প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে মহাকাব্যের গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় বৈদিক সাহিত্যের পরেই সংস্কৃত ভাষায় লিখিত প্রধান দুটি মহাকাব্য হিসেবে ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’-এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। পৃথিবীর দীর্ঘতম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে মহাভারতের নাম করা যেতে পারে, যার লেখক হিসেবে কৃষুদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের কথা বলা হয়। কিন্তু মহাভারতের আয়তন ও ঘটনাবলিসমূহ বিচার করলে বলা যায় যে, কোনো একজন লেখকের সমগ্র জীবনের মধ্যে এটি লেখা সম্ভব … Read more

সাহিত্যিক উপাদানগুলির ত্রুটি আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদানগুলি আলোচনা করলে দেখা যায় যে সাহিত্যিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের মধ্যে সুস্পষ্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে এবং সেইসঙ্গে সাহিত্যিক উপাদানগুলির দুর্বলতার দিকটিও ফুটে ওঠে। সাহিত্যিক উপাদান, তা গ্রন্থ বা বিবরণ যাই হোক না কেন, সর্বদা তার পরিবর্তন ঘটে। অনেক সময় মূল গ্রন্থটি পাওয়া যায় না। এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের সময় লেখক … Read more

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপি বা লেখামালার গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপি বা লেখামালার গুরুত্ব: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের গুরুত্ব সর্বাপেক্ষা বেশি। যে বিজ্ঞানের সাহায্যে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মাটি খনন করে আবিষ্কৃত বস্তু নিদর্শন ও ভূপৃষ্ঠে প্রাপ্ত পুরোনো বস্তু থেকে প্রাচীন মানুষের বাস্তবজীবন সম্পর্কে জানা যায়, তাকে প্রত্নতত্ত্ব বলা হয়। ইউরোপীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্যার উইলিয়ম জোন্স, জেমস প্রিন্সেপ, হ্যামিলটন বুকানন, স্যার … Read more

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান

উন্নতি বা অবনতির আভাস পাওয়া যায়। এইসব কারণে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত অস্বীকার করা যায় না। পরিশেষে বলা যায়, কোনো যুগের বাস্তব পরিস্পিতির প্রকৃত প্রতিফলন একমাত্র প্রত্নতাত্ত্বিকবস্তু থেকেই পাওয়া যায়। ফলে বর্তমানে সাহিত্যিক উপাদানের পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের ওপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের গুরুত্ব সর্বাপেক্ষা বেশি। যে বিজ্ঞানের সাহায্যে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মাটি খনন করে আবিষ্কৃত বস্তু নিদর্শন ও ভূপৃষ্ঠে প্রাপ্ত পুরোনো বস্তু থেকে প্রাচীন মানুষের বাস্তবজীবন সম্পর্কে জানা যায়, তাকে প্রত্নতত্ত্ব বলা হয়। ইউরোপীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্যার উইলিয়ম জোন্স, জেমস প্রিন্সেপ, হ্যামিলটন বুকানন, স্যার জন মার্শাল প্রমুখ এবং ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, … Read more

‘এপিগ্রাফি’ ও ‘নিউমিসমেটিকস’ বলতে কী বোঝো?

‘এপিগ্রাফি’ ও ‘নিউমিসমেটিকস’ সম্পর্কে নীচে আলোচিত হল- এপিগ্রাফি: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে লিপির গুরুত্ব সর্বাধিক। লিপি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন-শিলালিপি, স্তম্ভলিপি, তাম্রলিপি প্রভৃতি। লিপি বলতে বোঝায় বিভিন্ন সরকারি তথ্য, যেমন-শাসনতান্ত্রিক লিপিও রয়েছে। এ ছাড়া, ধর্মলিপি, প্রশস্তিবাচক লিপি, দানসূচক লিপি, ব্যক্তিগত লিপি প্রভৃতি, যেগুলি লোহা, সোনা, তামা, ব্রোঞ্জ, ইট, পাথর প্রভৃতির গায়ে খোদাই করে … Read more

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় বিদেশি সাহিত্যিক উপাদানগুলি সম্পর্কে লেখো।

প্রাচীনকালে বহু বিদেশি, যেমন-গ্রিক, রোমান, চৈনিক, তিব্বতীয় ও মুসলিমরা ভারতে আসেন এবং ভারত সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা তাঁরা লিপিবন্ধ করেন, যা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের সাহিত্যিক উপাদান: গ্রিক বিবরণ: গ্রিক লেখকদের মধ্যে সর্বপ্রথম গ্রিক ঐতিহাসিক ও ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস-এর রচনা থেকে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পারসিক বিজয়ের কথা জানা যায়। গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের ভারত … Read more

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ঋগ্বেদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব লেখো।

ইন্দো-ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় ও সাহিত্যিক কীর্তি হল ‘ঋগ্বেদ’, যা রচিত হয়েছিল 1500-1000 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে। ঋগ্বেদ দশটি মন্ডলে বিভক্ত সহশ্রাধিক স্তোত্র বা শ্লোকের সংকলন। দ্বিতীয় থেকে সপ্তম মণ্ডল বা পারিবারিক মন্ডল ঋগবেদের প্রাচীনতম অংশ। নবম ও দশম মণ্ডলে অনেক পরবর্তীকালের সংযোজন লক্ষ করা যায়। ঋগ্বেদের আবার চারটি ভাগ-ব্রাহ্মণ, সংহিতা, আরণ্যক ও উপনিষদ। সংহিতার মন্ত্রগুলি … Read more

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সাহিত্যিক উপাদানের ত্রুটিগুলি আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সাহিত্যিক উপাদানগুলি যথেষ্ট থাকলেও এগুলি একেবারেই ত্রুটিমুক্ত ছিল না। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় সাহিত্যিক উপাদানের ত্রুটিগুলি হল- • প্রথমত, যে সমস্ত প্রাচীন সাহিত্যিক উপাদান পাওয়া গেছে, সেগুলির ক্ষেত্রে সঠিক সময়ের অভাব লক্ষ করা যায়। ঠিক সেই কারণে, অনেক সময় ইতিহাসের সঠিক কাল নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যায়। • দ্বিতীয়ত, ঐতিহাসিক … Read more

টীকা লেখো কালিদাস।

কালিদাস ছিলেন গুপ্তযুগের শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার। তাঁর রচিত তিনটি উল্লেখযোগ্য মহাকাব্য হল-‘রঘুবংশম্’, ‘কুমারসম্ভব’, ‘মেঘদূতম্’। তাঁর ক্ষুদ্র কাব্যগ্রন্থ ‘ঋতুসংহার’-এ বিভিন্ন ঋতুর প্রাকৃতিক বর্ণনা ফুটে উঠেছে। তাঁর রচিত নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম্’, ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম্’ এবং ‘বিক্রমোবর্শী’। তাঁর রচনাগুলি পাঠ করে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, তিনি অসাধারণ কবিপ্রতিভার অধিকারী ছিলেন এবং দর্শনশাস্ত্র, নাট্যশাস্ত্র, যোগ জ্যোতিষ প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress