মেগালিথিক সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি টাকা লেখো।

মেগালিথিক সংস্কৃতির সাধারণ লোকেরা মৃতদেহকে সমাধি দিত। এই সংস্কৃতির মূল আকর্ষণ হল মৃতদেহের সুরক্ষার জন্য বড়ো-বড়ো পাথর দিয়ে ঘেরা স্থানে মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হত। মেগালিথিক শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘মেগাস’ ও ‘লিথোস’ থেকে এসেছে। ‘মেগাস’ কথার অর্থ হল ‘বড়ো’ এবং ‘লিথোস’ কথার অর্থ হল ‘পাথর’। মেগালিথিক সংস্কৃতি ভারতের পূর্ব-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে পাওয়া গেছে, কিন্তু দক্ষিণ … Read more

প্রাচীন প্রস্তর যুগের মাদ্রাজি শিল্প বা মাদ্রাজি সংস্কৃতি সম্বন্ধে যা জানো লেখো।

মাদ্রাজি শিল্প বা মাদ্রাজি সংস্কৃতি: প্যাটারসন সর্বপ্রথম মাদ্রাজ অঞ্চলের পুরোনো প্রস্তর যুগের প্রচুর নিদর্শন আবিষ্কার করেন। 1932 সালে আবিষ্কৃত হয় মাণ্যকারনাই প্রত্নক্ষেত্রটি। প্যাটারসন ও কুয়স্বামী, ‘ভাদামাদুরাই’ এবং ‘অভিরামপত্তম’ নামক দুটি প্রত্নক্ষেত্র থেকে বহু হাতিয়ার সংগ্রহ করেন। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রচেষ্টায় উদ্‌ঘাটিত হয় শ্রীপরনমগুরু নামক একটি প্রত্নক্ষেত্র। এইসব ক্ষেত্র থেকে মাদ্রাজ সংস্কৃতির হাতিয়ার আবিষ্কৃত হয়েছে। … Read more

প্রাচীন প্রস্তর যুগের সোয়ান সংস্কৃতির পরিচয় দাও।

1935 সালে ইয়েল-কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নভূতাত্ত্বিক সমীক্ষক দল দ্য তেরা, টি টি প্যাটারসন প্রমুখ পশ্চিম পঞ্জাবের শিবালিক পর্বতমালা ও পটওয়ার অঞ্চলের অন্তর্গত রাওয়ালপিন্ডি শহরের নিকট সোয়ান নদীর উপকূলে সমীক্ষা চালিয়ে প্রাচীন প্রস্তর যুগের প্রচুর প্রতাশ্ম আবিষ্কার করেন। প্যাটারসন, প্রাপ্ত হাতিয়ারগুলিকে আদি সোয়ান ও পরবর্তী সোয়ান এই দুটি পর্যায়ে বিভক্ত করেন। সোহান বা সোয়ান সিখুনদের একটি উল্লেখযোগ্য … Read more

প্রাচীন প্রস্তর যুগের গিরি গুহাচিত্র বিশেষ করে ভীমবেটকার গুহাচিত্র সম্বন্দে যা জানো লেখো।

প্রাচীন ভারতের প্রস্তর চিত্র ইতিহাসের উপাদান হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস জানতে প্রস্তর চিত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রস্তর যুগের আদিম মানুষ পশুর হাড় ও শিং দিয়ে গুহার দেওয়ালে ছবি আঁকতে শিখেছিল। আদিম মানুষের পশুচিত্রের প্রধান বিষয় ছিল শিকার, এ ছাড়া বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশা খোদাই করা বেশ কিছু প্রস্তর চিত্র পাওয়া গেছে। প্রাচীন ভারতের রাজস্থানের … Read more

প্রাচীন প্রস্তর যুগ ও নব্যপ্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ ও নব্যপ্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য গুলি নীচে আলোচনা করা হল- প্রাচীন প্রস্তর যুগ: প্রাচীন প্রস্তর যুগ বলতে মূলত প্লেইস্টোসিন যুগের সভ্যতাকে বোঝায়। নব্যপ্রস্তর যুগ ছিল হলসিন যুগের সভ্যতা। এই প্রথায় উভয় যুগের মানুষই পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করত, তবে গঠনগত ক্ষেত্রে বেশ কিছু পার্থক্য ছিল। প্রাচীন প্রস্তর যুগে মানুষের তৈরি হাতিয়ার অতটা মজবুত … Read more

