বাংলা গদ্যসাহিত্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদান আলোচনা করো

বাংলা গদ্যসাহিত্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদান: ভূমিকা:  -বাংলা সাহিত্যে ধারাবাহিক গদ্য রচনার সূত্রপাত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গােষ্ঠীর লেখকদের মাধ্যমে। বিশৃঙ্খল গদ্য রূপ রীতি কে শৃংখলাবদ্ধ সামঞ্জস্য বিধানে ফোর্টউইলিয়াম কলেজ এর অবদান ছিল অবিস্মরনীয়। ফোর্টউইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতদের লেখালেখিতেই বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশ ঘটে এবং সঠিক সু পথে চালিত হয়।  বাংলা গদ্যসাহিত্য বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ … Read more

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রধান পন্ডিত কে ছিলেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রধান পন্ডিত কে ছিলেন

বাংলা গদ্যের বিকাশে রামমোহন রায়ের অবদান আলোচনা করো।

অথবা, বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো। বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা :-   বাংলা গদ্য সাহিত্যের আকাশে এক অসাধারণ পুরুষ , আধুনিকতার অগ্রদূত , ভারতীয় জীবনচেতনার উন্মেষস্বরূপ হলেন রাজা রামমোহন রায়। তিনি সম্পূর্ণ সংস্কারবিহীন হয়ে হিন্দু , মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে স্বকীয় চিন্তায় ও মননে … Read more

চর্যাপদগুলির রচনার পটভূমিকা বিশ্লেষণ করে বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাসে চর্যাপদণ্ডলির স্থান নির্ণয় কর। চর্যাপদে প্রতিফলিত সমাজচিত্রের পরিচয় দাও।

আকস্মিকভাবে পৃথিবীর নূতন কোনও ভূখণ্ড আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে যেমন (পৃথিবীর মানচিত্র ও ইতিহাসের পরিবর্তন সাধিত হয়। অনুরূপ প্রাচীন একখানি গ্রন্থ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে সমগ্র সাহিত্যের ইতিহাসকেও বদলে দিতে পারে। পুরাতন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এমনই একটি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। পর পর দু’খানি গ্রন্থ আবিষ্কারের ফলে সমগ্র বাংলা সাহিত্য ও ভাষা একটা দুর্জয় পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়। এক, … Read more

শাক্তপদাবলী রচনায় কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের অবদান আলোচনা কর।  সাধক কমলাকান্ত ভট্টাচার্য শাক্ত পদরচনায় প্রতিভার স্বাক্ষর | শাক্ত পদাবলীর কবি কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের কবিকৃতিত্ব

শাক্ত পদাবলীর কবি কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের কবিকৃতিত্ব অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীতে যে বেশ কয়েকজন শাক্ত পদকার পদ রচনা করে শাক্ত গীতি সাহিত্য ও শাক্ত সাধনাকে জনপ্রিয় করেছিলেন তাতে সন্দেহ নেই। সর্বাতিশায়ী বৈবপ্রভাব, বিশেষত বৈষ্ণুব গুরুবাদ ও সহজিয়া বৈষ্ণবদের রহস্যময় রসের সাধনার প্রতিষেধক হিসাবেও অষ্টাদশ শতাব্দীর সাধারণ সমাজে ও অভিজাত সমাজে শাক্ত পদচর্চার বিশেষ বাহুল্য দেখা যায়। পূর্বে দেখেছি, … Read more

শাক্তপদাবলী রচনা, রামপ্রসাদ সেনের অবদান আলোচনা কর। শাক্ত পদ রচনায় সাধক রামপ্রসাদ সেনের প্রতিভার পরিচয় | শাক্ত পদ রচনায় সাধক রামপ্রসাদ সেনের ​কবি কৃতিত্ব

শাক্ত পদ রচনায় সাধক রামপ্রসাদ সেনের কবি কৃতিত্ব ‘গ্রন্থ যাবে গড়াগড়ি গানে হব ব্যস্ত’—উক্তিটি বিদ্যাসুন্দরের রচয়িতা রামপ্রসাদ সেনের। তাঁর শাক্ত পদে গ্রন্থলব্ধ পাণ্ডিত্যের পরিচয় দূর হয়ে যায়। রামপ্রসাদ রূপক প্রতীকের আড়ালে বিশ্ব জননীকে লুকিয়ে রেখেছেন। আমরা মাতার বরাভয় লাভ করে নির্ভয় হই, অনাবৃত শিশুর বেশে তাঁর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সাধক কবি আমাদের জন্য এই আশ্বাস … Read more

বৈষ্ণব পদকর্তা হিসাবে গোবিন্দ দাসেরকবি কৃতিত্বের পরিচয় দাও |শাক্ত পদ রচনায় সাধক রামপ্রসাদ সেনের প্রতিভার পরিচয় | শাক্ত পদ রচনায় সাধক রামপ্রসাদ সেনের ​কবি কৃতিত্ব

শাক্ত পদ রচনায় সাধক রামপ্রসাদ সেনের কবি কৃতিত্ব ‘গ্রন্থ যাবে গড়াগড়ি গানে হব ব্যস্ত’—উক্তিটি বিদ্যাসুন্দরের রচয়িতা রামপ্রসাদ সেনের। তাঁর শাক্ত পদে গ্রন্থলব্ধ পাণ্ডিত্যের পরিচয় দূর হয়ে যায়। রামপ্রসাদ রূপক প্রতীকের আড়ালে বিশ্ব জননীকে লুকিয়ে রেখেছেন। আমরা মাতার বরাভয় লাভ করে নির্ভয় হই, অনাবৃত শিশুর বেশে তাঁর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সাধক কবি আমাদের জন্য এই আশ্বাস … Read more

বৈষ্ণব পদকর্তা হিসেবে জ্ঞানদাসের কবি কৃতিত্বের পরিচয় দাও | জ্ঞানদাসের কবিকৃতিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করো। জ্ঞানদাসকে কেন চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য বলা হয়? 

জ্ঞানদাসকে চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য বলার কারণ মধ্যযুগের পদাবলীসাহিত্যে তিনটি নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হয়— চণ্ডীদাস জ্ঞানদাস গোবিন্দদাস। চণ্ডীদাস সম্বন্ধে সমস্যার শেষ নেই। কত নতুন তথ্য আবিষ্কৃত হয়ে পুরাতন তথ্যকে বাতিল করেছে। গোবিন্দদাসের জীবনকথা অনেকটা জানা যায়। কিন্তু অন্যতম শ্রেষ্ঠ পদকতা জ্ঞানদাস সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তাঁর জীবনী সম্পর্কে অতি অল্প তথ্যই পাওয়া গেছে। কাটোয়ার দশ … Read more

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিদ্যাপতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় কেন? সেই বিষয়ে তোমার মতামত দাও।

বিদ্যাপতিকে বাংলা সাহিত্যে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে কেনমৈথিলি কবি বিদ্যাপতি খ্রীষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধে মিথিলার দ্বারভাঙ্গা জেলার মধুবনী মহকুমায় বিসফি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বেশ কয়েকজন রাজার রাজত্বকালে মিথিলার রাজসভা অলংকৃত করেছিলেন বিদ্যাপতি। ইনি ছিলেন অ-বাঙালি আবার বাঙলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীও রচনা করেননি। তাঁর রাধা-কৃষ্ণবিষয়ক পদগুলি প্রাচীন মৈথিলিতে রচিত। মৈথিলি কোকিল’ বিদ্যাপতির পদাবলী বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। … Read more

বৈষ্ণব কবি চন্ডীদাসের কবি প্রতিভার পরিচয় দাও।

বিদ্যাপতির সমসাময়িক একজন শ্রেষ্ঠ  কবি চণ্ডীদাস     চৈতন্য পূর্ব যুগে বিদ্যাপতির সমসাময়িক একজন শ্রেষ্ঠ রাধাকৃষ্ণ-পদাবলি রচয়িতা কবি চণ্ডীদাস । যিনি বাংলা ভাষায় প্রথম পদাবলি সাহিত্য রচনা করেন । এবং চণ্ডীদাস জাতিতে ব্রাত্মণ ছিলেন । চণ্ডীদাসকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কারন – চণ্ডীদাস নামধারী অন্তত চারজন কবি ছিলেন বলে সাহিত্যের ঐতিহাসিকগণ সমস্যায় পড়েছেন যার প্রকৃত সমাধান এখনও হয়নি । আমরা যে চণ্ডীদাসকে বেশি চিনি  তিনি হলেন পদাবলির চণ্ডীদাস বা পদকর্তা ।যিনি প্রাক-চৈতন্যযুগের কবি (পঞ্চদশ শতাব্দী)।জনশ্রুতি অনুসারে বীরভূম জেলার অন্তর্গত নানুর গ্রামে মতান্তরে বাঁকুড়ার ছাতনা গ্রামে। (সম্ভবত ১৪১৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম হয়) তিনি বাশুলি বা চণ্ডীর উপাসক ছিলেন। পরে সহজমার্গের সাধনায় কবি ব্রতী হন। ‘রামী’ নামে এক রজক কন্যাকে সাধনসঙ্গিনীরূপে গ্রহণ করেন। চণ্ডীদাস নামে  অনেক কবির কথা জানা গেছে  তারা হলেন-  দীন চণ্ডীদাস, দ্বিজ চণ্ডীদাস, বড়ু চণ্ডীদাস, সহজিয়া চণ্ডীদাস । চণ্ডীদাস মুলত সহজিয়া পন্থী ধরনের কবি ছিলেন  । তার লেখনী ভাব ধারায় পূর্বরাগ পর্যায়ে চণ্ডীদাস শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন এই পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি ।(ক) প্রথম যে চণ্ডীদাসের নাম পাওয়া যায় তিনি চৈতন্যপূর্ব যুগের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-রচয়িতা বড় চণ্ডীদাস। (খ) চৈতন্য পূর্ব বা সমকালে চণ্ডীদাস নামে আর একজন পদকর্তা ছিলেন, চৈতন্যদেব যাঁর পদাবলি … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress