শিল্পচর্চায় বাংলার ঐতিহ্য কয়েক হাজার বছরের। হরপ্পান সভ্যতার যুগে, খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতকেই বাংলায় শিল্পকলা চর্চার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে পাওয়া মৃৎপাত্রের গায়ের অলঙ্করণ যাঁরা করেছেন, তাদের শিল্পবোধ ও অঙ্কন-দক্ষতা ছিল, এ কথা অনস্বীকার্য।১ সেই থেকে শুরু করে বাঙালির ঐতিহাসিক বিবর্তনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকেই দিক বদলেছে বাংলার চিত্রকলা চর্চাও। প্রাক-মুসলিম যুগে এই চিত্রকলার সবচেয়ে জোরালো মাধ্যম ছিল তালপাতার পুঁথি; মুসলিম আমলে তার জায়গাটা নিয়েছিল আরবি-ফারসি পাণ্ডুলিপি আর দরবারি শিল্পীর আঁকা মুরাক্কা বা অ্যালবাম। তবে চিত্রকলা চর্চার মূল রীতিটা ছিল অভিন্ন, রাজা-বাদশাহ কিংবা তাঁদের দরবারি অভিজাতবর্গের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে চলতো সুকুমার শিল্পের ধারা। এর বিপরীতে সাধারণ্যের পৃষ্ঠপোষকতায় এক ধরনের বাজারি ছবির প্রচলনও হয়তো ছিল, কিন্তু সঙ্গত কারণেই সে ছবির উপকরণ-মাণ এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া ছিল উপেক্ষণীয়; তাই প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে সে ছবির চরিত্র বিশ্লেষণের সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে।
ঊনবিংশ শতকে ‘ব্রিটিশ রাজ‘ প্রতিষ্ঠার প্রকল্প এই রীতিটাকেই বদলে দিয়েছিল। ব্রিটিশরা চেয়েছিল ভারতের ‘নেটিভ‘দের ব্রিটিশ রাজের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে, আফ্রিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে উপনিবেশগুলোর মতোই ভারতবর্ষের অধিবাসীদেরও তারা মনে করতো শিক্ষা-সংস্কৃতিতে অনগ্রসর, পশ্চাদপদ আর এদেরকে ‘সভ্য‘ করে তোলার মহান দায়িত্ব তাদের কাঁধে ছিল বলেই তারা প্রচার করতো। এই প্রকল্পেরই অংশ হিসেবে উনিশ শতকে ব্রিটিশ আদলে ঢেলে সাজানো হয়েছিল ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে, সেই সূত্র ধরে বদলে গিয়েছিল শিল্পকলা চর্চার ধারাটিও। কোম্পানির কর্মকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আর্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এর আগেই, সেই স্কুলের সরকারিকরণ ও পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছিল ‘রাজ‘ প্রতিষ্ঠার ব্রতকে সামনে রেখেই। সেই সব স্কুলের ব্রিটিশ পাঠ্যক্রমে শিক্ষিত শিল্পীদের মাথাতেই এরপর উঠেছে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট, পৃষ্ঠপোষকের রুচি বদলের সূত্র ধরে তাঁদের সৃষ্ট শিল্পকর্ম পেয়েছে ‘আধুনিকতা‘র তকমা। বাংলার শিল্পকলা, বিশেষ করে চিত্রকলায় ‘আধুনিকতা‘র এই ধারণাটি ঔপনিবেশিক হিসেবেই বিবেচ্য, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় ঔপনিবেশিক যুগাবসানের সাত দশক পেরিয়ে গেলেও সেটি খুব একটা বদলায়নি।
সাম্প্রতিককালের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী অবশ্য আধুনিকতা আর ঔপনিবেশিকতার ধারণাকে অনেকটা সাংঘর্ষিক হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। ভিন্ন কোনো দেশের প্রশাসন যখন কোনো একটি অঞ্চল বা সেই অঞ্চলের মানুষের ওপর জোরপূর্বক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে, সরল বিবেচনায় সেটিকেই ঔপনিবেশিকতা বিবেচনা করা হয়। ঔপনিবেশিকতার চরিত্র নিয়ে বিশেষ করে গত শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে সমাজবিজ্ঞানীরা অনেক রকম বিশ্লেষণই করার প্রয়াস পেয়েছেন। সে সকল বিশ্লেষণের সার সংক্ষেপ হিসেবে বলা যায়,ঔপনিবেশিক শাসকদের এই সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাটিই প্রতিফলিত হয়েছে বাংলা তথা ভারতবর্ষের শিল্পকলার ওপর ব্রিটিশদের তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গীতে। ‘আধুনিকতা‘ সেই অর্থে একটি পৃথক বিষয় কিন্তু এ দুইয়ের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। শিল্প- বিপ্লবের সূত্র ধরে ইউরোপে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের যে জোয়ার শুরু হয়েছিল, তা অনেকটাই বদলে দিয়েছিল মানব সমাজের চরিত্র। ইঞ্জিন-চালিত যোগাযোগ মাধ্যম, বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা ও শিল্প-কারখানার বিকাশ বিপুলসংখ্যক গ্রামবাসীকে করে তুলেছিল নগরমুখী, মানুষের জীবন-যাত্রায় হঠাৎ করেই আসতে শুরু করেছিল বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তিত জীবন-ব্যবস্থাকেই সংক্ষেপে আধুনিকতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পরিবর্তন অনিবার্যভাবেই প্রবলভাবে প্রভাবিত করেছিল মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনকে। উনিশ শতক থেকেই তাই বিশেষ করে শিল্পী ও সাহিত্যিকদের মধ্যে এই ধারণা প্রবল হতে শুরু করেছিল যে, যুগ যুগ ধরে চলমান শিল্পকলা, স্থাপত্য, সাহিত্য, দর্শন, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং এমনকি মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পর্যন্ত শিল্পায়নের ধাক্কায় এগিয়ে যাওয়া নয়া অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয়, এগুলোকে বদলে ফেলতে হবে। আধুনিকতার ধারণাটি তাই প্রকৃতপক্ষে শিল্প-সাহিত্যের জগৎকেই নাড়া দিয়েছে সবচেয়ে বেশি।
পাণ্ডুরাজার ঢিবি থেকে ক্যালকাটা আর্ট স্কুল বা আর্ট স্টুডিওর যুগে উত্তরণ নিঃসন্দেহে এক দীর্ঘ পরিক্রমার ফসল। ব্রিটিশ শাসন শুরুর আগে এই অঞ্চলে শিল্পচর্চার সবচেয়ে জোরালো ধারাটি ছিল দরবারকেন্দ্রিক, শাসক গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় যেখানে ওস্তাদ শিল্পীদের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে করতে শিখতেন নবীন শিল্পীরা। এর বাইরে ছিল তথাকথিত ‘বাজারি‘ শিল্পকলা, গ্রামবাংলার লোকশিল্পীরা যা আঁকতেন সাধারণ মানুষের জন্য। সমাজে প্রচলিত জাতিভেদ প্রথায় পটুয়া হিসেবে পরিচিত এই শিল্পীকুলের অবস্থান মোটেই সম্মানজনক ছিল না, তাঁরা বিবেচিত হতেন সমাজের একেবারে নিম্নতম শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে। দিল্লীর বাদশাহ আকবর প্রথম এই শ্রেণিভেদ প্রথার উর্ধে উঠে মেধার ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ আসলে ছিল খুবই সীমিত, তাই আঠারো শতকের শেষ এবং উনিশ শতকের গোড়ার দিকেও বাংলায় শিল্পীসমাজের সামাজিক অবস্থানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এমনিতেই ‘নেটিভ‘দের সম্পর্কে এক ধরনের উন্নাসিকতা ছিল ব্রিটিশদের, শিল্পীদের ক্ষেত্রে সেটা আরো জোরালো হয়েছিল নিজেদের সমাজেই তাদের নিম্ন অবস্থানের কারণে। আঠারো শতকেই ইংল্যান্ডে শুরু হয়ে গিয়েছিল একাডেমিক আর্টের বিপ্লব। লন্ডনের বিখ্যাত সাউথ কেনসিংটন স্কুলকে ঘিরে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, চোখে যা দেখা যায় তার হুবহু প্রতিচ্ছবি অংকনের রীতি ‘একাডেমিক রিয়েলিজম‘ পরিচয়ে পৌঁছেছিল গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার চূড়ান্ত পর্যায়ে। বাংলার শিল্পীরা এই ধারায় অভ্যস্ত ছিলেন না। সেটা যে কতটা অপছন্দ ছিল ব্রিটিশদের, তার খানিকটা ধারণা পাওয়া যায় ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জেমস মিলের কথায়। ১৮১৭ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত হিস্ট্রি অফ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ভারতবর্ষের শিল্পকলা ছিল ‘আদিম পর্যায়ের‘
হয়েছিল ‘সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্ট‘ নামে একটি জন-হিতৈষী সংঘের উদ্যোগে। এই সংঘের সদস্যদের চাঁদার টাকায় বিদ্যালয়ের খরচ কুলিয়ে ওঠা সম্ভব না হলে সরকারের কাছে দেন-দরবার করে মাসিক ছয়শত টাকা মঞ্জুরি আদায় করা সম্ভব হয়েছিল। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের আগে গভর্নর জেনারেল লর্ড ক্যানিংয়ের সৌজন্যে পাওয়া এই অনুদান অবশ্য যুদ্ধের পর কমে দাঁড়িয়েছিল মাসিক সাড়ে তিনশত টাকায়। ১৮৬৪ সালে বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণভাবে অধিগ্রহণ করে সরকার। অধিগ্রহণের শর্ত অনুযায়ী লন্ডনের সাউথ কেনসিংটন মিউজিয়ামের স্কুল অফ ডিজাইনের (সাধারণভাবে কেনসিংটন স্কুল নামে পরিচিত) প্রাক্তন শিক্ষার্থী হেনরি হোভার লককে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়। ১৮৬৪ থেকে ১৮৮২ পর্যন্ত অধ্যক্ষ থাকাকালে লকই মূলত এই স্কুলের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করেন। এ পাঠ্যক্রমের অংশ ছিল
ক. রেখাঙ্কন
খ. চিত্রাঙ্কন
গ. মডেলিং এবং মৃৎশিল্প
ঘ. কারুধর্মী নকশা (নির্মাতাদের উপযোগী ডিজাইন প্রণয়ন)
ঙ. লিথোগ্রাফি
চ. কাঠখোদাই এবং
ছ. ফটোগ্রাফি
‘নেটিভ‘ শিল্পীদের সৃজনশীলতা ছিল না, এই যুক্তিতেই ভারতবর্ষের শিল্পকলাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়ার পক্ষে ছিলেন ব্রিটিশ শিল্পবোদ্ধারা; কিন্তু আর্ট স্কুলের উল্লেখিত পাঠ্যক্রম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে প্রকৃতপক্ষে এই পাঠ্যক্রমেও সেই সৃজনশীলতার বিকাশের ওপর মোটেই জোর দেয়া হয়নি। এই পাঠ্যক্রমের বিষয়বস্তুসমূহ এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যেন শিক্ষার্থীরা দৃশ্যমান বস্তুকে যথাযথ অনুকরণ করতে এবং ব্যবহারিক ছবি ও নকশা আঁকতে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারে।
উত্তর-ঔপনিবেশিক যুগে অবনীন্দ্রনাথদের এই উদ্যোগকে বাংলায় শিল্পকলার আধুনিকায়নের অনুসঙ্গ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে বটে, কিন্তু তাঁর সমকালে এর উল্টো ধারণাও প্রচার করা হয়েছে। অবনীন্দ্রনাথের উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ এবং ক্যালকাটা আর্ট স্কুলে ভারতীয় শিল্পকলা শিক্ষার অন্তর্ভুক্তিকে ভালো চোখে দেখেননি এদেশের নব্য শিল্পবোদ্ধারাদের অনেকে। তাঁদের চোখে এই উদ্যোগ ছিল ‘প্রগতিশীল শিল্প শিক্ষার পথ রুদ্ধ করা‘র প্রচেষ্টা, আধুনিকতার বদলে পশ্চাৎমুখিতার পথে হাঁটার সমতুল্য। এর প্রতিবাদে ‘জুবিলি আর্ট স্কুল‘ নামে আলাদা একটি স্কুলই খুলে বসেছিলেন তাঁরা, যেখানে লক-প্রবর্তিত পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে পাশ্চাত্য শিল্পরীতিই শেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আধুনিকতা আর প্রগতিশীলতার যে সংজ্ঞা ইউরোপের সমকালীন সমাজকে আলোড়িত করছিল, এই রীতি কিন্তু এক অর্থে তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পারস্পেকটিভের ব্যবহার আর দৃশ্যবস্তুর হুবহু প্রতিফলন, একাডেমিক রিয়েলিজমের এই ধারণাকে ভেঙে-চুরে, নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রথা-বিরোধী ফর্ম, বিশেষ করে বিমূর্ততার ব্যবহারকেই আধুনিকতার অনুসঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু উনিশ শতকে বাংলার শিল্প-শিক্ষার ধারায় একাডেমিক রিয়েলিজমই ছিল প্রথা-বিরোধিতার রূপক। তাই কলকাতাকেন্দ্রিক স্টুডিও- আর্টিস্টদের কাছে সেটাই ছিল আধুনিকতা। এই ভাবনার নেপথ্যের কারণ শুধু ঔপনিবেশিক প্রভুদের অন্ধ আনুগত্যের মানসিকতা ছিল, এমনটা ভাবা কিন্তু ভুল হবে। এ কথা অনস্বীকার্য যে এই ধারার শিল্প-শিক্ষা তাদের সামাজিক উত্তরণের পথ দেখিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে সদ্য পাওয়া এই সামাজিক মর্যাদা হারানোর ভয়েই বাংলার ‘শিক্ষিত শিল্পীসমাজ‘ অবনীন্দ্রনাথ- হ্যাভেলদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। কারণ তাঁদের ভয় ছিল, প্রাচীন ভারতীয় পরম্পরার শিল্পশিক্ষায় প্রত্যাবর্তন হয়তো তাদের রুটিরুজির পথ রুদ্ধ করে দেবে। ‘আধুনিকতা‘র ধারণাটি অবশ্য গত দুই শতকে বদলে গেছে অনেকটাই, বিশেষ করে শিল্পকলার ক্ষেত্রে আধুনিকতার মানে কেবলই ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্দেশে ঐতিহ্যের অন্ধ অনুকরণকে ছুঁড়ে ফেলা নয়, এখন আধুনিকতার অন্যতম অনুসঙ্গ বিবেচনা করা হয় ঐতিহ্যের প্রতি আত্ম-সচেতনতাকেও।” কোনো প্রথাকে ভাঙতে চাইলে সেই প্রথাকে আত্মস্থ করতে হবে আগে, আর সে কারণেই প্রথা-বিরোধিতার অন্যতম অনুসঙ্গ সেই প্রথাকে জানা। আর আধুনিকতার অর্থ যদি হয় প্রথা-বিরোধিতা, একুশ শতকের আধুনিকতা তো হওয়া উচিৎ ঔপনিবেশিক শিল্প-শিক্ষার মধ্য দিয়ে জেঁকে বসা প্রথারও বিরোধিতা! সাম্প্রতিককালে তাই শিল্পকলার অব-ঔপনিবেশিকীকরণকেও বিবেচনা করা হয় আধুনিকতার অনুসঙ্গ। বাংলাদেশের শিল্পকলায়ও সেই ভাবনার প্রভাব খুঁজে নেয়া সম্ভব
সেই ভয়টা আজও আছে, আর সে কারণেই পাশ্চাত্য ধারার প্রতি পক্ষপাত এখনো বিদ্যমান।