প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্যপ্রস্তর যুগ এবং নব্যপ্রস্তর যুগে ব্যবহৃত ঔষধগুলি সম্পর্কে লেখো।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্যপ্রস্তর যুগ এবং নব্যপ্রস্তর যুগে ব্যবহৃত আয়ুধ বা অস্ত্রগুলি সম্বন্ধে নীচে আলোচনা করা হল- প্রাচীন প্রস্তর যুগে ব্যবহৃত আয়ুধ প্রস্তর যুগে মানুষ শিকারের প্রয়োজনে হাতিয়ার তৈরি করেছিল। প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষ ছিল খাদ্য সংগ্রাহক, তাই খাদ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন ছিল হাতিয়ারের। খননকার্যের ফলে এই যুগে যে সমস্ত হাতিয়ার বা আয়ুধ পাওয়া গেছে … Read more

মধ্যপ্রস্তর যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে লেখো।

প্রস্তর যুগের দ্বিতীয় পর্যায় হল মধ্যপ্রস্তর যুগ। এই যুগকে ‘ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগ’ও বলা হয়। মধ্যপ্রস্তর যুগের প্রত্নতত্ত্বকেন্দ্রগুলি ভারতবর্ষের প্রতিটি অঞ্চলের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। গুজরাটের লংগনাজ ছিল মধ্যপ্রস্তর যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানকার মানুষের প্রধান হাতিয়ার ছিল পাথরের টুকরো এবং পাথরের নুড়ি। মধ্যপ্রস্তর যুগের বহু নিদর্শন ভারতের সিন্ধু দেশে, দক্ষিণের ভিনেভেলিতে এবং পূর্বের পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া … Read more

নব্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

নব্যপ্রস্তর যুগে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মানুষজন কৃষির আবিষ্কার করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটায়। কৃষির আবিষ্কার থেকে নাগরিক সভ্যতার উদয় পর্যন্ত সময়কে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ নব্যপ্রস্তর যুগ নাম দিয়েছেন। নব্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি হল- হাতিয়ারগুলি অনেক উন্নত, ধারালো ও চকচকে ছিল। বর্ষাফলক, হারপুন, তিরফলক, ছোরা ইত্যাদিকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত। মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু … Read more

টীকা লেখো ‘ডোলমেন’।

অথবা, ‘ডোলমেন’ বলতে কী বোঝো? নব্যপ্রস্তর যুগের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল মৃতদেহ সমাধিস্থ করা, যাকে ‘ডোলমেন’ বলা হত। দক্ষিণ ভারতে ব্রহ্মগিরি, পুদুকোটি প্রভৃতি স্থান থেকে মহাপ্রস্তর সমাধির নিদর্শন পাওয়া গেছে। কর্ণাটকের ব্রহ্মগিরি থেকে ডোলামেন সমাধি পাওয়া গেছে। ডোলমেন বলতে বোঝায় পাথরের টেবিলাকৃতি সমাধি। ব্রহ্মগিরি, মান্ত্রী, অস্ত্রপ্রদেশের কদম্বপুর, নাগার্জুনকোন্ডা, মীরাপুর ও অমরাবতী, তামিলনাড়ু আদিতচলুর, সনুর, কেরলের … Read more

টীকা লেখো ভীমবেটকা।

প্রস্তর যুগের গুহাচিত্রের যে ক-টি নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভীমবেটকা গুহাচিত্র। মধ্যপ্রদেশের ভীমবেটকায় এটি অবস্থিত। ভারতের সবথেকে প্রাচীন গুহাচিত্র হল ভীমবেটকা গুহাচিত্র। ভীমবেটকা গুহাতে যে সমস্ত চিত্রগুলি অঙ্কিত হয়েছে, সেগুলি যে-কোনো গুহাচিত্রের চেয়ে বেশ সমৃদ্ধ। এই চিত্রগুলিতে মানুষের শিকারের দৃশ্য এবং ধর্মীয় বেশ কিছু প্রতীক চিত্রিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress