‘সাজাহান’ নাটকে দিলদার চরিত্রটি একটি মুখ্য চরিত্র, যেটি প্রসূত হয়েছে বিজন ভট্টাচার্যের কাব্যনাটক “সাজাহান” থেকে। চরিত্রটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় নাটকের কাহিনীতে এবং সমাজের মাধ্যমে তার ভূমিকা প্রকাশ হয়।
দিলদার নাটকের প্রধান পাতায় একটি আলোকপাত হয়, যেখানে তিনি আত্মকথন করতে বলেন তার সাজাহান চরিত্রটি তার আত্মজীবনের অভিজ্ঞান থেকে নেয়া হয়েছে। সাজাহান তার মাধ্যমে দিলদার নিজের মূল্যবোধ ও সমাজের মূল্যসঙ্কর চেতনা প্রকাশ করে। এটি ছুটি, অপারাধ, সামরিক যুদ্ধ, বিমুক্তিসংগ্রাম, ও মানবাধিকার সংস্কৃতি থেকে যোগ করে একটি সামাজিক দৃষ্টিকোণ দেখায়।
দিলদার চরিত্রটি তার আত্মকথা ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে প্রকাশ করে, যা একজন সৃষ্টিকর্তা, রচনাকার, এবং সামাজিক কর্মীর জীবনশৈলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তার ব্যক্তিত্বে মনোনিবেশ এবং আত্মবিশ্লেষণের একটি দৃষ্টিকোণ দেখায়। সাজাহান চরিত্রটি একজন স্বাধীন, উৎসাহী, এবং আত্মনির্ভরশীল মহিলা দর্শায়, যা তার সৎ এবং সত্যিকার ব্যক্তিত্ব কে প্রকাশ করে।
নাটকের শেষ দৃশ্যে সাজাহান দিলদার বাপকে অভিশাপ দিয়ে পিতার হত্যা করে, এটি তার প্রিয় বউ রহিমা উপর একটি দোষারোপণ দিতে হয়েছে এবং এর মাধ্যমে তিনি নিজেকে ও তার প্রিয় বউকে মুক্ত করতে চান।