উনিশ শতকের কাব্য পরিক্রমায় সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবি প্রতিভার পরিচয় দাও। অথবা, ‘ছন্দের জাদুকর’ উপাধিতে কে ভূষিত? কে এই উপাধি দিয়েছিলেন? কবির দুটি কাব্যের নাম লেখো। কবির কবি প্রতিভার পরিচয় দাও।

‘ছন্দের জাদুকর’ উপাধিতে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ভূষিত। সত্যেন্দ্রনাথকে এই উপাধি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সত্যেন্দ্রনাথের কাব্যগুলি হল-‘সবিতা’, ‘সন্ধিক্ষণ’, ‘বেণু ও বীণা’, ‘হোমশিখা’ ও ‘তীর্ঘসলিল’। ছন্দের জাদুকর বিচিত্র প্রতিভার অধিকারী হয়ে বাংলা কাব্যজগতে প্রবেশ করেছিলেন। এক সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে তিনি কাব্যে প্রবেশ করেছিলেন। তাই তাঁর কাব্যচেতনায় রোমান্টিকতার সুর থাকলেও অন্তরালে ছিল স্বদেশচেতনা ও স্বদেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা। … Read more

রবীন্দ্রনাথের কাব্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় লিপিবদ্ধ করো।

অথবা, উনিশ শতকের কাব্য পরিক্রমায় রবীন্দ্রনাথের অবদান আলোচনা করো। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন যে বছর ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ নামক মহাকাব্য লিখলেন সে বছরই জন্ম হয় আর এক কবির। যিনি বাংলা কাব্য পরিক্রমার রাজাধিরাজের আসন অধিকার করে আছেন এযাবৎ কাল। সে নাম যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘হিন্দু মেলার উপহার’ লিখে তিনি কাব্যজগতে প্রবেশ … Read more

. “স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায় দাসত্ব শৃঙ্খল বল, কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?”

মধুসূদন প্রথম কাব্য ‘তিলোত্তমাসম্ভব’-এ মহাভারতের কাহিনিকে নিয়ে নবচেতনায় অবতীর্ণ হলেন। এখানেই তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করলেন। মধুসুদনের অমর সৃষ্টি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ (১৮৬১)। রামায়ণের ঘটনাকে সামনে রেখে তিনি প্রচলিত ধারণাকে পালটে দিয়ে এক নবনির্মাণে এগিয়ে গেলেন। মধুসূদনের প্রিয় চরিত্র রাবণ। রাবণের পিতৃহৃদয়ের আর্তনাদকেই তিনি বড়ো করে তুলেছেন। নয়টি সর্গে তিনি কাহিনিকে বপন করেন। ষষ্ঠ সর্গে … Read more

মহাকাব্যবলতেকীবোঝো? সংক্ষেপেবাংলামহাকাব্যধারারপরিচয়দাও। অথবা বাংলা মহাকাব্যের ধারায় কবিদের কবি প্রতিভার পরিচয় দাও।

মহাকাব্যের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘এপিক’। দেশকালের সীমায় আবদ্ধ একটি জাতির আবর্তন-বিবর্তন রেখাটি, তার চেতনা ও জনজীবনের সমগ্র রূপটি যে বৃহৎকাব্যে ধরা পড়ে, তাকে বলে মহাকাব্য। রবীন্দ্রনাথের মতে-“যেন তাহা বৃহৎ বনস্পতির মতো দেশের ভূতলজঠর হইতে উদ্ভূত হইয়া সেই দেশকে আশ্রয়দান করিয়াছে।” মহাকাব্যকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়-জাতীয় মহাকাব্য ও সাহিত্যিক মহাকাব্য। পৃথিবীতে চারটি জাতীয় মহাকাব্য রয়েছে-রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়ড … Read more

কবি ঈশ্বর গুপ্তের কবি প্রতিভা আলোচনা করো। অথবা, ‘যুগসন্ধির কবি’ হিসেবে কে পরিচিত? তাঁর কবি প্রতিভা আলোচনা করো।

অথবা,যুগসন্ধির কবি হিসেবে ঈশ্বর গুপ্তের অবদান ‘যুগসন্ধির কবি’ হিসেবে চিহ্নিত কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। কবিওয়ালাদের উত্তরাধিকারী ঈশ্বর গুপ্ত সাংবাদিকসুলভ মন নিয়ে বাংলা কাব্যজগতে প্রবেশ করলেও আধুনিকতার সূত্রপাত করে গিয়েছিলেন। ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকা সম্পাদনা ছাড়াও তিনি বেশ কিছু গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তবে সমস্ত পরিচয়কে অতিক্রম করে বড়ো হয়ে উঠেছে কবি ঈশ্বর গুপ্ত পরিচয়। বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছেন-“ঈশ্বরচন্দ্রের এই মহৎ … Read more

বিহারীলাল চক্রবর্তীর ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘সারদামঙ্গল’ কাব্য। বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে ‘ভোরের পাখি’ বিহারীলাল চক্রবর্তী। বিহারীলালের হাত ধরেই বাংলা আধুনিক গীতিকবিতার সূচনা। আর ‘সারদামঙ্গল’ বাংলা গীতিকাব্যের ইতিহাসে প্রথম কাব্য। কাব্যটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে। এই কাব্য রচনা সম্পর্কে বন্ধু অনাথবন্ধু রায়কে এক চিঠিতে লিখেছেন-“মৈত্রীবিরহ, প্রীতিবিরহ, সরস্বতীবিরহ যুগপৎ ত্রিবিধ বিরহে উন্মত্তবৎ হইয়া আমি সারদামঙ্গল সংগীত রচনা করি।” ‘সারদামঙ্গল’ … Read more

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ সম্পর্কে আলোচনা করো।

বাংলা সাহিত্যে প্রথম ও শ্রেষ্ঠতম মহাকাব্য মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’। কাব্যটি ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এরপর হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে দুই খণ্ড একত্রে ‘প্রকাশিত হয়। মধুসূদন এ কাব্যের কাহিনি নিয়েছেন রামায়ণ থেকে। মধুসূদনের প্রিয় চরিত্র ছিল রাবণ। সেই দাস্তিক রাবণ চরিত্রের হাহাকারই মধুকবি এখানে তুলে ধরেছেন। কাব্যের ঘটনা তিন দিন দুই রাত্রি। কাব্যের … Read more

জীবনানন্দ দাশের কাব্যে ইতিহাস চেতনার পরিচয় দাও।

জীবনানন্দ যেমন প্রকৃতির কবি, তেমনি তিনি ইতিহাস-সচেতন কবি। ইতিহাস-চেতনা ও সময়-চেতনা তাঁর কাব্যে পাশাপাশি সহাবস্থান করে আছে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন মহাবিশ্বলোকের ইশারার থেকে উৎসারিত সময়-চেতনা আমার কাব্যে একটি সলাতিসাধক অপরিহার্য সত্যের মতো; কবিতা লিখবার পথে কিছুদূরে অগ্রসর হয়েই এ আমি বুঝেছি, গ্রহণ করেছি।” মিশর, বিদিশা, উজ্জয়িনী, গ্রিস, অশোকের কাল থেকে তিনি কনফুশিয়াসের জগতে প্রবেশ করেছেন। … Read more

জীবনানন্দ দাশের দুটি কাব্যের নাম উল্লেখ করো। জীবনানন্দ দাশের কাব্যে প্রকৃতিচেতনার পরিচয় দাও।

জীবনানন্দ দাশের দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম ‘বনলতা সেন’ ও ‘মহাপৃথিবী’। জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির কবি। প্রকৃতির নির্জনতার মধ্যেই তিনি বিরাজ করতে ভালোবাসতেন। বাংলাদেশের ফুল, পাখি, নদী তাঁকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছিল। বাংলাদেশের অতি পরিচিত তুচ্ছ তুচ্ছ গাছপালার পরিচয় তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যে বাংলাস্ত্রেশের নিসর্গ চিত্রকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা অনবদ্য। হেমন্ত, ফসলের মাঠ, মাঠ, শালিক, চিল, … Read more

জীবনানন্দ দাশের দুটি কাব্যের নাম উল্লেখ করো। জীবনানন্দ দাশের কাব্যে প্রকৃতি চেতনার পরিচয় দাও।

জীবনানন্দ দাশের দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম ‘বনলতা সেন’ ও ‘মহাপৃথিবী’। জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির কবি। প্রকৃতির নির্জনতার মধ্যেই তিনি বিরাজ করতে ভালোবাসতেন। বাংলাদেশের ফুল, পাখি, নদী তাঁকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছিল। বাংলাদেশের অতি পরিচিত তুচ্ছ তুচ্ছ গাছপালার পরিচয় তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যে বাংলাস্ত্রেশের নিসর্গ চিত্রকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা অনবদ্য। হেমন্ত, ফসলের মাঠ, মাঠ, শালিক, চিল, … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress