কার্যবিধির গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহ ও বিচার পদ্ধতি  | Important Sections of the Code of Criminal Procedure and Procedure

ফৌজদারি মামলা সম্পর্কে অনেকের ধারণা এখনও স্পষ্ট নয়। এমনকি অনেকে ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলার পার্থক্য সম্পর্কেও অনিশ্চিত। দিন দিন ফৌজদারি মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে তাই ফৌজদারি মামলার গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহ সম্পর্কে জনসাধারণের অবগতি প্রয়োজন। ফৌজদারি মামলার গুরুত্বপূর্ণ ধারাসমূহ নিয়ে ও বিচার পদ্ধতি সম্পর্কে এই এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। ফৌজদারি মামলার গুরুত্বপূর্ণ ধারাসমূহ ও বিচার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

ফৌজদারি মামলা মূলত কী, ফৌজদারি মামলার ধারাসমূহ ও বিচার পদ্ধতি 

ফৌজদারি মামলা বলতে সাধারণত বোঝায় যখন কোন ব্যক্তিকে খুন,ধর্ষণ,চুরি,দস্যুতা,জালিয়াতি প্রভৃতি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মামলা দায়ের করা হয় তখন তাকে ফৌজদারি মামলা বা ক্রিমিনাল কেস বলে।

ফৌজদারি মামলাগুলো পরিচালনার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধি,১৮৮৯ বা CrPC অনুসারন করা হয়।মামলা কিভাবে পরিচালিত হবে,মামলায় তদন্ত ও জামিনের বিধান ইত্যাদি বিষয় ফৌজদারি কার্যবিধি দ্বারা করা হয়।

আবার অপরাধের সংজ্ঞা বা বিবরণ,অপরাধের উপাদান,শাস্তির পরিমাণ ও মেয়াদ ইত্যাদি সম্পর্কে বলা হয়েছে দণ্ডবিধি,১৮৬০ এ।

ফৌজদারি মামলার গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহ

ফৌজদারি মামলার গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহের মধ্যে প্রাথমিক বিষয় সহ মামলা দায়েরের স্থান ও মামলা দায়ের,ডিক্রি জারি,গ্রেফতার ও আটক,বিশেষ ক্ষেত্রে মামলাসহ বিভিন্ন বিষয় আছে। 

ধারা ৬-২৭ এ ফৌজদারি আদালত ও অফিসের গঠন সম্পর্কে বলা হয়েছে।ধারা ৬ এ ফৌজদারি আদালতের  শ্রেনীবিভাগ সম্পর্কে বলা হয়েছে- 

ধারা ৬ :-ফৌজদারী আদালত ও অফিসের গঠন

ক. ফৌজদারী আদালতের শ্রেণীবিভাগ:

(১) সুপ্রীমকোর্ট ব্যতীত এবং অত্র আইন ছাড়া বর্তমানে বলবৎ অন্য আইন দ্বারা গঠিত আদালত ব্যতিত বাংলাদেশে দুই শ্রেণীর ফৌজদারী আদালত থাকবে; যথা—

ক) দায়রা আদালত;

খ) ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত।

(২) দুই শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট থাকিবে,যথাঃ

ক) বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, এবং

খ) নির্বহী ম্যাজিস্ট্রেট।

(৩) চার শ্রেণীর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকিবে; যথাঃ

ক) মহানগর এলাকার জন্য মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এরং অন্যান্য এলাকার জন্য মুখ্য বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট;

খ) মহানগর এলাকায় স্থিত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট বলিয়া অভিহিত হইবে;

গ) দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট;

ঘ) তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট।

ব্যাখ্যাঃ এই উপধারায় “মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট” এবং “মুখ্য বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট” বলিতে যথাক্রমে “অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট” এবং “অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট” – কেও বুঝাইবে।

ধারা ২৮-৪১ এ আদালতের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।ধারা ২৮ এ দণ্ডবিধির অধীন অপরাধ সম্পর্কে বলা হয়েছে।

ধারা ২৮ :-আদালতসমূহের ক্ষমতা-

ক. বিভিন্ন আদালত কর্তৃক আমলযোগ্য অপরাধের বর্ণনা

এই কার্যবিধির অন্যান্য বিধানের শর্তে দণ্ডবিধিতে বর্ণিত যে কোন অপরাধের বিচার করবেন

ক) হাইকোর্ট বিভাগ অথবা

খ) দায়রা আদালত, অথবা

গ) অন্য যে কোন আদালত যা এরূপ অপরাধের বিচার করতে পারেন বলে দ্বিতীয় তফসিলের অষ্টম কলামে দেখানো হয়েছে। উদাহরণঃ অপরাধজনক নরহত্যার দায়ে দায়রা আদালত ক-এর বিচার করে। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার দায়ে দণ্ড দেয়া যেতে পারে, যদিও এই অপরাধ ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য।

ধারা ৪৬-৬৭ তে গ্রেফতার, পলায়ন ও পুনরায় গ্রেফতার সম্পর্কে বলা হয়েছে।

ধারা ৪৭ :- কিভাবে গ্রেফতার করতে হয়

গ্রেফতার, পলায়ন ও পুনরায় গ্রেফতার

ক. সাধারণভাবে গ্রেফতার

(১) কথা অথবা কাজের দ্বারা হেফাজতে আত্মসমর্পণ করা না হলে পুলিশ অফিসার অথবা গ্রেফতারকারী অন্য কোন ব্যক্তি গ্রেফতার করার সময় যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার দেহ স্পর্শ বা আটক করবেন।

(২) গ্রেফতারের চেষ্টায় প্রতিরোধঃ 

এরূপ ব্যক্তি যদি বলপূর্বক তাকে গ্রেফতারের চেষ্টায় বাধ্য দেয় অথবা গ্রেফতার এড়াইতে চেষ্টা করে তাহলে উক্ত পুলিশ অফিসার পারবেন।

(৩) এই ধারায় এরূপ কোন অধিকার দেয়া হয়নি যার ফলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দ্বারা শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধে অভিযুক্ত নহে এরূপ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানো যেতে পারে।

ধারা ৫২ঃ(মহিলার দেহ তল্লাশীর পদ্ধতি)

কোন স্ত্রীলোকের দেহ তল্লাশী করার প্রয়োজন হলে শালীনতার প্রতি তীক্ষ্ম দৃষ্টি রেখে তা অন্য একজন স্ত্রীলোক দ্বারা করাতে হবে।

ধারা ৬৬ :- পলায়ন করলে আসামিকে অনুসরণ ও পুনরায় গ্রেফতারের ক্ষমতা

কোন ব্যক্তি আইনসংগত হেফাজত হতে পলায়ন করলে অথবা তাকে চিনায়ে নেয়া হলে যে ব্যক্তির হেফাজত হতে সে পলায়ন করেছে অথবা যার নিকট হতে তাকে ছিনায়ে নেয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি সংগে সংগে বাংলাদেশের যে কোন স্থানে তাকে অনুসরণ করতে ও গ্রেফতার করতে পারবেন।

ধারা ১৫৪-১৭৬ এ আমলযোগ্য ও অ-আমলযোগ্য মামলার কথা বলা হয়েছে।

ধারা ১৫৪ :-(আমলযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে সংবাদ)

কোন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট কোন আমলযোগ্য অপরাধ সম্পর্কে মৌখিকভাবে দেয়া প্রত্যেকটি সংবাদ তিনি লিখিয়া নিবেন অথবা তার নির্দেশক্রমে উহা লিখিত হবে, এবং সংবাদদাতাকে উহা পড়ে শুনাতে হবে, এবং লিখিতভাবে প্রদত্ত বা উপযুক্ত মতে লিখিত প্রত্যেকটি সংবাদ ইহা প্রদানকারী ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে, এবং উহার সারমর্ম উক্ত অফিসার কর্তৃক এই বিষয়ে সরকারের নির্দেশিত আকারে রক্ষিত একটি বহিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

ধারা ১৫৫ :-  (অ-আমলযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে সংবাদ)

(১) কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের উক্ত থানার সীমার মধ্যে কোন আমল অযোগ্য মামলার অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে সংবাদ দেয়া হলে তিনি সংবাদের সারমর্ম উপযুক্তভাবে রক্ষিত বহিতে লিপিবদ্ধ করবেন এবং সংবাদদাতাকে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করবেন।

আমলযোগ্য মামলার তদন্তঃ

(২) অনুরূপ ঘটনার বিচার বা বিচারের জন্য সোপর্দ করার ক্ষমতাসম্পন্ন কোন প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতিত কোন পুলিশ অফিসার কোন আমলঅযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত করবেন না।

(৩) এরূপ আদেশ প্রাপ্ত প্রত্যেকটি পুলিশ অফিসার তদন্তের ব্যাপারে আমলযোগ্য ঘটনার ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ক্ষমতার অনুরূপ ক্ষমতা বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের ক্ষমতা ব্যতিত প্রয়োগ করতে পারবেন।

ধারা ২০০-২০৩ এ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নালিশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।

ধারা ২০০ :- (ফরিয়াদীর জবানবন্দি গ্রহণ)

নালিশের ভিত্তিতে কোন অপরাধ আমলে আনয়নকারী ম্যাজিষ্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে ফরিয়াদিকে এবং উপস্থিত সাক্ষীকে শপথপূর্বক জবানবন্দী গ্রহণ করবেন এবং বজানবন্দীর সারাংশ লিপিবদ্ধ করবেন এবং ফরিয়াদী বা এরূপ সাক্ষী উহাতে স্বাক্ষর দান করবেন, এবং ম্যাজিষ্ট্রেটও স্বাক্ষর দান করবেনঃ

তবে শর্ত নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ

ক) যখন লিখিত নালিশ করা হয় তখন ১৯২ ধারার অধীন মামলাটি হস্তান্তরের পূর্বে এরূপ জবানবন্দী গ্রহণের প্রয়োজন আছে বলে এখানে কিছুই বর্ণিত হয়নি,

(কক) যখন লিখিত নালিশ করা হয় এবং কোন আদালত বা সরকারী কর্মচারী সরকারী কর্তব্য সম্পাদনের সময় বা মনে হয় সরকারী কর্তব্য সম্পাদনের সময় এই নালিশ করেন, তখন ফরিয়াদীর এরূপ জবানবন্দী গ্রহনের প্রয়োজন আছে বলে এখানে কিছুই বর্ণিত হয়নি।

ধারা ২০৪-২২০ এ ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রম শুরু প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।

ধারা ২০৪ :- পরোয়ানা ইস্যু

(১) কোন অপরাধ আমলে আণয়নকারী ম্যাজিষ্ট্রেট যদি মনে করেন যে, অগ্রসর হবার মত পর্যাপ্ত কারণ আছে এবং ঘটনাটি এরূপ যে, দ্বিতীয় তফসিলের চতুর্থ কলাম অনুসারে প্রথম পর্যায়ে একটি সমন দেয়া যেতে পারে তাহলে তিনি আসামীর হাজির হবার জন্য সমন ইস্যু করবেন। ঘটনায় যদি এরূপ প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত কলাম অনুসারে প্রথম পর্যায়েই পরোয়ানা দেয়া উচিত, তাহলে তিনি পরোয়ানা দিতে পারবেন, অথবা, তিনি উপযুক্ত বলে মনে করলে আসামীকে কোন নির্দিষ্ট সময়ে তার নিজের অথবা (নিজের এখতিয়ার না থাকিলে) অন্য কোন এখতিয়ারবান ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হাজির করার বা হাজির হবার জন্য সমন ইস্যু করতে পারবেন।

(১ক) বাদীপক্ষের সাক্ষীদের তালিকা দাখিল না করা হলে আসামীর বিরুদ্ধে (১) উপধারার অধীন কোন সমন বা পরোয়ানা ইস্যু করা যাবে না।

(১খ) লিখিত নালিশের উপর ভিত্তি কৱিা (১) উপধারার অধীন ইস্যুকৃত সমন বা পরোয়ানা ইসু্য করার সময় উহা সাথে নালিশের একটি নকল সংযুক্ত করতে হবে।

(২) এই ধারার কোন কিছু ৯০ ধারার বিধানসমূহকে প্রভাবিত করবে বলে গণ্য করা যাবে না।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা

(৩) বর্তমানে বলবৎ কোন আইনে পরোয়ানার ফিস বা অন্য কোন ফিস প্রদয় হলে উক্ত ফিস পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত পরোয়ানা ইস্যু করা যাবে না এবং এই ফিস যদি যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা না হয়, তাহলে ম্যাজিষ্ট্রেট নালিশ খারিজ করতে পারবেন।

ধারা ২৪১-২৫৯ এ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মামলার বিচার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।

ধারা ২৪১ :- আসামিকে যখন অব্যহতি দিতে হবে)

ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে ম্যাজিষ্ট্রেট মামলার নথি ও তৎসহ দাখিলকৃত যাবতীয় কাগজপত্র বিবেচনা করে যদি ম্যাজিষ্ট্রেট প্রয়োজন মনে করেন সেই মোতাবেক আসামীর জবানবন্দী গ্রহণ করে এবং ফরিয়াদী ও আসামীকে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দান করে যদি মনে করেন যে, অভিযোগ ভিত্তিহীন তাহলে তিনি আসামীকে অব্যাহতি দিবেন এবং এরূপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।

ধারা ২৪২ :-  (অভিযোগ গঠন)

উপরিউক্ত বিবেচনা ও শুনানির পর ম্যাজিষ্ট্রেট যদি এই অভিমত পোষণ করেন যে, আসামী অপরাধ করেছে বলে মনে করার কারণ আছে, তাহলে ম্যাজিষ্ট্রের রীতিসিদ্ধ অভিযোগ গঠন করবেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করবেন যে, সে অপরাধ স্বীকার করে কি-না।

ধারা ২৪৩ :-অভিযোগের সত্যতা স্বীকারের পর দন্ড)

আসামী যদি স্বীকার করে যে, যে অপরাধে সে অভিযুক্ত হয়েছে তা সে করেছে, তাহলে যথাসম্ভব তার ব্যবহৃত ভাষায় তার স্বীকৃতি লিপিবদ্ধ করতে হবে, এবং কেন সে দণ্ডিত হবে না সে সম্পর্কে যে যদি পর্যাপ্ত কারণ না দর্শায় তাহলে ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে দণ্ড দান করতে পারবেন।

ধারা ২৪৪ :-এরূপ স্বীকার করা না হলে তখনকার পদ্ধতি)

(১) ম্যাজিষ্ট্রেট যদি পূর্ববর্তী ধারা অনুসারে আসামীকে দণ্ড দান না করেন, অথবা আসামী যদি উক্তরূপে স্বীকারোক্তি না করে তাহলে ম্যাজিষ্ট্রেট ফরিয়াদীর (যদি থাকে) বক্তব্য শ্রবণে অগ্রসর হবেন এবং বাদী পক্ষের সমর্থনে প্রদত্ত সমস্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন এবং আসামীর বক্তব্যও শ্রবণ করবেন এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে তার প্রদত্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, কোন আদালত যখন নালিশ করেন তখন ম্যাজিষ্ট্রেট ফরিয়াদী হিসাবে কারো বক্তব্য শ্রবণ করতে বাধ্য হবেন না।

(২) ম্যাজিষ্ট্রেট যদি উপযুক্ত মনে করেন, তাহলে ফরিয়াদী বা আসামীর আবেদন ক্রমে কোন সাক্ষীর প্রতি হাজির হবার অথবা কোন দলিল বা কোন জিনিস হাজির করার নির্দেশ দিয়া সমন ইস্যু করতে পারবেন।

(৩) এরূপ আবেদনের ভিত্তিতে কোন সাক্ষীর প্রতি সমন দিবার পূর্বে ম্যাজিষ্ট্রেট নির্দেশ দিতে পারবেন যে, বিচারের উদ্দেশ্যে হাজির হবার জন্য তার যুক্তিসংগত খরচ আদালতে জমা দিতে হবে।

ধারা ২৪৫ :-

(১) ম্যাজিষ্ট্রেট যদি ২৪৪ ধারায় উল্লেখিত সাক্ষ্যগ্রহণ করে এবং তিনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে যে অতিরিক্ত সাক্ষ্য (যদি থাকে) হাজির করতে বলেন তা গ্রহণ করে এবং (যদি তিনি উপযুক্ত মনে করেন) আসামীর জবানবন্দী গ্রহণ করে আসামীকে নির্দোষ বলে সাব্যস্ত করেন, তাহলে তিনি খালাসের আদেশ লিপিবদ্ধ করবেন।

শাস্তিঃ

(২) যেক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ৩৪৯ বা ৫৬২ ধারা অনুসারে অগ্রসর না হন, যদি দিবেন।

ধারা ২৬০-২৬৫ তে সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে।

ধারা ২৬৫ক হতে ৩৩৬ এ দায়রা আদালতে বিচার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।

ধারা ২৬৫ :- পাব্লিক প্রসিকিউটর মামলা পরিচালনা করবেন)

দায়রা আদালতে প্রত্যেকটি বিচারে পাবলিক প্রসিকিউটর সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করবেন।

ধারা ২৬৫খঃ -(সরকারের পক্ষে বক্তব্য শুরু)

২০৫ ধারার বিধানানুসারে আসামী আদালতে হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে প্রসিকিউটর আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বর্ণনার মাধ্যমে এবং যে সাক্ষ্যের দ্বারা তিনি আসামীর দোষ প্রমাণ করতে চাহেন তা বিবৃত করার মাধ্যমে নিজ বক্তব্য শুরু করবেন।

ধারা ২৬৫গঃ(অব্যহতি)

মামলার নথি এবং উহার সাথে দাখিলী দলিলাদি বিবেচনা এবং তৎসম্পর্কে আসামী ও সরকার পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ করার পর আদালত যদি মনে করেন যে, আসামীর বিরুদ্ধে মামলা চালাইবার কোনই হেতু নাই, তাহলে আদালত আসামীকে অব্যাহতি দিবেন এবং তদ্রুপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।

ধারা ২৬৫ঙঃ–  (দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে দন্ড)

আসামী যদি দোষস্বীকার করে তাহলে আদালত তা লিপিবদ্ধ করবেন এবং ইহার বিচারিক ক্ষমতাবলে তদানুসারে দণ্ডাজ্ঞা প্রদান করতে পারবেন।

ধারা ২৬৫ছঃ– (বাদীপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ)

(১) এভাবে ধার্য তারিখে আদালত বাদী পক্ষের সমর্থনে উপস্থিত সমস্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন।

(২) আদালত ইহার বিচারিক ক্ষমতাবলে কোন একজন সাক্ষীর জেরা অন্যান্য সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্থগিত রাখতে পারবেন, অথবা কোন সাক্ষীকে আরও জেরা করার উদ্দেশ্যে পুনরায় ডাকতে পারবেন।

ধারা ২৬৫জঃ(খালাস)

বাদীপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীর জবানবন্দী গ্রহণ এবং বাদীপক্ষ ও আসামীপক্ষের বক্তব্য শ্রবণ করার পর আদালত যদি মনে করেন যে, আসামী অপরাধ করেছে এরূপ কোন সাক্ষ্য নাই তাহলে আদালত আসামীকে খালাস দিবার আদেশ লিপিবদ্ধ করবেন।

ধারা ৩৬৬ থেকে ৩৭৩ পর্যন্ত রায় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।

ধারা ৩৬৬ :-(রায় ঘোষণার পদ্ধতি)

(১) মূল এখতিয়ার সম্পন্ন ফৌজদারী আদালতের প্রত্যেকটি বিচারের রায় ঘোষণা করতে হবে, বা রায়ের সারাংশ ব্যাখ্যা করতে হবে –

ক) প্রকাশ্য আদালতে বিচার সমাপ্ত হবার অব্যবহিত পরই অথবা পরবর্তী কোন সময়ে যে সময় সম্পর্কে পক্ষসমূহকে বা তাদের কৌসুলীগণকে নোটিশ দিতে হবে, এবং

খ) আদালতের ভাষায়, অথবা আসামী বা তার কৌসুলীর বোধগম্য অন্য কোন ভাষায় ।

তবে শর্ত এই যে, বাদীপক্ষ বা আসামী পক্ষ অনুরোধ করলে প্রিসাইডিং জজ সম্পূর্ণ রায় পড়ে শুনাবেন।

(২) আসামী হাজতে থাকলে রায় শ্রবণের জন্য তাকে হাজির করতে হবে অথবা হাজতে না থাকলে তাকে হাজির থাকার নির্দেশ দিতে হবে তবে বিচারের সময় তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা হতে রেহাই দেয়া হলে এবং তাকে কেবল জরিমানা করা হলে বা খালাস দেয়া হলে তার কৌসুলীর উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা যাবে।

(৩) এই ধারার কোন কিছু ৫৩৭ ধারার বিধানসমূহের আওতা সীমিত করবে বলে ব্যাখ্যা করা যাবে না।

(৪) এই ধারার কোন বিধান ২৬৩ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তের জবানবন্দী গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে বলিয়া বিবেচনা করা যাইবে না।

ধারা ৩৮১ থেকে ৪০০ দন্ড কার্যকর সম্পর্কে বলা হয়েছে।

ধারা ৩৮২ :- (গর্ভবতী স্ত্রীলোকের মৃত্যুদন্ড স্থগিতকরণ)

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কোন স্ত্রীলোক গর্ভবতী রয়েছে বলে দেখা গেলে হাইকোর্ট বিভাগ দণ্ড কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখার আদেশ দিবেন অথবা উপযুক্ত মনে করলে দণ্ড বিনিয়োগ করে যাবজীবন কারাদণ্ড দিতে পারবেন।

ধারা ৪০৪-৪৩১ এ আপীল প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।

ধারা ৪১0 :-(দায়রা আদালত প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল)

দায়রা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজের বিচারে দণ্ডিত ব্যক্তি হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করতে পারবে।

ধারা ৪৯১ :- হেবিয়াস কর্পাস প্রকৃতির নির্দেশ

(১) হাইকোর্ট বিভাগ যখনই উপযুক্ত মনে করেন, তখন নির্দেশ দিতে পারবেন যে—

ক) ইহার ফৌজদারী আপীল এখতিয়ারের সীমার মধ্যে অবস্থানকারী কোন ব্যক্তি সম্পর্কে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হোক;

খ) উপরিউক্ত সীমার মধ্যে সরকারী বা বেসরকারী হেফাজতে বে-আইনীভাবে বা অযৌক্তিকভাবে আটক কোন ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়া হোক;

গ) আদালতের বিবেচনাধীন বা অনুসন্ধানাধীন কোন বিষয়ে সাক্ষী হিসাবে জবানবন্দী দিবার জন্য উপরিউক্ত সীমার মধ্যে অবস্থিত কোন জেলে আটক কোন বন্দীকে আদালতে হাজির করা হোক;

ঘ) কোন কোর্ট মার্শাল বা কমিশনারের বিবেচনাধীন কোন বিষয় বিচারের জন্য বা সাক্ষী দিবার জন্য উক্তরূপে আটক কোন বন্দীকে উক্ত কোর্ট মার্শাল বা কমিশনারের নিকট হাজির করা হোক;

ঙ) উপরিউক্ত সীমার মধ্যে অবস্থানকারী কোন বন্দীকে বিচারের উদ্দেশ্যে এক হেফাজত হতে অন্য হেফাজতে অপসারণ করা হোক; এবং

চ) বাদ দেয়া হয়েছে

(২) মামলার পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপ্রীমকোর্ট সময়ে সময়ে এই ধারার অধীন নিয়ম প্রণয়ন করতে পারবেন।

(৩) এই ধারার কোন বিধানই বর্তমান বলবৎ কোন নিবারণমূলক আটক আইনের অধীন আটক ব্যক্তিদের প্রতি প্রযোজ্য নহে।

ধারা ৫২৫কঃ  ফৌজদারী মামলা স্থানান্তর প্রসঙ্গে

(১) যখন ইহা প্রতীয়মান হয় যে, এরূপ স্থানান্তর ন্যায় বিচার বা পক্ষগণ বা সাক্ষীদের সাধারণ সুবিধার ধারার উন্নয়ন ঘটাইবে তখন আপীল বিভাগ কোন নির্দিষ্ট কেস বা আপীল হাইকোর্ট বিভাগের এক স্থায়ী বেঞ্চ হতে অন্য স্থায়ী বেঞ্চে অথবা কোন হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বেঞ্চের এখতিয়ার একই বা উচ্চতর ক্ষমতা সম্পন্ন ফৌজদারী আদালতে স্থানান্তর করতে পারবেন।

(২) যে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বেঞ্চ অথবা আদালতে কেস বা আপীল স্থানান্তরিত হয় সেই বেঞ্চ বা আদালত একইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যেন মূলতঃ সেখানেই ঐগুলি দায়ের করা বা উপস্থাপিত হয়েছিল।

ধারা ৫২৬:- (১) যদি ইহা হাইকোর্ট বিভাগের দৃষ্টিগোচর করা হয় যে,           

ক) ইহার অধস্তন কোন ফৌজদারী আদালতে ন্যায়সংগত ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান বা বিচার পাওয়া যাবে না, অথবা

খ) কোন অসাধারণ জটির আইনের প্রশ্ন উদ্ভব হবার সম্ভাবনা আছে, অথবা

গ) সে স্থানে বা স্থানের নিকট কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা পরিদর্শন করা উক্ত অপরাধের সন্তোষজনক অনুসন্ধান বা বিচারের জন্য প্রয়োজন হতে পারে। অথবা

ঘ) এই ধারায় প্রদত্ত কোন আদেশ পক্ষসমূহ বা সাক্ষীগণের সাধারণ অসুবিধার দিকে নিয়া যাবে, অথবা

ঙ) ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে বা এই আইনের কোন বিধান অনুসারে এরূপ একটি আদেশ প্রয়োজন: তাহলে ইহা আদেশ দিতে পারবেন যে-

১. কোন অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার এমন কোন আদালত করবেন, যে আদালত ১৭৭ হতে ১৮৪ ধারা (উভয় ধারাসহ) অনুসারে ক্ষমতাবান নহেন কিন্তু অন্যভাবে উক্ত অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচারের জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন।

২. কোন বিশেষ মামলা বা আপীল; অথবা কোন বিশেষ শ্রেণীর মামলা বা আপীল হাইকোর্ট বিভাগের কর্তৃত্বাধীন কোন ফৌজদারী আদালতের সমান বা উর্ধ্বতন এখতিয়ারের অনুরূপ অন্য কোন ফৌজদারী আদালতে স্থানান্তর করা হোক

৩. কোন নিদিষ্ট মামলা বা আপীল ইহার নিকট হস্তান্তরিত হোক এবং স্বয়ং ইহার দ্বারা বিচার হোক, অথবা

৪. বিচারের জন্য অন্য আসামীকে স্বয়ং ইহার নিকট বা দায়রা আদালতে প্রেরণ করা হোক ।

(২) যখন হাইকোর্ট বিভাগ স্বয়ং বিচারের জন্য কোন আদালত হতে কোন মামলা প্রত্যাহার করেন তখন ইহা এরূপ বিচারে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করবেন, উক্ত আদালত যে পদ্ধতি অনুসরণ করতেন যেন মামলাটি এভাবে প্রত্যাহৃত হয়নি ।

(৩) হাইকোর্ট বিভাগ নিম্ন আদালতের রিপোর্ট বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষের আবেদন ক্রমে বা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কাজ করতে পারেন।

তবে শর্ত এই যে, একই দায়রা বিভাগের এক ফৌজদারী আদালত হতে অন্য ফৌজদুর আদালতে কোন মামলা স্থানান্তর করার জন্য যে পর্যন্ত না কোন দায়রা আদালতে পেশ করার পর তিনি নাকচ করেন, সেই পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগে কোন দরখাস্ত করা যাবে না ।

(৪) এই ধারার প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য প্রত্যেকটি আবেদন মোশন দ্বারা করতে হবে এবং আবেদনকারী এটনী জেনারেল না হলে এ্যাফিডেভিট বা শপথ দ্বারা সমর্থিত হবে ।

(৫) কোন আসামী এই ধারার অধীন আবেদন করলে হাইকোর্ট বিভাগ তাকে জামিনদারসহ বা জামিনদার ব্যতিত এই শর্তে একটি মুচলেকা সম্পাদনের নির্দেশ দিতে পারবেন যে, আদেশ দেয়া হলে সে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক এই ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ স্বরূপ নির্ধারিত কোন পরিমাণ অর্থ আদেশের বিরোধিতাকারীকে প্রদান করবে।

এই ধারার আবেদনের নোটিশ পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রদানঃ

(৬) এরূপ আবেদনকারী প্রত্যেকটি আসামী আবেদনের কারণসমূহের একটি নকলসহ পাবলিক প্রসিকিউটরকে আবেদন পত্রের লিখিত নোটিশ দিবে; এবং এরূপ নোটিশ প্রদান ও আবেদনের শুনানির মধ্যে অন্ততঃ পক্ষে চব্বিশ ঘন্টা সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত আবেদনপত্রের গুণাগুণের ভিত্তিতে কোন আবেদন দেয়া যাবে না।

(৬ক) এই ধারার অনুসারে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগের আবেদন অগ্রাহ্য করা হলে হাইকোর্ট বিভাগ যদি মনে করেন যে, তুচ্ছ অথবা বিরক্তিকর ছিল, আবেদনের বিরোধীতাকারীকে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ মামলার অবস্থা অনুসারে যথাযথ বলে বিবেচ্য এক হাজার টাকার অনধিক কোন পরিমাণ অর্থ দিবার জন্য আবেদনকারীকে আদেশ দিতে পারবেন।

(৭) এই ধারার কোন কিছুই ১৯৭ ধারা অধীন প্রদত্ত আদেশকে প্রভাবিত করবে বলে মনে করা যাবে না।

এই ধারার অধীন আবেদনের ভিত্তিতে মূলতবী রাখাঃ

(৮) কোন বিচারের সময় বা অষ্টম অধ্যায়ের অধীন অনুসন্ধানের সময় আসামী পক্ষের বক্তব্য সমাপ্ত হবার পূর্বে কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি আদালতকে জানায় যে, সে এই ধারার অধীন আবেদন করতে চায়, তাহলে সে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত কোন যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে এই শর্তে আবেদন করবেন যে, প্রয়োজন হলে জামিনদার ব্যতিত দুই শত টাকা অনধিক পরিমাণ অর্থের একটি মুচলেকা সম্পাদনের পর আদালত যেমন একটি সময়ের জন্য মামলা মূলতবী রাখবেন যা আবেদন পত্র পেশ ও সে সম্পর্কে আদেশ প্রাপ্তির জন্য যথেষ্ট; 

তবে শর্ত এই যে, এখানে এমন কোন বিধান নাই যা একই পক্ষের দ্বিতীয় বা পরবর্তী সংবাদ জ্ঞাপনের ফলে আদালতকে মামলা মূলতবী রাখতে বাধ্য করবে।

(৯) ইতোপূর্বে যাই বর্ণিত থাকুক না কেন, দায়রা আদালতের প্রিজাইডিং জজ যদি মনে করেন যে, যে ব্যক্তি এই ধারার অধীন আবেদন করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে সেই ব্যক্তি এরূপ আবেদন করার যুক্তিসংগত সুযোগ পেয়েছিল এবং পর্যাপ্ত কারণ ব্যতিত সে উহার সুযোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে তাহলে তিনি (৮) উপধারার অধীন কোন বিচার মূলতবী রাখতে বাধ্য হবেন না।

  • আপীলঃ কোনো পক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট না থাকলে এখতিয়ারসম্পন্ন উচ্চ আদালতে আপীল করতে পারেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading