পল্লব যুগের শিল্প-স্থাপত্য নিয়ে আলোচনা কর।

খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে নবম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত সময়কাল বিন্ধ্যর দক্ষিনে উপদ্বীপীয় ভারতের তিনটি শক্তির সহাবস্থান লক্ষ করা যায়- দাক্ষিণাত্যে বাদামীর চালুক্য বংশ, সুদূর দক্ষিনে কাঞ্চিপুরমের পল্লববংশ এবং আরো দক্ষিনে মাদুরাইয়ের পান্ড্যবংশ। দক্ষিণ ভারতের উপর রাজনৈতিক কর্তৃত্বকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে এই তিনটি শক্তি পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিল। তথাপি এই তিনশ বছরের … Read more

হর্ষবর্ধন সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ লেখ। তাঁকে কি সমগ্র উত্তর ভারতের অধিপতি হিসেবে চিহ্নিত করা যায় ?

কনৌজপাতি হর্ষবর্ধন : প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেন ‘মহারাজাধিরাজা’ হর্ষ শিলাদিত্য। বনভট্টের ‘হর্ষচরিত’ এবং চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাত্তার বিবরণের মাধ্যমে তিনি অমর হয়ে আছেন। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর হর্ষবর্ধনের প্রধান কৃতিত্ব ছিল একটি বৃহৎ সাম্রাজ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একটি বিভক্ত ও খণ্ডিত ভারতে রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা। ঐতিহাসিক উপাদান : হর্ষবর্ধনের রাজত্বের ইতিহাস জানতে আমাদের … Read more

সমুদ্রগুপ্তের সাম্রাজ্যবাদী নীতির মূল্যায়ন কর ?

সমুদ্রগুপ্তেরসাম্রাজ্যবাদীনীতি : সমুদ্রগুপ্ত সম্পর্কিত ঐতিহাসিক উপাদান :-যেসকল উপাদান থেকে সমুদ্রগুপ্ত এবং তাঁর সাম্ৰাজ্যবাদী নীতি সম্পর্কে জানা যায় , সেগুলি হল –(i) হরিষেন কর্তৃক রচিত এলাহাবাদ প্রশস্তি।(ii) মধ্যপ্রদেশে প্রাপ্ত এরাণ লিপি।(iii) সমুদ্রগুপ্ত কর্তৃক প্রচারিত বিভিন্ন ধরণের পাঁচ প্রকার মুদ্রা।(iv) চৈনিক বিবরণ।(v) অন্যান্য মুদ্রা , বাগেলখন্ড শিলালিপি – ইত্যাদি। সমুদ্রগুপ্তের রাজ্যজয়ের উদ্দেশ্য : মৌর্য পরবর্তী যুগে ভারতের … Read more

হর্ষবর্ধনের শাসন ব্যবস্থা সমন্দে আলোচনা কর?

ভূমিকাঃ প্রাচীন ভারতীয় রাজতন্ত্রে রাজাই সর্বশক্তির আধার হিসেবে কাজ করতেন। সুতরাং রাজার যোগ্যতার ওপর শাসন ব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করত। হর্ষবর্ধন এই কথা ভালভাবে বুঝতেন। ফলে তিনি প্রায় সারাদিন রাজকার্যে ব্যস্ত থাকতেন। রাজকর্মচারীদের ওপর অন্ধভাবে নির্ভর না করে তিনি নিজে তাদের কাজের তদারকি করতেন। হিউয়েন সাং-এর মতে, হর্ষের শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য ছিল, প্রজাদের সঙ্গে গণ সংযোগ … Read more

গুপ্ত যুগের বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো

ভূমিকা : প্রাচীন ভারতে ‘সুবর্নযুগ‘ হিসাবে খ্যাত গুপ্ত যুগে একদিকে যেমন সাহিত্যের বিকাশ ঘটেছিল অন্যদিকে তেমনই বিজ্ঞানচর্চারও প্রভুত উন্নতি হয়েছিল। জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, চিকিৎসা বিজ্ঞান, ভেষজ শাস্ত্র, রসায়ন, খনি ও ধাতুবিদ্যা প্রভৃতি বিজ্ঞানের নানা শাখার উন্নতি এই সময় লক্ষ্য করা যায়। গুপ্তযুগে বিজ্ঞানের এই অভূতপূর্ব অগ্রগতি সম্ভব হয়েছিল গুপ্ত রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ও তাদের আনুকূল্যে। গুপ্ত যুগের বিজ্ঞান … Read more

গুপ্ত সাম্রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করো

ভূমিকা :- ইতিহাসের ধারা প্রবহমান হলেও, কতকগুলি কার্যকারণের জন্য তাতে পরিবর্তনের স্রোত দেখা যায়।মোর্যসম্রাজ্য পতনের পর ভারতে -এর রাজনীতিতে যে বিচ্ছিন্নতা, আঞ্চলিকতার প্রকাশ ও বৈদেশিক শক্তিগুলির অনুপ্রবেশ ঘটেছিল তাতে ছেদ পড়ে এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যের উদ্ভব ঘটে। উপাদান রাজার ক্ষমতা  গুপ্ত শাসন ব্যবস্থায় আপাত দৃষ্টিতে রাজা ছিলেন সকল ক্ষমতার কেন্দ্রস্থল। সেনাদল, কর্মচারীবৃন্দ তাঁরই নির্দেশে চলত। তিনি তাদের নিয়োগ করতেন … Read more

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল এর প্রভাব আলোচনা করে

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মূল উদ্দেশ্য কর্নওয়ালিশ বড়ােলাট হয়ে ভারতে এসে (১৭৮৬ খ্রি.) ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন করেন। তার শাসনকালে এটি ছিল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের পেছনে বেশ কিছু উদ্দেশ্য ছিল, যেমন一 চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রভাব বাংলার ইতিহাসে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই ব্যবস্থা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার ভূমি ও সমাজ উভয়ক্ষেত্রেই এক … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress