সাক্ষাৎকার পদ্ধতি কি? সাক্ষাৎকারের বিভিন্ন ধরন ও প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা কর।

সাক্ষাৎকার পদ্ধতি কি?

গবেষণা পদ্ধতি ও পরিসংখ্যান চ্যাপ্টার থেকে এই “সাক্ষাৎকারের সংজ্ঞা, সফল সাক্ষাৎকারের প্রয়োজনীয় শর্তাবলি, উত্তম সাক্ষাগ্রহণকারীর গুণাবলি এবং সাক্ষাৎকারের প্রকারভেদ” গুলো এখানে আমরা আলোচনা করলাম। এই প্রশ্নটি তোমরা যারা DSC 3rd Semester SEC-1 পরছো তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হতে পারে। তবে হ্যাঁ তোমরা তোমাদের যেকোনো পরিক্ষার জন্য এটিকে ব্যবহার করতে পারবে। সাক্ষাৎকার এর Free PDF ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবে।

সাক্ষাৎকার (Interview):

সামাজিক গবেষণায় প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচলিত কৌশল হলো সাক্ষাৎকার। বর্তমানে সামাজিক বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখাতেই এ কৌশলটির গুরুত্ব ও ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য Benny and Hughes “সমাজবিজ্ঞানকে সাক্ষাৎকারের বিজ্ঞান (The science of the interview) বলে অভিহিত করেছেন। এ কৌশলের মাধ্যমে সাক্ষাৎ গ্রহণকারী এবং উত্তরদাতার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সাক্ষাগ্রহণকারী উদ্দেশ্যমূলক কথোপকথনের (Conversation) মধ্য দিয়ে উত্তরদাতার নিকট থেকে প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহ করে নেন। সাক্ষাৎকার মূলত একটি মিথস্ক্রিয়ারত প্রক্রিয়া (Interactional Process)। সাক্ষাৎকার উপাত্ত সংগ্রহের একটি মৌখিক কৌশল (Verbal Technique) হিসেবে স্বীকৃত।

সফল সাক্ষাৎকারের প্রয়োজনীয় শর্তাবলি (Necessary Conditions for a Successful Interview):

সামাজিক গবেষণায় সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে উত্তরদাতার নিকট থেকে সঠিক, নির্ভুল এবং পরিমাপযোগ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা সহজ ব্যাপার নয়। কারণ সাক্ষাগ্রহণকারীর বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা, উত্তরদাতার আগ্রহ, সামর্থ্য ও প্রেষণা এবং সাক্ষাৎকারের বিভিন্ন মাধ্যমের উপযুক্ততা প্রভৃতি উপাত্ত সংগ্রহের বিষয়টিকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এছাড়াও সাক্ষাৎকার উদ্দেশ্যমূলক মুখোমুখি কথোপকথন প্রক্রিয়া হওয়ায় উত্তরদাতা তার চিন্তা, চেতনা, প্রয়োজন, সমস্যা প্রভৃতি ব্যক্ত করতে দ্বিধা ও সংকোচবোধ করেন। উপযুক্ত সম্ভাব্য প্রতিকূল অবস্থাগুলোকে নিরসন করে সফল সাক্ষাৎকারের উপযুক্ত পরিবেশ এবং উত্তরদাতার সাথে সুসম্পর্ক সৃষ্টির উদ্যোগ সাক্ষাগ্রহণকারীকেই নিতে হয়। Cannell and Kahn (Lindzey and Aronson, 1968, Vol. 2] সফল সাক্ষাৎকারের তিনটি অপরিহার্য উপাদানের কথা উল্লেখ করেছেন। নিম্নে অপরিহার্য উপাদানগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

প্রথমত, সুগমতা (Accessibility):

গবেষক গবেষণার উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক যেসব তথ্য (Information) জানতে চান সাক্ষাৎদানকারীর (উত্তরদাতা) নিকট সেসব তথ্যের সহজলভ্যতা এবং সরবরাহের পথ সুগম থাকতে হবে। অন্যথায় উত্তরদাতা প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হন না। নানাবিধ কারণে উত্তরদাতা তথ্যের এ ধরনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে পারেন না।

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading