শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কটি খন্ড রয়েছে? খন্ড গুলির পরিচয় দাও।

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত আলোচনা বড়ু চণ্ডীদাস রচিত ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন এক অনন্য রচনা। এটি শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমলীলা এবং তাদের সম্পর্ককে ঘিরে এক সুন্দর আখ্যান গড়ে তোলে। প্রেম, বিরহ, মিলন এবং কৌশলপূর্ণ সম্পর্কের জটিলতাকে কেন্দ্র করে এই কাব্য রচিত হয়েছে। বিষয়বস্তু সংক্ষেপ: ১. প্রধান বিষয়: শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমকাহিনি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের মূল … Read more

বড়ু চন্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচনা বৈশিষ্ট্য বা কাব্য বৈশিষ্ট্য বা বা সাহিত্যমূল্য আলোচনা কর।

বড়ু চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যকে আখ্যানকাব্য বলার কারণ বড়ু চণ্ডীদাস রচিত ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম আখ্যানকাব্য হিসেবে বিবেচিত। আখ্যানকাব্য এমন একধরনের সাহিত্য, যেখানে একটি মূল কাহিনির মাধ্যমে কবি শিল্পিতভাবে ঘটনা বা চরিত্রের বিকাশ ঘটান। ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যে এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্টতই বিদ্যমান। ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ আখ্যানকাব্যের বৈশিষ্ট্যসমূহ ১. কাহিনিমূলক রচনা: কাহিনি ধারাবাহিক এবং সুসংগঠিত। এই কাহিনি রোমান্স, দ্বন্দ্ব, এবং … Read more

সমাজ ও সাহিত্যে তুর্কি বিজয়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা কর।

সমাজ ও সাহিত্যে তুর্কি বিজয়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফলাফল ১২০৪ সালে বখতিয়ার খলজির নেতৃত্বে বাংলা বিজয়ের মধ্য দিয়ে তুর্কি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিজয় বাংলার সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং সাহিত্যিক ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তুর্কি বিজয়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব বিশ্লেষণ করলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক চিহ্নিত করা যায়। সমাজে তুর্কি বিজয়ের প্রভাব ১. ধর্মীয় … Read more

বড়ু চন্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যকে আখ্যানকাব্য বলার কারণ  ব্যাখ্যা কর।

বড়ু চন্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যকে আখ্যানকাব্য বলার কারণ বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যকে আখ্যানকাব্য বলা হয় কারণ এর মধ্যে প্রধানত শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, তার দেবত্ব এবং মানবিক দিকের কাহিনির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আখ্যানকাব্য সাধারণত এমন এক ধরনের কাব্য যেখানে ঘটনা বা কাহিনির মাধ্যমে চরিত্রের বিকাশ এবং আদর্শের চর্চা করা হয়। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বড়ু চন্ডীদাস শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন … Read more

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চর্যাপদের গুরুত্ব

চর্যাপদের গুরুত্ব : চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নিদর্শন। এর সাহিত্যিক, ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক মূল্য অসীম। চর্যাপদের গুরুত্ব বিচার করতে গেলে তার বহু দিক আলোচিত হতে পারে: ১. বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন ২. বৌদ্ধ সহজিয়া দর্শন এবং আধ্যাত্মিক প্রভাব ৩. বাংলা সাহিত্যের সাহিত্যিক ধারার উন্মোচন ৪. সামাজিক জীবন ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ৫. প্রতীকী … Read more

চর্যাপদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আলোচনা করা    অথবা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চর্যাপদের গুরুত্ব কতখানি বিচার কর |

চর্যাপদ কে, কবে, কী নামে, এবং কোথা থেকে প্রকাশিত হয়? চর্যাপদের রচনাকাল চর্যাপদ রচিত হয় ১০ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে। চর্যাপদের সমাজচিত্র বা জীবনচিত্র বিশ্লেষণ ১. কৃষি ও গ্রামীণ জীবনচিত্র চর্যাপদে তৎকালীন বাংলার গ্রামীণ জীবন এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির একটি স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়। ২. নদীকেন্দ্রিক জীবন নদীমাতৃক বাংলার জীবনের ছবি বারবার ফুটে উঠেছে। ৩. সমাজের … Read more

চর্যাপদ কার সম্পাদনায় কবে প্রকাশিত হয়? চর্যাপদের রচনাকাল উল্লেখ  কর। চর্যাপদের ভাষা সম্পর্কে আলোচনা কর। অথবা,   চর্যাপদ কে, কবে সম্পাদনা করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন?’সন্ধ্যাভাষা’ কি  সন্ধ্যা ভাষার স্বরূপ সম্পর্ক আলোচনা কর।

চর্যাপদ কার সম্পাদনায় এবং কবে প্রকাশিত হয়? চর্যাপদ প্রথম সম্পাদনা করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। চর্যাপদের রচনাকাল চর্যাপদ রচিত হয়েছে ১০ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে। চর্যাপদের ভাষা সম্পর্কে আলোচনা ১. ভাষার প্রকৃতি: চর্যাপদের ভাষা আদিম বাংলা ভাষার প্রথম নিদর্শন। এতে প্রাকৃত, অপভ্রংশ এবং সংস্কৃত ভাষার মিশ্রণ দেখা যায়। ২. অপভ্রংশ ভাষার প্রভাব: চর্যাপদের ভাষায় প্রাচীন অপভ্রংশের চিহ্ন … Read more

চর্যাপদের আবিষ্কার, প্রকাশকাল ও প্রকাশনা সংস্থার নাম উল্লেখ চর্যাপদের কাব্যমূল্য বিচার করে গুরুত্ব বুঝিয়ে দাও

চর্যাপদের আবিষ্কার ও প্রকাশকাল চর্যাপদ আবিষ্কার করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। চর্যাপদের কাব্যমূল্য ও গুরুত্ব ১. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম লিখিত দলিল। এটি ১০ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে রচিত। ভাষার আদিম রূপ এবং এর বিকাশের স্বরূপ এতে প্রতিফলিত হয়েছে। ২. ভাষার বহুমাত্রিক প্রকৃতি চর্যাপদে প্রাচীন বাংলা ভাষার পাশাপাশি প্রাকৃত, অপভ্রংশ এবং সংস্কৃতের মিশ্রণ … Read more

বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ কর এবং প্রত্যেকটি পর্বের সাহিত্যিক নিদর্শন এর উল্লেখ কর।

বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ সাধারণত চারটি প্রধান পর্বে ভাগ করা হয়:১. প্রাচীন যুগ২. মধ্যযুগ৩. আধুনিক যুগ৪. উত্তর আধুনিক যুগ ১. প্রাচীন যুগ (৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ – ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ) বৈশিষ্ট্য: সাহিত্যিক নিদর্শন: ২. মধ্যযুগ (১৩৫০ – ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ) বৈশিষ্ট্য: সাহিত্যিক নিদর্শন: ৩. আধুনিক যুগ (১৮০০ – ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ) বৈশিষ্ট্য: সাহিত্যিক নিদর্শন: ৪. উত্তর আধুনিক যুগ (১৯৪৭ – … Read more

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কৃত পুথিটির পরিচয় দাও।

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কৃত পুথিটির পরিচয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন হল বড়ু চণ্ডীদাস রচিত একটি মধ্যযুগীয় বাংলা কাব্য। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের একটি গোয়ালঘর থেকে এই কাব্যের খণ্ডিত পুথিটি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁরই সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে পুথিটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। চর্যাপদ যেমন প্রাচীনযুগের প্রথম ও একমাত্র সাহিত্যিক নিদর্শন, তেমনি মধ্যযুগের প্রথম … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress