কতকগুলি পদ পরপর বসে যখন মনের ভাব বা অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাক্য বলে।
বাক্যের উদাহরণ –
- সন্ধ্যা হলে পাখিরা বাসায় ফেরে।
- ছেলেরা মাঠে ফুটবল খেলছে।
- জলে মাছ সাঁতার কাটে।
বাক্যকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?
উত্তরঃ বাক্যকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় সেগুলি হল উদ্দেশ্য ও বিধেয়
উদ্দেশ্য কাকে বলে ?
উত্তরঃ কোনো একটি বাক্য যার সম্বন্ধে কিছু বলা হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে।
বিধেয় কাকে বলে?
উত্তরঃ বাক্যে উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যা-কিছু বলা হয় তাকে বিধেয় বলে।
যেমন উদহারণ দিয়ে যদি বলা হয় –
১. ” ছাত্ররা স্কুলে যাচ্ছে “ এটি একটি বাক্য যার মধ্যে উদ্দেশ্য হচ্ছে ” ছাত্ররা “ এবং বিধেয় হচ্ছে ” স্কুলে যাচ্ছে “
২. ” ছেলেরা মাঠে খেলছে “ একটি বাক্য যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ” ছেলেরা “ এবং বিধেয় হচ্ছে ” মাঠে খেলছে “
৩. “তোমরা কোথায় যাচ্ছ “ যার উদ্দেশ্য ” তোমরা “ এবং ” কোথায় যাচ্ছ “ হচ্ছে বিধেয়।
আবার কখনো কখনো বাক্যের মধ্যে উদ্দেশ্য ও বিধেয় মিশে থাকে, বাক্যের প্রথম দিকে এবং শেষ দিকেও উদ্দেশ্য থাকে। নিচে আরোও উদাহরণ দেওয়া হল।
১. যেমন “প্রশ্নের উত্তরে ছাত্রটি চুপ করেছিল” এখানে ” ছাত্রটি “ হচ্ছে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় হচ্ছে “প্রশ্নের উত্তরে চুপ করে ছিল “।
২. ” মেয়েটি খুব শান্ত “ এই বাক্যে উদ্দেশ্য প্রথমে আছে অর্থাৎ মেয়েটি।
৩. “সাহসী মানুষ ছিলেন নেতাজি “ এই বাক্য উদ্দেশ্য শেষে আছে অর্থাৎ নেতাজি।
আবার বাক্যের দুটি দিক আছে একটি হলো গঠনগত এবং অপরটি হল অর্থগত
গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী?
গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় – (১) সরল বাক্য (২) জটিল বাক্য এবং (৩) যৌগিক বাক্য