“পাণ্ডুলিপি” হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা, যা তার কাব্যগ্রন্থ “গীতাঞ্জলি” অন্তর্গত। এই কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতার কথা বলতে গিয়ে পাণ্ডুলিপি, অর্থাৎ কাগজের পত্র, হৃদয়ের চিঠি বা মনোবলের বাণীতে কবিতা রচনা করার কথা বলেছেন।
এই কবিতা তার কবিতা রচনা করার প্রক্রিয়া, কবিতা রচনা হওয়ার পথ এবং কবিতা হওয়ার অভিজ্ঞান নিয়ে মাত্র নয়, বরং এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার উদ্দীপণা, চেষ্টা এবং উৎসাহ কেন্দ্র করা হয়েছে। কবিতায় তিনি বোধ করিয়েছেন কবিতা রচনা করা হলে কীভাবে মন, আত্মা, এবং প্রকৃতির সাথে মিলে যায়, কিভাবে কবিতা মাধ্যমে একটি আলোকিত মনোভাব বোঝা হয় এবং এটি সৃষ্টি হয়।
পাণ্ডুলিপি বা কাগজের পত্র হচ্ছে একটি শব্দ, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতায় কবিতা লেখার মাধ্যমে ব্যক্তিগত এবং প্রকৃতির সাথে একধারে হয়ে উঠে। কবিতা রচনার মাধ্যমে কবির চিন্তা, আত্মা, ও প্রকৃতির সঙ্গে তার একটি অদ্বিতীয় যোগসংযোগ তৈরি হয় এবং তার মনোভাব কে আলোকিত করা হয়। কবিতায় তিনি কবিতা রচনা করতে যে ভাবনা, যে আত্মা বা চেতনা অনুভূত করেন, সেই অদ্ভুত অভিজ্ঞান ও আলোকিত মনোভাবকে একটি কাগজের পত্রের মাধ্যমে অভিবাদন করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাণ্ডুলিপি কবিতা বিশেষভাবে তার কবিতার উদ্দীপণা এবং রচনার প্রক্রিয়া নির্দেশনা করে। কবি নিজেকে একটি কাগজের পত্র হিসেবে চিত্রিত করে এবং তার কবিতা রচনার পথে প্রবৃদ্ধি হাসিল করতে যে চেষ্টা করেন, সেই চেষ্টার মাধ্যমে তিনি আত্মবিশ্লেষণ করেন। তার চিন্তার পথে অতি সুন্দরভাবে বর্ণিত হয় এবং কবিতা হয়ে একটি আলোকিত ব্যক্তিত্বের সাক্ষাত্কার হয়।
“পাণ্ডুলিপি” কবিতায় কবি নিজের চিন্তার গভীরতা, আত্মবিশ্লেষণ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি থাকা হৃদয়ের ভাবনা গুলি বিস্তারিত হয়েছে। এটি তার আত্মজীবন এবং কবিতা রচনার সম্পর্কে একটি অদ্বিতীয় দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে প্রকাশ পায়, যা তার কবিতা এবং সাহিত্যের প্রকৃতির সাথে একজন কবির সম্পর্ক নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।