মানবাধিকার বলতে কী বোঝ ? ইহার প্রকৃতি বৈশিষ্ট্য ও স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।

ভূমিকা : মানবাধিকারের বলতে আমরা বুঝি –

মানবাধিকারের প্রকৃতি বিশ্লেষণ কর। ময়ি স্বাভাবিক অধিকারের ধারণার সময় থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন লেখকদের রচনা, বিভিন্ন এ দেশের সংবিধানের ঘোষণা, বিভিন্ন দেশের সরকার নির্দেশিকায়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্পাদিত আর চুক্তিসমূহ প্রভৃতিতে মানবাধিকারের ধারণা প্রকাশিত হয়। সর্বপরি ১৯৪৫ সালে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হলে সনদের ১ (৩) ধারায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের সমান মানবিক অধিকার ও মৌলিক অধিকারের প্রতি অঙ্গীকার করা হয়।

নষ্ট সজ্ঞা: দুর্গাদাস বসুর মতে, মানবাধিকার হল সেই সকল ন্যূনতম অধিকার যেগুলি কোন প্রকার বিবেচনা নির্বিশেষে মনুষ্য পরিবারের সদস্য হিসেবে ব্যক্তি মানুষ রাষ্ট্র বা অন্যান্য শ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভোগ করে। ডঃ উপেন্দ্র বক্সি উল্লেখ করেন, “মানবাধিকার হোল মনুষ্য প্রজাতির অধিকার”। র‍্যাফেল উল্লেখ করেন, মানবাধিকার হল সেইসব বিশেষ অধিকার যেগুলি কেউ মানুষ হওয়ার সুবাদে ভোগ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মানবাধিকার কেন্দ্র প্রদত্ত মানবাধিকারের অর্ন্তভুক্ত সেই সকল অধিকার যেগুলি আমাদের প্রকৃতির মধ্যে সহজাত এবং যেগুলি ছাড়া আমরা মানুষ হিসেবে বাঁচতে পারি না। সর্বপরি বলা যায়, প্রতিটি মানুষের আত্ম মর্যাদা নিয়ে জীবন ধারনের অধিকার, স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার এবং সমতা ও সমমর্যাদার অধিকারকে মানবাধিকার বলে’ আখ্যায়িত করা যায়। ১৯৯৩ সালে ভারত সরকার কর্তৃক প্রণীত ‘মানবাধিকার সংরক্ষণ আইন’, (Protection of Human Rights Act)-এ বলা হয়েছে, “মানবাধিকার বলতে সংবিধান কর্তৃক সংরক্ষিত (guaranteed) কিংবা আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পত্রের অঙ্গীভূত (embodied) এবং ভারতের আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, সমতা ও মর্যাদা সংক্রান্ত অধিকারসমূহ। প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পত্র বলতে ১৯৬৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের

মানবাধিকারের বৈশিষ্টগুলি হল-

প্রথমত, মানবাধিকার ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমূহের দ্বারা গঠিত গোষ্ঠীর অধিকার।

দ্বিতীয়ত, মানবাধিকারের স্বীকৃতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় স্তরেই পরিলক্ষিত হয়।

তৃতীয়ত, মানবাধিকারের স্বীকৃতির প্রয়োজনীতার কারণ হল কোনরকম বৈষম্যহীন মানুষের মর্যাদা, সাম্য, স্বাধীনতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা।

চতুর্থত, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য মানবাধিকারকে যথেষ্ট প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করা যায়।

পঞ্চমত, সকল স্তরের সকল কর্তৃপক্ষ সর্বস্তরের মানবাধিকার সংরক্ষণ ও বলবৎকরণ করবে।

ষষ্ঠত, মানবাধিকার বাস্তবায়নে কমিশনের ভূমিকা থাকে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জাতিপুঞ্জের

অধীনে মানবাধিকার কমিশনে, জাতীয় স্তরে গঠিত হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এমনকি

রাজ্য স্তরেও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও গঠিত হতে দেখা যায়

‘অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার’ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পত্র’ কে বোঝান

হয়েছে। প্রকৃতি: উপরে আলোচিত সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে মানবাধিকারের প্রকৃতি নিম্নলিখিতভাবে আলোচনা করা যায়। প্রথমত, ইহার প্রকৃতি সর্বজনীন। পৃথিবীর সকল দেশের প্রধান লক্ষ্য মানবিক বলাণ

সাধন। এক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবিক অধিকার রক্ষায় এক সর্বজনীন উদ্যোগ দেখা যায়। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারের বিশ্ব ঘোষণা পত্রে মানবাধিকারকে বিশ্বজনীন অধিকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদের প্রস্তাবনায় বলা হয় যে, জাতিপুঞ্জ মৌল মানবিক অধিকার, মানুষের মর্যাদ ও মূল্য এবং সকল জাতির স্ত্রী পুরুষের সমান অধিকারের প্রতি আস্থা রাখার প্রতিজ্ঞা করছে। দ্বিতীয়ত, মানবিক অধিকারকে হস্তান্তরিত করা যায় না। তবে একজন দুষ্কৃতী কখনোই

একজন সৎ ব্যক্তির ন্যায় মানবিক অধিকার ভোগ করতে পারে না। তৃতীয়ত, মানবাধিকার একটি প্রগতিশীল ও ইতিবাচক অধিকার যার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান করে

সমান সুযোগ সুবিধা সুনিশ্চিত করণের প্রচেষ্টা করা হয়।

চতুর্থত, মানবাধিকারের স্বাভাবিক অর্থে ব্যাখ্যা করা যায়। কারণ মানবাধিকারগুলিও মানুষ জন্মগতভাবে লাভ করে।

পঞ্চমত, মানবাধিকার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনে রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রিত श्री করা হয়।

যষ্ঠত, মানবাধিকার পৃথিবীর শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। সপ্তমত, মানবাধিকার ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমূহের দ্বারা গঠিত গোষ্ঠীর অধিকার। অষ্টমত, মানবাধিকারের স্বীকৃতি

জন্ম

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় স্তরেই পরিলক্ষিত হয়। নবমত, মানবাধিকারের স্বীকৃতির প্রয়োজনীতার কারণ হল, কোনরকম বৈষম্যহীন মানুষের রয়ে মর্যাদা, সাম্য, স্বাধীনতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা।

দশমত, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য মানবাধিকারকে যথেষ্ট প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করা যায়।

একাদশ, সকল স্তরের সকল কর্তৃপক্ষ সর্বস্তরের মানবাধিকার সংরক্ষণ ও বলবৎকরণ করবে।

দ্বাদশ, মানবাধিকার বাস্তবায়নে কমিশনের ভূমিকা থাকে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জাতিপুঞ্জের যো

অধীনে মানবাধিকার কমিশনে, জাতীয় স্তরে গঠিত হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ঘটিত হয়েছে এমনকি রাজ্য স্তরেও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও গঠিত হতে দেখা যায়।

উপসংহার: পরিবেশ বলা যায়, মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশ্ব ঘোষণা পৃথিবীর সকল মানুষের মনে একটি সদর্থক আশার সঞ্চার করেছে। যার ফলস্বরূপ মানুষ নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। আবার সমাজের প্রতিভার কর্তব্য সম্পর্কেও তাকে সজাগ করার পথ দো ব্যাখ্যা করা রয়েছে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশ্ব ঘোষণা পাত্রে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading