দক্ষিণ ভারতের মেগালিথ

অথবা, মহাশ্মীয় সংস্কৃতি সম্বন্ধে যা জানো লেখো।

মহাশ্মীয় সংস্কৃতি সম্বন্ধে যা জানো লেখো

দক্ষিণ ভারতে লোহার ব্যবহারের সূত্রপাতের সঙ্গে ‘মেগালিথ’ বা ‘মহাশ্মীয়’ সমাধি প্রথা জড়িত। দক্ষিণ ভারতের মহাশ্মীয় সমাধি থেকে লৌহযুগের অনেক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। এই অঞ্চলের মেগালিখ নানা ধরনের হয়। যেমন-গর্ত সমাধি, কক্ষ সমাধি, স্মারক সমাধি প্রভৃতি। যাই হোক, এইসব সমাধি থেকে প্রাপ্ত লৌহনির্মিত জিনিসগুলির মধ্যে বর্শাফলক, কাস্তে, বাণফলক, কুঠার, ত্রিশূল, হাঁসুলি, তরবারি, তেপায়া, প্রদীপ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। লোহার জিনিস ছাড়াও এইসব সমাধিতে কালো ও লাল মৃৎপাত্র, পাথর, পোড়ামাটির জিনিস, সোনা, রূপো, ব্রোঞ্জের জিনিসও আবিষ্কৃত হয়েছে। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, অস্ত্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে মহাশ্মীয় সমাধি আবিষ্কৃত হয়েছে

দক্ষিণ ভারতে লৌহযুগের মহাশ্মীয় সংস্কৃতি ছিল গ্রাম গড়ার সংস্কৃতি। গ্রামীণ জীবনের ভিত্তি ছিল কৃষি, পশুপালন ও শিল্প-কারিগরি। সেখানে চাষবাসের ভিত্তি ছিল গম, যব, ধান, বাজরা, ডাল প্রভৃতি। এ ছাড়া মৃৎপাত্র, কাঠের কাজ ও ধাতুর কাজ যথেষ্ট সংঘবন্ধভাবে ছিল। যাই হোক, এই সমাধিগুলির সময়সীমা 600-200 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে ধার্য করা হয় এবং এই সময়ই দক্ষিণ ভারতে ঐতিহাসিক যুগ গড়ে উঠেছিল। তাই ভারতের ইতিহাসে এই পর্যায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

টীকা লেখো: সপ্তসিন্ধু।

সভা ও সমিতি।

টীকা লেখো: ‘ঋগবেদ’

বর্ণব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?

আর্য শব্দের অর্থ কী? অথবা, আর্য বলতে কী বোঝো?

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading