বড়ু চন্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যকে আখ্যানকাব্য বলার কারণ  ব্যাখ্যা কর।

বড়ু চন্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যকে আখ্যানকাব্য বলার কারণ

বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যকে আখ্যানকাব্য বলা হয় কারণ এর মধ্যে প্রধানত শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, তার দেবত্ব এবং মানবিক দিকের কাহিনির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আখ্যানকাব্য সাধারণত এমন এক ধরনের কাব্য যেখানে ঘটনা বা কাহিনির মাধ্যমে চরিত্রের বিকাশ এবং আদর্শের চর্চা করা হয়।

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বড়ু চন্ডীদাস শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন দান, তার রূপ, তার সঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং তার কার্যকলাপের মাধ্যমে মানবজীবনের নানা দিক তুলে ধরেছেন। কাব্যটির আখ্যানভিত্তিক রচনাশৈলী ও চরিত্রের বিকাশের মাধ্যমে এই আখ্যানকাব্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এছাড়া, এই কাব্যটির মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের লীলার বর্ণনা, তার সম্পর্কের দিকগুলো, এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা একসাথে আখ্যানমূলকভাবে গাঁথা হয়েছে, যা কাব্যটিকে আখ্যানকাব্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading