বাংলায় শৈবধর্মের বিস্তারে পাশুপত সম্প্রদায়ের ভূমিকা অগ্রণণ্য। পাশুপত সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব শুরু হয়েছিল পাল যুগে। এই সম্প্রদায় প্রবর্তক ছিলেন লকুলীশ। তাঁর চারজন শিষ্য ছিলেন কৌশিক, গর্গ, মিত্র ও কৌরুষ্য, যাঁরা পাশুপত সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন শাখার প্রবর্তন করেন। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে প্রথম শুরপাল শৈবাচার্য পরিষদকে দুটি গ্রাম দান করেছিলেন। নবম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নারায়ণপাল তাঁর ভাগলপুর শাসনে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি এই শাসনের মাধ্যমে পাশুপত আচার্য পরিষদকে তীরভূক্তি গ্রাম দান করেন।
পালরাজ নয়পালের অধীনস্থ ‘বানগড় প্রশস্তি’ থেকে জানা যায় যে. খ্রিস্টীয় একাদশ শতাব্দীতে উত্তরবঙ্গে অর্থাৎ বরেন্দ্রভূমির বানগড় অঞ্চলে অনুগ্র দুর্বাসা সম্প্রদায়ের শৈবাচার্যগণ বসবাস করতেন। পাশুপত ধর্ম পরবর্তীকালে আগমান্ত শৈবরূপে আত্মপ্রকাশ করে।