বাঙলা গদ্যের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পণ্ডিত-সুনসিদের ভূমিকা | উনিশ শতকে বাঙলা গদ্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের অবদান

অথবা, বাংলা গদ্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকদের ভূমিকা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম অর্ধের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসের একটি বৈশিষ্ট্য ইংরেজ ও বাঙালী মনীষীদের সহযােগিতা। ১৮০০ সালে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ সিবিলিয়ানদের এদেশের রীতিনীতি এবং ভাষা সম্পর্কে শিক্ষাদান। এ কাজ শুধু এককভাবে ইংরেজ বা বাঙালী কারও পক্ষে করা … Read more

বাংলা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

বাংলা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথের অবদান: রবীন্দ্রনাথ বাংলা উপন্যাস রচনায় একটা নতুন প্রবাহ এনেছিলেন। বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসগুলিকে নিম্নলিখিত কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। ইতিহাস-নির্ভর উপন্যাস: রবীন্দ্রনাথের এই পর্যায়ের দুটি উপন্যাস হল ‘বউ ঠাকুরানির হাট’ (১৮৮৩) ও ‘রাজর্ষি’ (১৮৮৭)। ত্রিপুরা রাজবংশের এক বিশেষ সমস্যা নিয়ে রাজর্ষি আর বাংলাদেশের ধুপঘাটের রাজা প্রতাপাদিত্যের কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে … Read more

শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে।

শরৎচন্দ্রের উপন্যাস-বৈশিষ্ট্য: বাংলা উপন্যাসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (১৮৭৬-১৯৩৮ খ্রি.) অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর উপন্যাসের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল- দেশপ্রেম এবং অবহেলিত জনগণের প্রতি অকৃত্রিম অনুরাগই তাঁকে সাহিত্যসাধনায় অনুপ্রাণিত করেছিল। বাঙালির দুঃখ-দারিদ্র্য ও মর্মবেদনাকে তিনি মূর্ত করে তুলেছেন চোখের জলে, প্রেমের মাধুর্যে এবং জীবনদর্শনের গভীরতায়। তাঁর উপন্যাসে একদিকে যেমন নিষ্ঠুর হৃদয়হীনতাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, ঠিক তেমনি কখনাে কখনাে তিনি … Read more

বাংলা উপন্যাসে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান/কৃতিত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

অথবা, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০ খ্রি.) রবীন্দ্র-পরবর্তী যুগের একজন প্রধান ঔপন্যাসিক। বিভূতিভূষণ যেসব উপন্যাস রচনা করেছেন সেগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযােগ্য কয়েকটি হল—‘পথের পাঁচালী’, ‘অপরাজিত’ (১ম ও ২য় খণ্ড), ‘দৃষ্টিপ্রদীপ’, ‘আরণ্যক’, ‘আদর্শ হিন্দু হােটেল’, ‘দেবান’, ‘ইছামতী’, ‘অশনি সংকেত’ ইত্যাদি। বিভূতিভূষণের প্রথম উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’ (১৯২৯ খ্রি.) গ্রামবাংলার প্রকৃতি, ছােটো ছােটো সুখ-দুঃখ ভরা প্রাত্যহিক জীবন আর একটি স্বপ্নময় … Read more

বাংলা গদ্যসাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদানের মূল্যায়ন কর।

বাংলা গদ্যসাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান: বাংলা গদ্যসাহিত্যের ইতিহাসে প্রমথনাথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬ খ্রী) একটি স্মরণীয় নাম। বীরবল’ ছদ্মনামে পরিচিত এই প্রাবন্ধিক তথা গদ্যরচনাকার আবির্ভাব মাত্রই বাংলা সাহিত্যে একটি ব্যতিক্রমী ধারার সৃষ্টি করেন। মুখ্যতঃ রামমােহন, বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার বাংলা সাহিত্যে যে গদ্যশৈলী প্রবর্তন করেন এবং বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, প্রমুখ সমস্ত গদ্যশিল্পীই ছিলেন যার অনুবর্তী, প্রমথনাথই সর্বপ্রথম সরবে সেই … Read more

বাঙ্গালা প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের দান | উপন্যাস ব্যতীত বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যান্য রচনাবলীর বিস্তৃত পরিচয় প্রদান করো।

অথবা,  “রচনা এবং সমালােচনা এই উভয় কার্যের ভার বঙ্কিম একাকী গ্রহণ করাতেই বঙ্গসাহিত্য এত সত্ত্বর এমন দ্রুত পরিণতি লাভ করিতে সক্ষম হইয়াছিল।”—সংক্ষেপে যে-কোন একটি ধারায় (উপন্যাস অথবা প্রবন্ধ) বঙ্কিম প্রতিভার উন্মেষ ও বিকাশের পরিচয় দাও। বঙ্গদর্শন এবং প্রচার’—এই দুটি পত্রিকার প্রধান লেখকরূপে বঙ্কিমচন্দ্র বিভিন্ন সময়ে যে সব প্রবন্ধ রচনা করেন তা বিষয়বস্তু এবং ভাষাভঙ্গির বৈচিত্র্যে … Read more

কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যের মূল্যায়ন | আধুনিক বাংলা কাব্যধারায় নজরুল ইসলামের ঐতিহাসিক ভূমিকা তাঁর প্রধান কাব্যগ্রন্থগুলির আলােচনার সাহায্যে পরিস্ফুট করো।

অথবা,  আধুনিক বাংলা কাব্যধারায় নজরুল ইসলামের ঐতিহাসিক ভূমিকা নির্ণয় করো। রবীন্দ্রযুগ এবং রবীন্দ্রোত্তর যুগের কবিদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় সম্ভবতঃ কাজী নজরুল ইসলামই (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রীঃ) শীর্ষস্থান অধিকার করে আছে। বস্তুতঃ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কবি রূপে যে নামটি সমস্বরে উচ্চারিত হয়ে থাকে, সে নামটি অবশ্য নজরুল, যদিও এর যাথার্থয বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। প্রথম মহাযুদ্ধকালে নজরুল সৈন্যদলে যােগদান … Read more

ঈশ্বর গুপ্তকে বাংলা কাব্যে পূর্বযুগের শেষ কবি এবং নবযুগের প্রথম কবি বলিতে পারি / ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বাঙলা সাহিত্য কোন বড় কবি নহেন, তবু তিনি বাঙলা কাব্যে নবযুগের প্রবর্তক- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিকৃতির পরিচয় দাও।

অথবা,  কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিতা সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলােচনা করে তাকে ‘যুগসন্ধির কবি’ বলা কতখানি সঙ্গত সে বিষয়ে তােমার অভিমত প্রকাশ কর। প্রাচীন বাঙলা কাব্যের প্রাণশক্তি ভারতচন্দ্রেই নিঃশেষিত হয়েছিল। ভারতচন্দ্রের পরবর্তীকাল থেকে ঈশ্বর গুপ্তের আবির্ভাব কাল পর্যন্ত পদ্যাকারে যা কিছু রচিত হয়েছে, সেই কবিগানে বা‌ জনরঞ্জনী অন্যান্য গীতিকবিতায় প্রাচীন ধারারই জের টানা হয়েছে। এইসব রচনায় যেটুকু … Read more

“মধুসূদন হইতে বাংলা কাব্যে আধুনিক যুগের সূচনা” মধুসূদনের কাব্য-গ্রন্থগুলির পরিচয় দাও এবং প্রসঙ্গত উদ্ধৃত মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো|

অথবা, মধুসূদনের কাব্যগ্রন্থগুলির সম্যক পরিচয় দিয়ে উনিশ শতকের বাঙলা কাব্যে ইহাদের অভিনবত্ব বিচার করো। “মধুসূদন হইতে বাংলা কাব্যে আধুনিক যুগের সূচনা” : কোন জাতির জীবনে নতুন ভাবের জোয়ার আসে, সেই ভাববস্তু এক এক জন মনীষীর প্রতিভা আশ্রয় করে মূর্ত হয়ে ওঠে। অকস্মাৎ সাহিত্যের প্রচলিত রূপরীতিতে পরিবর্তন দেখা দেয়, সাহিত্যে নতুন যুগের সূচনা হয়। বাঙলা কাব্যের … Read more

বিহারীলাল চক্রবর্তীকে বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে ‘ভোরের পাখি’ বলার তাৎপর্য | আধুনিক বাঙলা কবিতায় বিহারীলাল চক্রবর্তীর বিশিষ্ট দানের বিচার করো।

অথবা,  বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে বিহারীলাল চক্রবর্তীর ভূমিকা ও অবদান আলোচনা করো। বিহারীলাল চক্রবর্তীকে বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে ‘ভোরের পাখি’ বলার তাৎপর্য: হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্রের কাব্যরসে বাঙলার পাঠক সমাজ যখন আবিষ্ট সেইকালে বাঙলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম লিরিক-কবি রবীন্দ্রনাথ প্রথম যৌবনের দিনগুলি অতিবাহিত করেছেন। নবীনচন্দ্রের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল, তৎকালের প্রখ্যাত কবি হেমচন্দ্রের কাব্যের সঙ্গে তিনি পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তারা … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress