টাকা লেখো: কালিরদান।

রাজস্থানের গঙ্গানগর জেলার যাগরের তটে অবস্থিত যাক্ হরনীয় ও হরমীয় কেন্দ্র কালিব্যান। হরমার মতো এখানেও পাওয়া গেছে ঝাড়িঘর আর রাস্তাঘাট। তবে এখানে জলনিকাশি ব্যবস্থা অনুপস্থিত ছিল। আবাসগুলিতে দেখা গেছে আয়তাকার ও গোলাকার উনান। বাড়িগুলি ছিল কাঁচা ইটের তৈরি। মাত্র একটি নকশা করা টালি পাতা ঘরের মেঝে পাওয়া গেছে। প্রতিরক্ষা দুর্গের দক্ষিণে পাওয়া গেছে কাঠের মঞ্চ, … Read more

হরপ্পা সভ্যতার পৌর শাসনব্যবস্থা কেমন ছিল?

হরপ্পা সভ্যতার নগরগুলিতে কী ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রচলিত ছিল সে সম্পর্কে কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। এ ব্যাপারে ঐতিহাসিকগণ নানা মতামত প্রকাশ করেছেন। বিরাট এলাকা জুড়ে একই ধরনের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ওজন-মাপ দেখে ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে, এখানে একটি কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। ড. এস কে সরস্বতী বলেন যে, হরপ্পার নগরগুলির সংগঠন দেখে মনে হয় যে, এখানে একটি … Read more

সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয় কেন?

সিন্ধুনদকে কেন্দ্র করে মহান সিন্ধু সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধি ঘটে বলে “Archaeological Survey of India’-র তদানীন্তন অধিকর্তা স্যার জন মার্শাল এই সভ্যতার নামকরণ হিসেবে ‘সিন্ধু সভ্যতা’ নামটি ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু সর্বাধুনিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সভ্যতার নাম হিসেবে ‘সিন্ধু সভ্যতা’ নামটি আর পর্যাপ্ত বা সম্পূর্ণ মনে হচ্ছে না। তাই এই সভ্যতার নতুন নাম … Read more

ভারতের ইতিহাসে হরপ্পা সভ্যতা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

হরপ্পা সভ্যতা সম্পর্কে আমাদের সমস্ত ধারণা প্রত্নতত্ত্বনির্ভর এবং নতুন নতুন অনুসন্ধান ও গবেষণার ফলে অন্যান্য জ্ঞানের মতো প্রতিদিনই ক্রমবর্ধমান। হরয়া সভ্যতা ভারতীয় সভ্যতাকে প্রাচীন পৃথিবীর সমকালীন নদীমাতৃক সভ্যতার সঙ্গে এবং সারিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে। হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে মেসোপটেমীয় সভ্যতার সংযোগ এখন পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণার বিষয়। হরপ্পা সভ্যতা ভারতীয় সভ্যতার কালসীমাকে দূর অতীতে প্রসারিত করেছে। পূর্বে মনে করা … Read more

হরপ্পা সভ্যতার পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখো।

হরপ্পা সভ্যতার নগরগুলির বাসগৃহের জলনিকাশি ব্যবস্থা ছিল খুবই উন্নত। প্রতি বাড়ির জল বের হওয়ার জন্য পোড়ামাটির ইটের তৈরি নালি ছিল। এই নালিপথে জল নির্গত হয়ে রাস্তার পয়ঃপ্রণালীতে পড়ত। রাস্তার পাশে গর্ত করে নর্দমা তৈরি করা হত। এই নর্দমা পাথরের ঢাকনা দ্বারা চাপা দেওয়া থাকত। জলের দ্বারা বাহিত আবর্জনাকে আটকাবার জন্য মাঝে মাঝে বিশেষ ধরনের ব্যবস্থা … Read more

‘হরপ্পার সীলমোহর’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টাকা লেখো।

অথবা, সিজুলিপি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টাকা লেখো। হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পোড়ামাটি, তামা ও ব্রোঞ্জের প্রচুর সীল আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলির সংখ্যা প্রায় দু-হাজার। ঐতিহাসিকদের অনুমান প্রধানত ব্যাবসাবাণিজ্যের জন্যই ওইসব সীল তৈরি হয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এগুলি ব্যবহৃত হত। কারণ সুসা এবং মেসোপটেমিয়ার নগরগুলিতেও হরপ্পা সভ্যতার সীল আবিষ্কৃত হয়েছে। এইসব সীলে বিভিন্ন জীবজন্তু ও জলযানের … Read more

নব্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

অথবা, ভারতের নব্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো। নব্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য: নব্যপ্রস্তর যুগে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মানুষজন কৃষির আবিষ্কার করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটায়। কৃষির আবিষ্কার থেকে নাগরিক সভ্যতার উদয় পর্যন্ত সময়কে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ‘নব্যপ্রস্তর যুগ’ নাম দিয়েছেন। সময়সীমা: বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে নব্যপ্রস্তর যুগের সূচনা 9000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে হলেও ভারতে মোটামুটিভাবে খ্রিস্টপূর্ব 6000 থেকে … Read more

মধ্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

মধ্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতি বলতে বোঝায়, এই সংস্কৃতি পুরোনো প্রস্তর যুগের পরবর্তী এবং নব্যপ্রস্তর যুগের পূর্ববর্তী। ভূস্তর বিন্যাসের পর্যায়ক্রমই এই ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এই যুগের সময়কাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 4000 থেকে খ্রিস্টপূর্ব 2000 অব্দ পর্যন্ত। এই সময়ে তুষারযুগের অবসানের ফলে উত্তরণের এক অন্তবর্তী পরিবর্তনশীল অধ্যায় সূচিত হয়। ভূপৃষ্ঠে আবার দেখা দেয় বন-বনানী ও নানান নতুন জীবজন্তু। … Read more

ভারতের প্রাচীন প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।

অথবা, প্রাচীন প্রস্তর যুগের জীবনযাত্রার মান কেমন ছিল, তা আলোচনা করো। অথবা, ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাচীন প্রস্তর যুগ সম্বন্ধে যা জানো লেখো। মানব সংস্কৃতির সর্বপ্রাচীন পর্ব অর্থাৎ প্রাচীন প্রস্তর যুগ হল জৈবিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের আদিতম অধ্যায়। ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে এই যুগের সূচনা হয়েছিল আনুমানিক 2,50,000 বছর পূর্বে এবং শেষ হয়েছিল 10,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে। এই প্রাচীন প্রস্তর যুগের … Read more

প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের আলোকে ‘নব্যপ্রস্তরকালীন বিপ্লব’ বলা কতটা যুক্তিসংগত?

প্রস্তর যুগের তৃতীয় ও শেষ পর্যায় হল নব্যপ্রস্তর যুগ। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 4000 অব্দে ভারতে এই যুগের সূচনা হয়। এ যুগের মানুষ বড়ো হাতিয়ারের পরিবর্তে মসৃণ ছোটো আকারের পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করত। এই যুগের মানুষ খাদ্য সংগ্রাহক থেকে খাদ্য উৎপাদকে পরিণত হয়। সেই কারণে বন্য মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজজীবন গড়ে তুলতে সমর্থ হয়। ভ্রাম্যমান, গুহাবাসী মানুষ নিজেদের … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress