অথবা, অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিক্ষণ কাকে বলে? অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখণের শিক্ষাগত প্রয়োগ লেখো।
অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিক্ষণঃ-
হলিস্টিকরা বলছেন যে প্রাণী শিক্ষা দুটি মানসিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা সম্ভব হয়েছে যথা- (i) ব্যক্তিকরণ (ii) হ্রাস। এই দুটি মানবিক বৈশিষ্ট্যের সাথে, যেকোন শিক্ষাকে সরিয়ে ব্যক্তিগতকরণ বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণ করার প্রয়োজন রয়েছে। তারপর তিনি এর অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সূত্র প্রস্তুত করেন। এই অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য হ্রাস পশুর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের সাথে সমস্যা হতে পারে। এটি প্রাণীদের সমস্যা সমাধান করতে এবং শিখতে সক্ষম করে, একটি প্রক্রিয়া যাকে স্বজ্ঞাত শিক্ষা বলা হয়।
শিক্ষাগত প্রয়োগ:-
শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ তার ‘Gestalt’ তত্ত্ব আজ শ্রেণীকক্ষে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ-
ব্যাপকতার নীতি:- শ্রেণীতে, শিক্ষক প্রথমে শিক্ষার্থীদের কাছে সম্পূর্ণভাবে বিষয় উপস্থাপন করবেন। তারপর পুরো উপাদানটিকে বিভাগে ভাগ করে বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করুন। এই নীতির ভিত্তিতে শিক্ষাক্ষেত্রে সার্বিক থেকে আংশিক অগ্রগতির নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
লার্নার অ্যাক্টিভিজম:
অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার আরেকটি দিক হল লার্নার অ্যাক্টিভিজম। বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্র সক্রিয়তার নীতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এজন্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে সক্রিয় করতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। যাতে শিক্ষার্থীর মনে সেই অন্তর্দৃষ্টি জাগ্রত হয়।
স্বজ্ঞাত শিক্ষা:
Gestalt তত্ত্ব অনুসারে, অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষা সম্পন্ন হয়। তাই, শিক্ষককে ক্লাসে এমনভাবে উপাদান উপস্থাপন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থী সমস্যা পরিস্থিতির বিভিন্ন অংশের মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করতে পারে।
পদ্ধতিগত বিধান:
ক্লাসে শিক্ষকদের শেখানো বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিষয় উপস্থাপন করতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীদের অন্তর্দৃষ্টির বিকাশ সম্ভব।
লক্ষ্যের ধারণা:
সামগ্রিকতাবাদীদের মতে, শিক্ষকের শিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। লক্ষ্য অনুযায়ী তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তাই শেখার বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের তাদের জীবন বিকাশে সহায়তা করবে।
বিচ্ছিন্নকরণ এবং ন্যূনতমকরণ:- স্বতঃস্ফূর্ত শিক্ষা তত্ত্ব অনুসারে, শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিচ্ছিন্ন করে এবং তারপরে ছোট সূত্র তৈরি করে শেখার সম্পূর্ণ করবে। তাই শিক্ষককে সচেতন হতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে সহজ সূত্র তৈরি করতে পারে।
যান্ত্রিক প্রচেষ্টা হ্রাস:
এই শেখার কৌশল অনুসারে, শিক্ষকের কর্তব্য হল মুখস্থ করার প্রবণতাকে রোধ করে পাঠ্যের অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে শিক্ষার্থীকে সহায়তা করা।
অবিচ্ছিন্ন উপস্থাপনা:
শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠদানের উপাদানগুলি ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি সহজেই জাগ্রত হয়।
সময় এবং প্রচেষ্টা হ্রাস:
Thondike এর ট্রায়াল এবং এরর পদ্ধতিতে Gestalt পদ্ধতির মতো এত সময় এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয় না। ফলে শিক্ষার্থীদের সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়।
আত্মনিয়ন্ত্রণ:
শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে Gestalt নীতি অনুসরণ করলে আত্মনিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পায়। কারণ এতে শিক্ষার্থীর ভালো বুদ্ধির বিকাশ ঘটে এবং তার নৈতিকতা ও জ্ঞানেরও উন্নতি ঘটে।