ছোটগল্প হিসেবে ‘শাস্তি’ গল্পের সার্থকতা সংক্ষেপে বিচার করো।

“শাস্তি” গল্পের নামকরণের সার্থকতা হলো, এটি গল্পের মূল বিষয়বস্তু এবং শেষ পরিণতিকে ভালোভাবে প্রকাশ করে। গল্পে, চন্দরা নামের একজন নারী, তার স্বামীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে এবং পরে স্বামীর হাতেই নিহত হয়। এই ঘটনাটি একদিকে যেমন চন্দরাকে শাস্তি দেয়, অন্যদিকে, স্বামীর উপর সমাজের চাপ এবং তার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতাও “শাস্তি”র শিকার হয়। এই অর্থে, গল্পের নামকরণটি গল্পে বর্ণিত জটিল পরিস্থিতি এবং এর পরিণতিকে সুন্দরভাবে তুলে ধরে।

• চন্দরা ও সমাজের শাস্তি:

চন্দরা, তার স্বামীর দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়। এই নির্যাতন, যা মূলত সমাজের প্রচলিত ধারণা এবং দুর্বলতা থেকে আসে, তাকে এক প্রকারের শাস্তি দেয়। চন্দরা কেবল শারীরিক শাস্তি নয়, বরং সমাজের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী তার জীবন ও অধিকার কেড়ে নেওয়ার শাস্তি ভোগ করে।

• দুঃখী ও সমাজের শাস্তি:

গল্পের অন্য চরিত্র, দুঃখীও “শাস্তি”র শিকার। অর্থের অভাব, সামাজিক দুর্বলতা এবং মানসিক অস্থিরতা তার উপর চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ তাকে এমন এক পথে চালিত করে, যেখানে সে নিজের স্ত্রীকেই হত্যা করে। এই অর্থে, দুঃখীও সমাজের দ্বারা সৃষ্ট এক প্রকারের শাস্তির শিকার।

• গল্পের সমাপ্তি:

গল্পে চন্দরা এবং দুঃখীর পরিণতি, তাদের প্রত্যেকেরই এক ধরনের “শাস্তি”। চন্দরা, শারীরিক ও মানসিক কষ্টের শিকার হয়ে মারা যায়। দুঃখী, তার কৃতকর্মের জন্য চরম দুঃখ ও অনুশোচনা নিয়ে বাঁচে। গল্পের শেষ এই পরিণতিই প্রমাণ করে, “শাস্তি” নামকরণের সার্থকতা।

“শাস্তি” গল্পটি কেবল একটি ঘটনার বিবরণ নয়, বরং এটি সমাজের বিভিন্ন দিক এবং মানুষের দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতার এক গভীর প্রতিচ্ছবি। গল্পের নামকরণ, এই প্রতিচ্ছবিটিকে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading