যতি কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ অর্থ-যতির সঙ্গে ছন্দ-যতির পার্থক্য লেখো।

যতি কাকে বলে?

বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বুঝার জন্য বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের সমাপ্তিতে অথবা বাক্যে আবেগ (হর্ষ, বিষাদ, অনুভূতি), জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে যেসব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে যতি বা ছেদচিহ্ন বলে।

যেমন: দাড়ি,কমা,সেমিকোলন,প্রশ্ন বোধক চিহ্ন ইত্যাদি।

যতিচিহ্নকে বিরাম চিহ্নও বলা হয়।বিরাম অর্থ থামা বা বিশ্রাম নেয়া। আমরা এক নাগাড়ে বিরতিহীনভাবে পড়তে পারি না। আবার কোনো কিছু একটানা পড়া সম্ভবও নয়।এজন্য বাক্যের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী থামার সংকেত প্রদান করে যেসব সাংকেতিক চিহ্ন, তাদের যতিচিহ্ন বলে।সহজভাবে বললে দাড়ি(।), কমা(,),হাইফেন (-),সেমিকোলন (;) ইত্যাদি যতিচিহ্ন। এরা বাক্যের অন্তর্নিহিত ভাব বুঝতেও সাহায্য করে। যেমন, কোনো বাক্যে আবেগসূচক চিহ্ন দ্বারা ঐ বাক্যের অন্তর্নিহিত ভাব বোঝা যাবে। উদাহরণস্বরূপঃ বাহ! কি চমৎকার কবিতা।

যতিচিহ্ন কয় প্রকার ও কি কি?

বাংলায় যতি বা ছেদ চিহ্ন ১২টি।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যতিচিহ্নসমূহ

•             ২ যতি বা ছেদ চিহ্নের ব্যবহার ২.১ কমা বা পাদচ্ছেদ (,) ২.২ সেমিকোলন বা অর্ধচ্ছেদ (;) ২.৩ দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ (।) ২.৪ প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) ২.৫ বিস্ময় ও সম্বোধন চিহ্ন (!) ২.৬ কোলন (:) ২.৭ ড্যাশ (—) ২.৮ কোলনড্যাশ (:-) ২.৯ হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-) …

উদাহরণসহ অর্থ-যতির সঙ্গে ছন্দ-যতির পার্থক্য:

কথার অর্থ স্পষ্ট বুঝে নেওয়া আর দাম ঠিক রাখা-এই ২টি প্রয়োজনে গদ্য বা পদ্য পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে অনিয়মিত যে থামা, তার নাম ‘ছেদ’। আর, কবিতার পদ্য উচ্চারণ করতে করতে ছন্দের তালে তালে নিয়মিত যে থামা, তরা নাম ‘যতি’। ছেদের জায়গা বোঝানোর জন্য ২-রকমের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়-কম থামার চিহ্ন কমা (,) আর পুরো থামার চিহ্ন দাঁড়ি; সেমিকোলন (।;) ইত্যাদি। অমূল্যধন ২-রকম যতির কথা বলেছেন-কম থামার নাম অর্ধযতি, পুরো থামার নাম পূর্ণযতি। অর্ধযতির চিহ্ন (1), পূর্ণযতির চিহ্ন (II)।

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading