অথবা, টীকা লেখো: চতুরাশ্রম প্রথা।
চতুরাশ্রম প্রথা:
ঋগ্বৈদিক যুগের শেষপর্বে চতুরাশ্রম প্রথার উদ্ভব ঘটে। ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের নব্বই সংখ্যক সূক্ত ‘পুরুষসূক্ত’-তে চতুর্বর্ণ বা চারটি বর্ণ, যথা-ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রের উদ্ভবের তত্ত্ব বর্ণিত হয়েছে। উচ্চ তিনবর্ণের আর্য সন্তানদের ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ্য ও সন্ন্যাস এই চারটি প্রথা পালন করতে হত। আট বছর বয়স হলেই আর্য বালককে ব্রহ্মচর্য আশ্রমে গুরুগৃহে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করতে হত। এই শিক্ষা সমাপ্তির পর যৌবনে বিবাহ সম্পাদন করে সংসারধর্ম পালনই ছিল গার্হস্থ্য আশ্রমের রীতি। বানপ্রস্য আতামে প্রৌঢ় বয়সে সংসারের মায়া ত্যাগ করে অরণ্যে গিয়ে তাকে ঈশ্বরচিন্তায় কালাতিপাত করতে হত। সবশেষে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করে ইহলৌকিক বিষয়ে সম্পূর্ণ নিরাসক্ত হয়ে পরিব্রাজক সন্ন্যাসীর আদর্শ গ্রহণ করতে হত।