প্রাচীন বাংলায় শাক্তধর্মের প্রসার ও পূজা প্রচলন কোন্ পর্বে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর যুগের লেখনীতে দেবীর উল্লেখ বিরল। কিন্তু খ্রিস্টীয় সপ্তম-ত্রয়োদশ শতাব্দীর লেখগুলিতে দেবতাদের শক্তি হিসেবে দেবীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই কালের খালিমপুর তাম্রশাসনের বানগড় প্রশস্তি ইত্যাদিতে যথাক্রমে কাদম্বরী, চন্দ্রপত্নী, অগ্নিজায়া, লক্ষ্মী, চর্চিকা প্রমুখ দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। বঙ্গদেশের লেখ ও তাম্রশাসনে যেসব দেবীর নাম পাওয়া যায় তাঁদের অধিকাংশই পৌরাণিক, তান্ত্রিক ও বৌদ্ধধর্ম আশ্রিত।বাংলায় প্রাপ্ত দেবীমুর্তিগুলিকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যথা-শান্ত ও উগ্ররূপ। শান্ত ও সৌম্য মূর্তিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে অষ্টধাতু নির্মিত অষ্টহস্ত বিশিষ্ট দেবখড়গের রাজত্বকালে নির্মিত একটি সর্বানীমূর্তি, যা প্রাপ্ত হয়েছে দেউলবাড়িতে। দিনাজপুর জেলার মঙ্গলবাড়িতে চার হস্তবিশিষ্ট দণ্ডায়মান দেবীমূর্তি পাওয়া যায়। এই মুর্তিটির সময়কাল পালযুগ। এ ছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে চার হস্তবিশিষ্ট দেবীমূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে যার দক্ষিণপার্শ্বে রয়েছে একটি গণেশ মূর্তি।