দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটক সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

দীনবন্ধু মিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক ‘নীলদর্পণ’। নাটকের নাম থেকেই বোঝা যায়, এনাট্যকার একটি দর্পণের প্রতিবিম্ব আঁকার চেষ্টা করেছেন। সে প্রতিবিম্ব হল নীলচাষের অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরা, নীল চাষের ইতিহাসকে পরিস্ফুটিত করা। উনিশ শতকে ও তার আগে নীলকরগণ বাঙালিদের নীলচাষ করতে বাধ্য করলেন। প্রতিবাদী মানুষ প্রাণ হারাল, নারী ধর্ষিত হল। এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডিকে সামনে রেখে দীনবন্ধু … Read more

‘নবান্ন’ নাটক কোন গ্রামের প্রেক্ষাপটে রচিত? এ নাটকে কোন্ চেতনার প্রকাশ লক্ষ করা যায়? আমিনপুর গ্রামের প্রেক্ষাপটে রচিত।মার্কসীয় শ্রেণি চেতনার প্রকাশ লক্ষ করা যায় |

বাংলা নাটকের প্রথম যুগে একজন উল্লেখযোগ্য নাট্যকার রামনারায়ণ তর্করত্ব। বাংলা নাটকে প্রথম বাস্তব জীবন, একই সলো হাস্যরসের আমদানির জন্য তাঁকে উপমা দেওয়া হয়েছিল ‘নাটুকে রামনারায়ণ’। রামনারায়ণ তর্করত্নের যাবতীয় খ্যাতি ‘কুলীনকুল সর্বস্থ’ নাটকের জন্য। বাংলা নাটকের ইতিহাসে প্রথম সামাজিক নাটক ‘কুলীনকুলসর্বস্ব’। কৌলিন্য প্রথার বিষময় ফলকে তুলে ধরার জন্য রামনারায়ণ এই নাটক লেখেন। সেদিক থেকে ‘কুলীনকুলসর্বস্ব’ নাটককে … Read more

‘নবান্ন’ নাটকটিকোনপত্রিকায়প্রকাশিতহয়? কোনঘটনাকেসামনেরেখেএনাটকগড়েউঠেছিল?

‘অরণি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পঞ্চাশের মন্বন্তরকে সামনে রেখে এ নাটক গড়ে উঠেছিল। ৩জন ‘নবান্ন’ নাটকটি কোন্ মঞ্চে প্রথম অভিনীত হয়? বিজন ভট্টাচার্য কোন চরিত্রে অভিনয় করেন? করে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরাম রঙ্গমঞ্চে। প্রধান সমাদ্দার চরিত্রে বিজন ভট্টাচার্য অভিনয় করেন। ‘নবান্ন’ নাটকের তিনটি চরিত্রের উল্লেখ করো। চের প্রধান সমাদ্দার, কুন্তু, রাধিকা।

বাংলা কাব্যে জীবনানন্দ দাশের কবিপ্রতিভা আলোচনা করো।

রবীন্দ্রোত্তরকালে সবচেয়ে স্বতন্ত্রচিহ্নিত কবি জীবনানন্দ দাশ। তিনি নির্জনতার কবি, প্রকৃতির কবি, সময়ের কবি। তাঁর মনে হয়েছিল-“সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।” তিনি ‘বিপন্ন বিস্ময়’-এর কবি। জীবনানন্দের কবিতার আবেদন আমাদের মস্তিষ্কের কাছে। ইতিহাসচেতনার সঙ্গে সময়চেতনা ও কালচেতনা মিলেমিশে রয়েছে তাঁর কবিতায়। মস্তিষ্কবোধের সন্ধানে তিনি এগিয়ে যান। তিনি এক ‘বোধ’-এর কবি। জীবনানন্দ দাশের কাব্যগুলি হল-‘ঝরা পালক’ (১৯২৭), … Read more

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের অবদান আলোচনা করো।

রবীন্দ্রবৃত্তে থেকে যে তিনজন কবি নতুন সুর শুনিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। মোহিতলালের দেহবাদ ও ভোগবাদ, যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের দুঃখবাদ ও নজরুলের বিদ্রোহীসত্তা বাংলা কাব্যে নতুন চেতনা নিয়ে এসেছিল। ব্যক্তিগত জীবনে ইঞ্জিনিয়ার কবি যতীন্দ্রনাথ জীবনকে দেখেছেন নির্মোহ, নির্বাক দৃষ্টিতে। যতীন্দ্রনাথের কাব্যের নামগুলি দেখলেই বোঝা যাবে তিনি কোন্ সুর আরোপ করতে চেয়েছেন কবিতায়। জীবন যেন মরুভূমি। … Read more

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান আলোচনা করো।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর বাংলা কাব্যে নতুন সুর শুনিয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল প্রথম বিদ্রোহের চেতনা নিয়ে বাংলা কাব্যসংসারে প্রবেশ করেন। ইংরেজ শোষণের বিরুদ্ধে তিনি সচেতনভাবে বক্তব্যধর্মী, প্রতিবাদের বাণী সঞ্চার করতে পেরেছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে যে রবীন্দ্রবলয় গড়ে উঠেছিল, সেখান থেকে নজরুলই প্রথম বেরিয়ে এসেছিলেন। বাংলা কাব্যসংসারে বিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে প্রবেশ করেন নজরুল ইসলাম। প্রথম … Read more

বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে ‘ভোরের পাখি’ হিসেবে কে পরিচিত? তাঁর কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের নাম উল্লেখ করো। তাঁর কবিপ্রতিভার পরিচয় লিপিবদ করো।

বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে ‘ভোরের পাখি’ হিসেবে পরিচিত কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন-“বিহারীলাল তখনকার ইংরেজি ভাষায় নব্যশিক্ষিত কবিদিগের ন্যায় যুদ্ধবর্ণনা সংকুল মহাকাব্য, উদ্দীপনাপূর্ণ দেশানুরাগমূলক কবিতা লিখিলেন না এবং পুরাতন কবিদিগের ন্যায় পৌরাণিক উপাখ্যানের দিকেও গেলেন না, তিনি নিভৃতে বসিয়া নিজের ছন্দে নিজের মনের কথা বলিলেন।” তাঁর উল্লেখ যোগ্য কাব্যগুলি হল ‘বন্ধুবিয়োগ’, ‘নিসর্গ সন্দর্শন’, ‘বলাসুন্দরী’, ‘সারদামঙ্গল’ ও … Read more

উনিশ শতকের কাব্য পরিক্রমায় সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবি প্রতিভার পরিচয় দাও। অথবা, ‘ছন্দের জাদুকর’ উপাধিতে কে ভূষিত? কে এই উপাধি দিয়েছিলেন? কবির দুটি কাব্যের নাম লেখো। কবির কবি প্রতিভার পরিচয় দাও।

‘ছন্দের জাদুকর’ উপাধিতে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ভূষিত। সত্যেন্দ্রনাথকে এই উপাধি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সত্যেন্দ্রনাথের কাব্যগুলি হল-‘সবিতা’, ‘সন্ধিক্ষণ’, ‘বেণু ও বীণা’, ‘হোমশিখা’ ও ‘তীর্ঘসলিল’। ছন্দের জাদুকর বিচিত্র প্রতিভার অধিকারী হয়ে বাংলা কাব্যজগতে প্রবেশ করেছিলেন। এক সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে তিনি কাব্যে প্রবেশ করেছিলেন। তাই তাঁর কাব্যচেতনায় রোমান্টিকতার সুর থাকলেও অন্তরালে ছিল স্বদেশচেতনা ও স্বদেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা। … Read more

. “স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায় দাসত্ব শৃঙ্খল বল, কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?”

মধুসূদন প্রথম কাব্য ‘তিলোত্তমাসম্ভব’-এ মহাভারতের কাহিনিকে নিয়ে নবচেতনায় অবতীর্ণ হলেন। এখানেই তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করলেন। মধুসুদনের অমর সৃষ্টি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ (১৮৬১)। রামায়ণের ঘটনাকে সামনে রেখে তিনি প্রচলিত ধারণাকে পালটে দিয়ে এক নবনির্মাণে এগিয়ে গেলেন। মধুসূদনের প্রিয় চরিত্র রাবণ। রাবণের পিতৃহৃদয়ের আর্তনাদকেই তিনি বড়ো করে তুলেছেন। নয়টি সর্গে তিনি কাহিনিকে বপন করেন। ষষ্ঠ সর্গে … Read more

মহাকাব্যবলতেকীবোঝো? সংক্ষেপেবাংলামহাকাব্যধারারপরিচয়দাও। অথবা বাংলা মহাকাব্যের ধারায় কবিদের কবি প্রতিভার পরিচয় দাও।

মহাকাব্যের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘এপিক’। দেশকালের সীমায় আবদ্ধ একটি জাতির আবর্তন-বিবর্তন রেখাটি, তার চেতনা ও জনজীবনের সমগ্র রূপটি যে বৃহৎকাব্যে ধরা পড়ে, তাকে বলে মহাকাব্য। রবীন্দ্রনাথের মতে-“যেন তাহা বৃহৎ বনস্পতির মতো দেশের ভূতলজঠর হইতে উদ্ভূত হইয়া সেই দেশকে আশ্রয়দান করিয়াছে।” মহাকাব্যকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়-জাতীয় মহাকাব্য ও সাহিত্যিক মহাকাব্য। পৃথিবীতে চারটি জাতীয় মহাকাব্য রয়েছে-রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়ড … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress