রাজনীতির সংজ্ঞা দাও | রাজনীতির অর্থ ও প্রকৃতি আলোচনা করো | রাজনীতির ধারণাটি ব্যাখ্যা কর

রাজনীতির সংজ্ঞা দাও : মানুষের জীবনের চাকা ঘুরছে রাজনীতিকে ঘিরে। কিন্তু রাজনীতি বলতে কী বোঝায় তা নিয়ে বিভিন্ন দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। ‘রাজনীতি‘ সংকীর্ণ অর্থে দলীয় রাজনীতিকে বোঝায়। অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোর নীতি, কর্মসূচি, নির্বাচনী কৌশল, ক্ষমতার লড়াই, সংসদ, মন্ত্রিসভা ইত্যাদিকে রাজনীতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অন্যরা এটাকে অনৈতিক উপায়ে ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য রাজনীতি বলে মনে করে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হেগ, হ্যারপ এবং ব্রেসলিনের মতে, রাজনীতি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দলগুলো সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়। এই গোষ্ঠীগুলি আকার এবং প্রকৃতিতে পরিবর্তিত হতে পারে। একদিকে পরিবার, অন্যদিকে পরিবার।  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রাজনীতির প্রকৃতি : – রাজনীতির প্রকৃতি আজ … Read more

হিউয়েন সান্তের রচনা থেকে পুণ্ড্রবর্ধনের বর্ণনা দাও।

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের নৃতাত্বিক পটভূমি নৃতত্ত্ববিদদের মতানুযায়ী ভারতে সর্বপ্রথম নেগ্রিটো বা নিগ্রোবটু সম্প্রদায়ের মানুষদের আবির্ভাব ঘটে। এদের পর সাদি অস্ট্রেলীয় সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হয়। মধ্যভারতের কোল, ডিল, মুণ্ডা, ভূমিজ এবং মালপাহাড়ি প্রভৃতি জনজাতির মানুষেরা এই আদি অস্ট্রেলীয় গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। বঙ্গ তথা রাঢ় অঞ্চলের সাঁওতাল, ভূমিজ, মুন্ডা, বাঁশফোড় প্রমুখও এই আদি অস্ট্রেলীয় শ্রেণির অন্তর্গত। ভূমধ্যসাগরীয় জাতির শাখা হিসেবে … Read more

পুণ্ড্র/পুণ্ড্র জনগণ কারা?   

পুণ্ড্র জনগণ : প্রাচীন বঙ্গভূমির একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ছিল পুণ্ড্রবর্ধন। ‘পুত্র’ শব্দটি ভৌগোলিক ক্ষেত্র এবং জনজাতি উভয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। তবে পূণ্ড জনজাতির প্রকৃত পরিচয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এই পুণ্ড্র রাজ্যের অধিবাসী পুণ্ড্র জনজাতির উৎপত্তি প্রসঙ্গে প্রাচীন গ্রন্থাদিতে বিভিন্ন মতবাদ ব্যক্ত হয়েছে। ‘পৌণ্ড্র’ শব্দের অর্থ হল ইক্ষু বা আখ। ‘পুণ্ড্র’ শব্দের সর্বপ্রথম … Read more

তুলাভিটা ঢিবির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

তুলাভিটা ঢিবির : অধুনা পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার হবিবপুর থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জগজীবনপুর গ্রামটি অবস্থিত। যার অন্তর্গত একটি প্রত্নস্থান হল তুলাভিটা ঢিবি। এই ঢিবি থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে তাম্রশাসন ও একটি ছোটো ভূমিস্পর্শমূদ্রা বিশিষ্ট বুদ্ধমূর্তি, যা এই অঞ্চলটিকে একটি বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ ধর্মচর্চা কেন্দ্ররূপে চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়াও এই ঢিবি থেকে পোড়ামাটির প্লেটে বিভিন্ন … Read more

বঙ্গ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

বঙ্গ সম্পর্কে টীকা : বঙ্গ  একটি প্রাচীন জনপদ। ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে একটি উপজাতির নাম হিসেবে বঙ্গের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। মহাভারত, রামায়ণ ও হরিবংশেও রয়েছে বঙ্গ প্রসঙ্গ। মহাভারতের আদি অন্যান্য জনপদের সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে বঙ্গের নাম। মহাকবি কালীদাসের ‘রঘুবংশম্’ কাব্যে আছে বঙ্গের অবস্থান ও সীমানা সম্পর্কিত কিছু তথ্য। তিনি ভাগীরথী ও পদ্মার স্রোত মধ্যবর্তী এলাকায় … Read more

মহাস্থানগড় সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টাকা লেখো।

মহাস্থানগড় সম্পর্কে টীকা : বর্তমান বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত মহাস্থানগড় প্রাচীন ভারতের ইতিহাস তথা প্রাচীন উত্তরবঙ্গের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে নিয়েছে। প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদী মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষের পূর্বদিক দিয়ে প্রবহমান। 1928-29 সালে KN Dikshit-এর তত্ত্বাবধানে সর্বপ্রথম এই অঞ্চলে খননকার্য চালানো হয়। প্রথম পর্বে, জাহাজঘাটা, মুনির গাঁও, বৈরাগীর ভিটা প্রভৃতি স্থানে খননকার্য চালানো হয়। … Read more

পান্ডুয়া সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টাকা লেখো।

পান্ডুয়া সম্পর্কে টীকা : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরে মালদা জেলায় অবস্থিত, পান্ডুয়া শহরটি ‘হজরত পান্ডুয়া’ বা ‘বড় পেন্ডো’ (বৃহত্তর পেন্ডো) নামেও পরিচিত। পান্ডুয়া, গৌড়ের উত্তরে 32 কিলোমিটার এবং ইংরেজ বাজারের প্রশাসনিক কেন্দ্র থেকে প্রায় 19 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কোনো এক সময় বেশ কয়েকজন মুসলমান সাধু ও প্রচারকের বাসস্থান ছিল এই শহরটিতে এবং ‘হযরত’ নামটি এসেছে … Read more

বানগড় সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।  

বানগড় সম্পর্কে টীকা : প্রাচীন উত্তরবঙ্গের ইতিহাসে বানগড় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান। কোটিবর্ষ, শোনিতপুরা, উমাবন, দেবীকোট ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়, কালভেদে বানগড় পরিচিত হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বাজারের সন্নিকটে পুনর্ভবা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলকে প্রাচীন বানগড়ৰূপে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলেই সর্বপ্রথম খননকার্য সম্পাদন করা হয়েছিল। অধ্যাপক K G Goswami … Read more

বরেন্দ্রী সম্পর্কে একটি ছোটো টীকা লেখো।

বরেন্দ্রী সম্পর্কে একটি টীকা : খ্রিস্টীয় দশম শতক থেকে পুণ্ড্রবর্ধনের কেন্দ্রস্থলরূপে বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রীর নাম পাওয়া যায়। কবি সন্ধ্যাকর নন্দীর ‘রামচরিত’ কাব্যের কবি প্রশস্তি অংশে এবং গয়ারত্বঙ্গদেবের তালচের পট্রোলিতে বরেন্দ্র মণ্ডলের নামের উল্লেখ আমরা পাই। কবি সন্ধ্যাকর নন্দী বরেন্দ্র অঞ্চলকে পাল রাজাদের ‘জনক-ভূ’ বা পিতৃভূমি বলে উল্লেখ করেছেন। বৈদ্যদেবের কমৌলি লিপি, সিলিমপুর শিলালিপি, তর্পণদিঘি, মাধাইনগর … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress