কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রাহী’ কবিতা সমাজের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এবং আত্মশক্তির উদ্বোধনের দিকে একটি আহ্বান করে। এই কবিতার মাধ্যমে কবি সমাজে বিদ্রাহী চরিত্রের মাধ্যমে জনগণকে উত্তরণ করতে, আত্মশক্তি উদ্বোধন করতে, স্বাধীনতা অর্জন করতে আহ্বান জানাচ্ছেন।
‘বিদ্রাহী’ কবিতার বিষয়বস্তু:
কবিতা ‘বিদ্রাহী’ তিনটি অংশে বিভক্ত হয়ে থাকে এবং প্রতিটি অংশে কবি একটি বিশেষ চরিত্র বর্ণনা করেন, যারা সমাজের অসাধু ব্যবস্থা বিরুদ্ধে এবং আত্মশক্তির দিকে প্রবৃদ্ধি করতে চান। প্রথম অংশে কবি একটি ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণ চরিত্র উপস্থাপন করেন, যা সমাজের অসাধু ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তার আত্মশক্তি উদ্বোধন করতে চায়। দ্বিতীয় অংশে একজন যৌবন ভরা যুবক চরিত্রের মাধ্যমে কবি সমাজের জনগণকে প্রেরণা দিতে চান। তৃতীয় অংশে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তির চরিত্র উপস্থাপন করা হয়, যারা মুক্তি এবং স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে চান।
ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণ:
প্রথম চরিত্রটি একটি ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণের চরিত্র, যিনি সমাজের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এবং আত্মশক্তি উদ্বোধনের দিকে একটি আহ্বান করে। এই ব্রাহ্মণ চরিত্রটি বৈষ্ণব ধর্ম অনুষ্ঠান করে, তবে তার আত্মশক্তি এবং বৈষ্ণব সাধনার মাধ্যমে সমাজের প্রতি যত্ন জানানো হয়। এই ব্রাহ্মণ চরিত্রটি সমাজের প্রতি তার অমূল্যবান শিক্ষা এবং আদর্শ প্রদর্শন করে, যার মাধ্যমে তিনি সমাজকে নতুন দিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করতে চায়।
যৌবন ভরা যুবক:
দ্বিতীয় চরিত্রটি একটি যৌবন ভরা যুবকের, যিনি সমাজের অসাধু ব্যবস্থা বিরুদ্ধে লড়াই করতে উদাহরণ হিসেবে উঠেছে। এই যুবক চরিত্রটি সমাজের জনগণকে প্রেরণা দিতে চায় এবং আত্মশক্তি ও স্বাধীনতা অর্জন করতে তার অদৃশ্য শক্তিগুলির পরিচয় করিয়ে তোলতে চায়।
যুদ্ধক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি:
তৃতীয় চরিত্রটি যুদ্ধক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তির চরিত্র, যিনি মুক্তি এবং স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে চায়। এই চরিত্রটি যুদ্ধবিপ্লবের মাধ্যমে সমাজকে স্বাধীনতা এবং মুক্তির দিকে প্রবৃদ্ধি করতে চায়।
বিষয়বস্তু:
কবিতা “বিদ্রাহী” তিনটি চরিত্রকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করে, যা সমাজের অসাধু ব্যবস্থা বিরুদ্ধে এবং আত্মশক্তি উদ্বোধনের দিকে একটি আহ্বান জানাচ্ছে। এই চরিত্রগুলির মাধ্যমে কবি সমাজকে প্রেরণা দিতে, জাগরুক করতে এবং একটি নতুন সমাজমূল্য উৎপন্ন করতে চায়। কবি মূলত সাহিত্যিক মাধ্যমে সমাজকে একটি নতুন দিকে উত্তরণ করতে, আত্মশক্তি এবং স্বাধীনতার পথে প্রচুর প্রচার করতে চায়।
মন্তব্য এবং ব্যাখ্যা:
কবিতা ‘বিদ্রাহী’ তিনটি অংশে দেখা যায়, প্রতিটি অংশে কবি একটি বিশেষ চরিত্র চিত্রিত করেন, যা সমাজের অসাধু ব্যবস্থা বিরুদ্ধে এবং আত্মশক্তির দিকে প্রবৃদ্ধি করতে চান।
ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণ চরিত্র: প্রথম অংশে কবি একটি ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণ চরিত্র চিত্রিত করেন, যা সমাজের প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এবং আত্মশক্তির দিকে প্রবৃদ্ধি করতে চায়। এই ব্রাহ্মণ চরিত্র বিশেষভাবে অসাধু ব্যবস্থা বিরুদ্ধে তার অস্তিত্ব ও আত্মশক্তির দিকে প্রতিষ্ঠিত থাকতে চায়।
যৌবন ভরা যুবক চরিত্র: দ্বিতীয় অংশে কবি একটি যৌবন ভরা যুবক চরিত্র চিত্রিত করেন, যারা সমাজের অসাধু ব্যবস্থা বিরুদ্ধে এবং আত্মশক্তির দিকে প্রবৃদ্ধি করতে চান। এই যুবক চরিত্রটি সমাজের প্রতি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং সমাজের জনগণকে প্রেরণা দিতে চায়।
যুদ্ধক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তির চরিত্র: তৃতীয় অংশে কবি একটি যুদ্ধক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তির চরিত্র চিত্রিত করা হয়, যারা মুক্তি এবং স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে চান। এই চরিত্রটি মুক্তি এবং স্বাধীনতা অর্জন করতে তার প্রবর্তন করতে চায়।
উপসংহারঃ
“বিদ্রাহী” কবিতা মৌল্যবান একটি গ্রন্থ, যা সমাজের অসাধু ব্যবস্থা বিরুদ্ধে এবং আত্মশক্তির দিকে প্রবৃদ্ধি করতে চেষ্টা করে। কবি একজন উদার মানুষ, যিনি নিজেকে এবং অন্যদেরকে একটি নতুন মৌল্যবোধ এবং দৃষ্টিকোণের সাথে মেলাতে চান। এই কবিতা আমাদেরকে উৎসাহিত করতে চায় বিশেষভাবে সামাজিক বাধা এবং নিজের সাহিত্যিক মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের দিকে এগিয়ে আসতে।