সাময়িকপত্রের ইতিহাসে তত্ত্ববােধিনী পত্রিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ?

অথবা, বাংলা সাময়িকপত্রের ইতিহাসে তত্ত্ববােধিনী পত্রিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

সাময়িকপত্রের ইতিহাসে তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা:

১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে ১৬ আগস্ট প্রকাশিত হয় বাংলা সাময়িকপত্রের ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযােগ্য একটি পত্রিকা ‘তত্ত্ববােধিনী’। রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন এই পত্রিকার পরিচালক এবং সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহ অক্ষয় কুমার দত্ত ছিলেন এই পত্রিকার প্রথম সম্পাদক। পরে অবশ্য সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর বা রবীন্দ্রনাথ এই পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব বিভিন্ন সময়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। এই পত্রিকাটি ছিল তত্ত্ববােধিনী সভার মুখপত্র। এই পত্রিকার কয়েকটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হল—

তত্ত্ববােধিনী পত্রিকার বৈশিষ্ট্য:

• ধর্ম, সাহিত্য, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে দর্শন, ইতিহাস, ভূগােল, সমাজনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের আলােচনা এই পত্রিকাটিতে প্রকাশিত হত বলে ‘তত্ত্ববােধিনী’র বিষয়-বৈচিত্র্য সেই যুগে সকলেরই নজর কেড়েছিল।

• কেবল দেশীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা বা প্রকাশ নয়, ইউরােপীয় বিজ্ঞান-বিষয়ক গ্রন্থ বা তথ্যনিষ্ঠ রচনার অনুবাদও এই পত্রিকাতে নিয়মিত প্রকাশিত হওয়ায় বাঙালির মানসমুক্তিতে ‘তত্ত্ববাধিনী পত্রিকা অনেকাংশে সাহায্য করেছিল।

• এই পত্রিকার ভাষা ছিল ঋজু এবং সহজসরল।

• এই পত্রিকাকে কেন্দ্র করে সেই সময়ে একটি শক্তিশালী লেখকগােষ্ঠী তৈরি হয়ে উঠেছিল যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অক্ষয় কুমার দত্ত, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ। এঁদের চিন্তাশীল রচনা বাঙালি জাতির রুচি ও সৃষ্টিশীলতাকে উৎকর্ষের শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল।


দিগ্‌দর্শন পত্রিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ?

‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও গুরুত্ব লেখাে

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading