আর্যদের ভারতে বসতি বিস্তার সম্পর্কে লেখো।

আর্যদের ভারতে বসতি: দীর্ঘদিন নিজ বাসভূমিতে বসবাসের পরে আর্যরা বহির্দেশে গমন করে। তাদের এই সমষ্টিগতভাবে দেশত্যাগের কারণ হিসেবে জনসংখ্যার বৃদ্ধি, খাদ্যাভাব, ভূমির অভাব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং গৃহবিবাদ প্রভৃতি কারণের কথা বলা হয়। তাদের একটি অংশ অগ্রসর হয় পশ্চিমে ইউরোপের দিকে এবং অপর একটি অংশ অগ্রসর হয় পূর্বদিকে। যে অংশটি পূর্বদিকে অগ্রসর হয়, তারা প্রথমে পারস্যে … Read more

‘বৈদিক সাহিত্য’ সম্পর্কে টীকা লেখো।

‘বৈদিক সাহিত্য’ বৈদিক যুগ বলতে বোঝায় সেই যুগকে, যে যুগে বৈদিক সাহিত্য রচিত হয়েছিল। বলাবাহুল্য, বৈদিক যুগ সম্পর্কে জানার অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হল বৈদিক সাহিত্য। এই বৈদিক সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত হল-সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ ও বেদাঙ্গ। এগুলি সবই সংস্কৃত ভাষায় রচিত। তবে ঋগ্বেদের ভাষা ধ্রুপদি সংস্কৃতের থেকেও প্রাচীনতম। সংহিতার পর্যায়ে পড়ে চারটি বেদ। যথা-ঋক্, সাম, যজুঃ … Read more

ঋগ্‌বৈদিক সমাজে নারীদের অবস্থান সম্পর্কে লেখো।

ঋগ্‌বৈদিক যুগে আর্য সমাজে নারীদের অবস্থান বা জীবন সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সাধারণত ঋগ্বেদের ওপর নির্ভর করতে হয়। ঋগ্বেদিক সমাজে নারীদের অবস্থানের কী পরিবর্তন হয়েছিল, তা আলোচনা করা হল- ঋগ্‌বৈদিক যুগে নারীদের অবস্থান: ঋগ্বেদের যুগে নারীরা যথেষ্ট সম্মানের অধিকারী ছিল। সমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক, তবুও যদি কন্যাসন্তান জন্মলাভ করত, তবে তাকে অবহেলা করা হত না। ঋগ্‌বৈদিক … Read more

‘গোধন’ বলতে কী বোঝো?

‘গোধন’ ঋগ্‌বৈদিক যুগে জীবিকা হিসেবে কৃষির পরেই ছিল পশুপালন। এই যুগে গোসম্পদকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হত, তাই গোসম্পদকে বলা হত গোধন। গোসম্পদ ও কৃষিজমি দখলের জন্য আর্যদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই থাকত। গোরুর মালিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য গোরুর কান চিহ্নিতকরণ করা হত। গোবুকে মূল্যের একক এবং পণ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার … Read more

চতুরাশ্রম প্রথা।

অথবা, টীকা লেখো: চতুরাশ্রম প্রথা। চতুরাশ্রম প্রথা: ঋগ্‌বৈদিক যুগের শেষপর্বে চতুরাশ্রম প্রথার উদ্ভব ঘটে। ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের নব্বই সংখ্যক সূক্ত ‘পুরুষসূক্ত’-তে চতুর্বর্ণ বা চারটি বর্ণ, যথা-ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রের উদ্ভবের তত্ত্ব বর্ণিত হয়েছে। উচ্চ তিনবর্ণের আর্য সন্তানদের ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ্য ও সন্ন্যাস এই চারটি প্রথা পালন করতে হত। আট বছর বয়স হলেই আর্য বালককে … Read more

টীকা লেখো: ব্রাত্য ও নিষাদ।

অথবা, ব্রাত্য ও নিষাদ কারা? ব্রাত্য ও নিষাদ কারা: কবৈদিক যুগে ‘ব্রাত্য’ ও ‘নিষাদ’ নামক দুটি জনগোষ্ঠীর পরিচয় পাওয়া যায়। ‘ব্রাত্য’ বলতে যারা তখনও আর্যদের আদি জীবিকা পশুপালনকে অবলম্বন করে জীবনধারণ করত, তাদেরকে বোঝায়। আর ‘নিষাদ’ ছিল অনার্য জাতি, যারা বনজঙ্গলে শিকার ও খাদ্যসংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করত। তবে অথর্ববেদে, শতপথ ব্রাহ্মণে ব্রাত্য ও নিষাদদের … Read more

‘দশরাজার যুদ্ধ’ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

‘দশরাজার যুদ্ধ’: ঋগ্‌বৈদিক যুগে আর্যরা একাধিক উপজাতিতে বিভক্ত ছিল। এই উপজাতি গোষ্ঠীগুলি ছিল-ভারত, যদু, তুর্কস, অনু, পুরু, জুহু প্রভৃতি। এই উপজাতি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে কোনো-না-কোনো বিষয় নিয়ে প্রায়ই বিবাদ লেগে থাকত। এই বিবাদগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি মুখ ছিল ‘দশরাজার যুদ্ধ’। রাজা দিবোদাসের পুত্র সুদাস ছিলেন ভারত গোষ্ঠীর রাজা। এই সময় রাজাদের অধীনে একজন করে পুরোহিতের থাকত। … Read more

দক্ষিণ ভারতের মেগালিথ

অথবা, মহাশ্মীয় সংস্কৃতি সম্বন্ধে যা জানো লেখো। মহাশ্মীয় সংস্কৃতি সম্বন্ধে যা জানো লেখো দক্ষিণ ভারতে লোহার ব্যবহারের সূত্রপাতের সঙ্গে ‘মেগালিথ’ বা ‘মহাশ্মীয়’ সমাধি প্রথা জড়িত। দক্ষিণ ভারতের মহাশ্মীয় সমাধি থেকে লৌহযুগের অনেক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। এই অঞ্চলের মেগালিখ নানা ধরনের হয়। যেমন-গর্ত সমাধি, কক্ষ সমাধি, স্মারক সমাধি প্রভৃতি। যাই হোক, এইসব সমাধি থেকে প্রাপ্ত লৌহনির্মিত … Read more

‘উত্তরের কৃষ্ণবর্ণ মৃৎপাত্র সংস্কৃতি’ সম্পর্কে লেখো।

‘উত্তরের কৃষ্ণবর্ণ মৃৎপাত্র সংস্কৃতি’ লৌহযুগের গাঙ্গেয় উপত্যকার বসতিগুলির সঙ্গে ‘উত্তরের কৃষ্ণবর্ণ মসৃণ মৃৎপাত্র সংস্কৃতি’ নামে এক সংস্কৃতির নাম জড়িত। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি জায়গায় এই সংস্কৃতির নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই সংস্কৃতির মৃৎপাত্রগুলিতে কালো ও লাল রং এবং গায়ে সাদা নকশা আছে। এখানে বেশ কিছু লৌহনির্মিত জিনিস তিরফলক, বর্শাফলক, বাটালি, খুর প্রভৃতি পাওয়া গেছে। এই সংস্কৃতির … Read more

‘চিত্রিত ধূসর বর্ণের মৃৎপাত্র সংস্কৃতি’ সম্পর্কে লেখো।

‘চিত্রিত ধূসর বর্ণের মৃৎপাত্র সংস্কৃতি’: ‘চিত্রিত ধূসর মৃৎপাত্র সংস্কৃতি’ নামে একটি সংস্কৃতির স্রষ্টারা লোহার ব্যবহার করতে শিখেছিল। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশে এই সংস্কৃতির লোহার জিনিস পাওয়া গেছে। এই ধরনের পাত্রগুলি মসৃণ ও হালকা ধরনের। এই মৃৎপাত্রগুলির রং ছাই থেকে গাঢ় ধূসর। চিত্রিত ধূসর মৃৎপাত্র, সংস্কৃতির স্রষ্টা হিসেবে বি বি লাল আর্য তথা পাণ্ডবদের কথা বলেছেন। … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress