বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হিসেবে বাঙালি সাহিত্যের মহাকবির অবতারণ হতে সকলের কাছে অসীম মর্মস্পর্শী ছিলেন। তার কথা, তার রচনা ও তার উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজ, ধর্ম, রাষ্ট্র এবং মানবতা সম্পর্কে আমরা অনেক জিজ্ঞাসা করেছি এবং অনেক কিছু জানতে পেরেছি। এই প্রস্তুতির মধ্যে, তিনি “বিদ্যাপতি ও জয়দেব” নামক একটি প্রবন্ধ লেখেছেন, যা তার তুলনামূলক সমালোচনা পদ্ধতির স্বরূপ নিয়ে আলোচনা করে।
বঙ্কিমচন্দ্রের তুলনামূলক সমালোচনা পদ্ধতি হলো তিনি কীভাবে তার সমস্ত লেখায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর চিন্তা করেছেন, তার রচনা শৈলী কীভাবে বদলে গিয়েছে, এবং তার চিন্তার অগ্রগতি কীভাবে হয়েছে।
বঙ্কিমচন্দ্রের সমালোচনা পদ্ধতি বিশেষভাবে তার নাটক এবং উপন্যাসের সাথে যোগদান করে। তিনি বিশেষভাবে ভারতীয় সমাজ, সাংস্কৃতিক এবং রাষ্ট্রীয় চিন্তার উপর মন্তব্য করেন, এবং তার উপন্যাস গুলির মাধ্যমে এই চিন্তা গুলি সাধারিত হয়।
বঙ্কিমচন্দ্রের সমালোচনা পদ্ধতি তার রচনা শৈলীর প্রবল পরিবর্তন সাথে সংবলিত। তিনি নিজেকে একজন প্রয়াসার্থী, মনোনিবেশী এবং মনোনিগ্রহী লেখক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি ভারতীয় সমাজের প্রতি তার গভীর ভাবনা এবং ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে তার চিন্তা গুলি প্রকাশ করেছেন। তার রচনা শৈলী ভাষার সৌন্দর্য, সংকোচ এবং সূক্ষ্মতা এবং বিভিন্ন চরিত্রের বিস্তৃত বর্ণনা সহিত তার লেখার মৌলিক সৌন্দর্যকে আলোকিত করে।
সারসম্মত সমালোচনা পদ্ধতি দেখা যায় বঙ্কিমচন্দ্রের “বিদ্যাপতি ও জয়দেব” প্রবন্ধেও, যেখানে তিনি সৃষ্টি, ভাষা, এবং চরিত্র গুলি নিয়ে তার মতামত প্রকাশ করেছেন। এটি একটি গভীর, স্পষ্ট, এবং বিবেকবদ্ধ প্রবন্ধ, যা বঙ্কিমচন্দ্রের চিন্তার গভীরতা এবং উপন্যাসে অবতীর্ণ হওয়া একটি সাক্ষরিক ছবি প্রদান করে।