সামাজিক ও উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার প্রভাব
সংবিধানে ১০৩তম সংশোধনী অনুযায়ী, আর্টিকেল ১৫ (৬) এবং ১৬ (৬) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সংবিধানে। এর ফলে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া যাবে। ২০১৯ – এর জানুয়ারিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সংস্থান করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত সরকারি চাকরির নিয়োগে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণের সুবিধা কতজন পেয়েছে সেই তথ্য পাওয়া যাবে ডিওপিটি-তে। তাতে বর্তমান বছর শুরুর পর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করলেই এই হিসাব মিলবে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দু’বছরে আসন সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে, যাতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়। তপশিলি, তপশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য চালু সংরক্ষণ ব্যবস্থা যাতে না প্রভাবিত হয়, সেকথা ভেবেই। ১৫৮টি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৬৬টি আসন (২০১৯-২০ ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৮৩টি অতিরিক্ত আসন এবং ২০২০-২১ – এ ৯ হাজার ৭৮৩টি অতিরিক্ত আসন) – এর জন্য ৪ হাজার ৩১৫ কোটি ১৫ লক্ষ অনুমোদন করা হয়েছে।
তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং সামাজিক ও শিক্ষাগতভাবে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য চালু সংরক্ষণ কর্সূচির অধীনে যেসব ব্যক্তি করছেন না, তাঁদের জন্যই একমাত্র অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কার্যকর হবে।