প্রস্তর যুগের দ্বিতীয় পর্যায় হল মধ্যপ্রস্তর যুগ। এই যুগকে ‘ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগ’ও বলা হয়। মধ্যপ্রস্তর যুগের প্রত্নতত্ত্বকেন্দ্রগুলি ভারতবর্ষের প্রতিটি অঞ্চলের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
গুজরাটের লংগনাজ ছিল মধ্যপ্রস্তর যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানকার মানুষের প্রধান হাতিয়ার ছিল পাথরের টুকরো এবং পাথরের নুড়ি। মধ্যপ্রস্তর যুগের বহু নিদর্শন ভারতের সিন্ধু দেশে, দক্ষিণের ভিনেভেলিতে এবং পূর্বের পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া গেছে।
পশ্চিমবঙ্গোর বীরভানপুর ছাড়াও বীরভূম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় প্রভৃতি জায়গায় মধ্যপ্রস্তর যুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।
পঞ্জাবের সাংখা; রাজস্থানের লুনি উপত্যকা ও বাগোর; মধ্যপ্রদেশের ভীমবেটকা; উত্তরপ্রদেশের সারাই নীহার রাই, চোপানি মানডো; বিহারের পৈষরা, পাটনা, ভাগলপুর, মুক্তোর; ওড়িশার সিংভূম, হরিচন্দনপুর; তামিলনাড়ুর তেন্নেভেলি; কর্ণাটকের সন্টোনাভাল্লু, মহারাষ্ট্রের নেভাসা; অত্মপ্রদেশের রামতীর্থ পায়া, করিমনগর প্রভৃতি জায়গায় মধ্যপ্রস্তর যুগের প্রত্নতত্ত্বকেন্দ্রের সন্ধান পাওয়া গেছে।