ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব আলোচনা করো।

অথবা, বাংলা কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান আলোচনা করো। ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানঃ- বাংলা কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক । তিনি রাঢ় বঙ্গের প্রকৃতি , মানুষ ও সংস্কৃতির রূপকার । রাঢ় অঞ্চলের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত , সাধারণ মানুষের জীবনের রূপকে তিনি অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন । তাঁর লেখায় কাহার , বেদে প্রভৃতি আদি … Read more

ছোটগল্পকার মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় দাও।

ছোটগল্পকার মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয়:   ছোটগল্পের কোনো দেশী বিদেশী সংজ্ঞায় তাঁর আস্থা নেই, কুড়িটি গল্পসংগ্রহে সংকলিত ২২২টি গল্প এবং এ যাবৎ অগ্রন্থিত প্রায় ৫০টি গল্পের মধ্যেক নেই কোনো কালানুক্রমিক বিবর্তনের ইতিহাস। তিনি এক‌ইকালে লিখতে পারেন ‘অতসীমামী’র মতো শরৎচন্দ্র প্রভাবিত আটপৌরে গল্প এবং ‘আত্মহত্যা র অধিকারের মতো ভিত কাঁপানো গল্প। মানিক বন্দ্যোভপাধ্যাপয়ের উপন্যা্সগুলি নানা কাহিনি সমবায়ে গ্রথিত, … Read more

নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের পরিচয় দাও।

অথবা,বাংলা নাট্য সাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান আলোচনা করো অথবা,বাংলা নাটকে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান আলোচনা করো বাংলা নাট্য সাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান: ভূমিকা: বাংলা নাট্য সাহিত্যে মধুসূদনের পর দীনবন্ধু মিত্রের আবির্ভাব। মাইকেল মধুসূদনের সৃষ্টিতে যে নাটকের সার্থক প্রকাশ ঘটে দীনবন্ধু তাকে আরো পূর্ণ ও বিকশিত করে তোলেন। তিনি মাইকেল-যুগের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার তো অবশ্যই, আধুনিক কালেও তাঁর … Read more

রবীন্দ্রপরবর্তী বাংলা সাহিত্যের বিকাশে ‘কল্লোল’ পত্রিকাটির ভূমিকা আলোচনা করো।

রবীন্দ্রপরবর্তী বাংলা সাহিত্যের বিকাশে ‘কল্লোল’ পত্রিকাটির ভূমিকা ‘কল্লোল’ (১৯২৩-১৯৩১) পত্রিকাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের বিকাশে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং অধ্যাপক মণীন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের উদ্যোগে প্রকাশিত এই পত্রিকা বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের একটি প্রধান চর্চা কেন্দ্র ছিল। চলুন দেখি কিভাবে ‘কল্লোল’ পত্রিকা রবীন্দ্রনাথের পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আধুনিক … Read more

ঔপন্যাসিক প্যারীচাঁদ মিত্রের পরিচয় দাও।

ঔপন্যাসিক প্যারীচাঁদ মিত্রের পরিচয়? উনিশ শতকে বাংলা নবজাগরণের এক দীপ্তিমান নক্ষত্র ‘টেকচাদ ঠাকুর’ ছদ্মনামী প্যারীচাঁদ মিত্র। তিনি বাংলা সাহিত্যে সামাজিক উপন্যাস “আলালের ঘরের দুলাল” -এর মহান স্রষ্টা হিসাবে অবিস্মরণীয়। প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম ও কর্মজীবন ১৮১৪ খ্রীস্টাব্দের ২২শে জুলাই কলকাতায় প্যারীচাদের জন্ম হয়। ১৮২৭-এর ৭ই জুলাই তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। এর এক বছর পূর্বে ডিরোজিও … Read more

সাগরী গদ্য এবং আলালী গদ্যের মধ্যে পার্থক্য লেখ?

সাগরী গদ্য এবং আলালী গদ্যের মধ্যে পার্থক্য ভাষারীতির থেকে প্যারীচাদ যেন বিদ্যাসাগরের বিরোধিতা করবার জন্যই সাহিত্যক্ষেত্রে দেখা দিয়েছিলেন। যেমন—আলালী ভাষার বৈশিষ্ট্য হল : ভাষায় তীব্র শ্লেষ ও কৌতুকরস; বাক্যরীতির কথ্যভঙ্গিকলকাতার নিকটবর্তী অঞ্চলের ভাষায় আরবী-ফার্সী শব্দের সুষ্ঠু প্রয়োগ; দেশী বিদেশী ও তৎসম শব্দের ব্যবহার ক্রিয়া-বিভক্তি, কারক-বিভক্তি ও অব্যয়ের নতুন রূপ আবিষ্কার এবং সমাস-সন্ধিযুক্ত দীর্ঘ জটিল বাক্য। … Read more

প্যারীচাদ ও বিদ্যাসাগরের মধ্যে তুলনা

প্যারীচাদ ও বিদ্যাসাগরের পার্থ্যক্য: (ক) বয়সের বিচারে প্যারীচাদ ছিলেন বিদ্যাসাগরের বয়োজ্যেষ্ঠ। তার জন্ম ১৮১৪ খ্রীস্টাব্দে, আর বিদ্যাসাগরের ১৮২০ খ্রীস্টাব্দে। প্রথম জনের জন্ম কলকাতায়, দ্বিতীয় জনের মেদিনীপুরে। (খ) বিদ্যাশিক্ষা এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জনের ক্ষেত্রেও প্যারীচঁাদ ছিলেন বিদ্যাসাগরের পূর্ববর্তী। নারীশিক্ষা এবং বিধবা-বিবাহ প্রচলন বিদ্যাসাগরের যেমন অমরকীর্তি, তেমনি প্যারীচাদও “স্ত্রীলোকদিগের নিমিত্তে” বন্ধু রাধানাথ শিকদারের সঙ্গে ‘মাসিক পত্রিকা’ প্রকাশ … Read more

গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর কাব্যপ্রতিভার পরিচয় দাও।

গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর কাব্যপ্রতিভার পরিচয়: বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার মজিলপুরের  উচ্চশিক্ষিত পিতা হারানচন্দ্র মিত্রের মেয়ে গিরীন্দ্রমোহিণী কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন । তিনিই পিতার কাছে কাব্যচর্চার প্রেরণা পেয়েছিলেন।  মাত্র ১০ বছর বয়েসে কলকাতায় বিয়ে হয় । স্বামী নরেশচন্দ্র দত্তের কাছ থেকেও তিনি সহযোগিতা পেতেন । ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দে নরেশচন্দ্রের মৃত্যুর পর গিরীন্দ্রমোহিনীর অশ্রুকণা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এই … Read more

টীকা লেখোঃ অগ্নিবীণা

অগ্নিবীণা: অগ্নিবীণা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে (অক্টোবর, ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ) প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে মোট বারোটি কবিতা আছে। কবিতাগুলি হচ্ছে – ‘প্রলয়োল্লাস (কবিতা)’, ‘বিদ্রোহী’, ‘রক্তাম্বর-ধারিণী মা’, ‘আগমণী’, ‘ধূমকেতু’, কামাল পাশা’, ‘আনোয়ার ‘রণভেরী’, ‘শাত-ইল-আরব’, খেয়াপারের তরণী’, কোরবানী’ ও মোহররম’। এছাড়া গ্রন্থটির সর্বাগ্রে বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার … Read more

টীকা লেখোঃ ‘সারদামঙ্গল’

‘সারদামঙ্গল’ – বিহারীলাল চক্রবর্তী প্রথম প্রকাশ – সন ১২৮৬ ১২৭৭ সালে সারদামঙ্গলের রচনা আরম্ভ হইয়া অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়িয়া থাকে, ১২৮১ সালে “আর্যদর্শন” পত্রে তদবস্থাতেই প্রকাশিত হয় [“সারদামঙ্গল” কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কাব্য। এই কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘আর্যদর্শন’ পত্রিকায়। প্রকাশকাল ১২৮৬ বঙ্গাব্দ (২৯ শে ডিসেম্বর ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দ)। আখ্যানকাব্য হলেও এর আখ্যানবস্তু সামান্যই। মূলত গীতিকবিতাধর্মী কাব্য … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress