‘নাট্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ বলতে কী বোঝো? এই সম্পর্কে আলোচনা করো।

নাটকীয় আইন:


1876 ​​সালে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুক প্লেজ রেগুলেশন অ্যাক্ট নামে একটি আইন প্রণয়ন করেন। এর পেছনে মাস্টারমাইন্ড স্যার রিচার্ড টেম্পল। বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর মন্দির সাহেব এই নাটকের মঞ্চায়নকে একটি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বলে বর্ণনা করেন। তিনি 1857 সালের সিপাহী বিদ্রোহ ঘটাতে গুজবের ভূমিকার কথা কেন্দ্রীয় সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি সরকারকে আরও সতর্ক করেছিলেন যে দেশে ইতিমধ্যেই ব্যাপক স্থানীয় কৃষক বিদ্রোহ চলছে যা ভবিষ্যতে একটি জাতীয় বিপ্লবে সংগঠিত হতে পারে।
নীল দর্পণ নাটকটি যখন মঞ্চস্থ হচ্ছিল তখন বিদ্যাসাগর নিজে দেখতে গিয়েছিলেন। নাটকের চরিত্রগুলো এতই প্রাণবন্ত ছিল এবং নীল চাষীদের নিষ্ঠুর অত্যাচার নাটকের মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছিল যে বিদ্যাসাগর তার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ইংরেজদের দিকে তার টুপি ছুড়ে ফেলেন। যা থেকে বোঝা যায় যে এই নাটকটি মঞ্চস্থ করা দ্বিধারী তলোয়ারটি অনেক বেশি ধারালো ছিল। তাই এই সব নাটককে ব্রিটিশরা খুব ভয় পেত।

‘নাট্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ আইনের উদ্দেশ্য:

  1. নাটকের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের বিস্তার রোধ করা;
  2. ব্রিটিশ সরকারের জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি রক্ষা করা;
    যেকোনো রাজনৈতিক নাটক ও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করা।

‘নাট্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ ফলাফল:

  • বন্যার জলকে কোনো বাঁধ আটকে রাখতে পারেনা, ব্রিটিশরা ভারতীয়দর আটকে রাখতে পারবে না
  • ব্রিটিশ রা বেছে বেছে এমন নাটক কে বাজেয়াপ্ত করত যেগুলো জাতিয়তাবাদী ভাবধারা প্রচার করতে
  • ভারতীয়দর চাপে পড়ে অবশেষ এই আইন তুলে দেওয়া হয়
  • লর্ড রিপন এই আইন তুলে দেন

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading