‘ভোগবাদী কবি’ হিসেবে কে পরিচিত? তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম উল্লেখ করো। তাঁকে কেন ভোগবাদী কবি বলা হয়?

বাংলা সাহিত্যে মোহিতলাল মজুমদার ‘ভোগবাদী কবি’ হিসেবে পরিচিত। মোহিতলাল মজুমদারের দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম হল-‘স্বপনপসারী’ (১৯২২) ও ‘বিস্মরণী’ (১৯২৭)। • মোহিতলালের কাব্যের মূল বিষয় হল দেহবাদ ও ভোগবাদ। জীবনের ক্ষেত্রে, প্রেমের ক্ষেত্রে তিনি দেহকে অস্বীকার করেননি। কামনা-বাসনাসর্বস্ব যে মানুষ, সেই মানুষের কথা তিনি বারবার বলতে চেয়েছেন। কামনাকে বিসর্জন দিয়ে বা ভুলে থাকার অভিনয় করে কাবাসজ্জা তিনি … Read more

দূঃখবাদী কবি’ হিসেবে কে পরিচিত? তাঁর কাব্যে দুঃখবাদের পরিচয় দাও।

দুঃখবাদী কবি হিসেবে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত পরিচিত। তাঁর কাব্যে প্রবলভাবে দুঃখবাদের সুর ধ্বনিত হয়েছে। সমাজ, সময়কে তিনি দেখেছেন দুঃখের পিন্ড হিসেবে। তাঁর ‘মরীচিকা’, ‘মরুমায়া’, ‘মরুশিখা’ কাব্যে প্রবল দুঃখের সুর ফুটে উঠেছে। সুশান্ত বসু ‘যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের কাব্যসংগ্রহ’-এর ভূমিকায় লিখেছেন-“যতীন্দ্রনাথ শোনালেন তাঁর রোমান্টিকতাবিরোধী দুঃখবাদী জীবনদর্শনের এক নতুন সুর। যে দুঃখবাদ কিন্তু কোনো নেতিবাদী নৈরাশ্যপীড়িত জীবনানুভব নয়, মানুষের প্রতি … Read more

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে কে পরিচিত? তাঁর কাব্যে বিদ্রোহী সত্তার পরিচয় দাও।

বিদ্রোহী কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলাম পরিচিত। তাঁর কাব্যে সর্বদা বিদ্রোহ ও প্রতিবাদের সুর ধ্বনিত হয়েছে। সামাজিক শোষণ, অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁর কলম গর্জে উঠেছে। সমাজের নানা ধরনের ভণ্ডামির মুখোশ তিনি খুলে দিয়েছেন। ব্রাহ্মণ্যশাসন, মৌলবাদী অত্যাচার, শাসকের রক্তচক্ষু, ইংরেজ সরকারের নানা জুলুমবাজি, সাধারণ মানুষকে শোষণ, কৃষক-শ্রমিককে সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত করা-সমস্ত শোষণ, ভণ্ডামির বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ, … Read more

রবীন্দ্রনাথ কোন্ গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান? সেখানে কতগুলি কবিতা ছিল? কবিতাগুলি কোন্ কোন্ কাব্য থেকে গৃহীত হয়েছিল?

রবীন্দ্রনাথ ‘Song Offerings’ গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান। গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের কতকগুলি গান ও কবিতার ইংরেজি অনুবাদ। ‘Song Offerings’-এ ১০৩টি কবিতা ছিল। ১০৩টি কবিতার মধ্যে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্য থেকে ৫৭টি, ‘গীতিমাল্য’ কাব্য থেকে ১৫টি, ‘নৈবেদ্য’ কাব্য থেকে ১৬টি, ‘খেয়া’ কাব্য থেকে ১১টি, ‘শিশু’ কাব্য থেকে ৩টি এবং ‘কল্পনা’, ‘চৈতালি’, ‘স্মরণ’, ‘উৎসর্গ’, ‘অচলায়তন’ থেকে একটি করে কবিতা স্থান … Read more

রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক পর্বের কাব্যগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক পর্বের কাব্যগুলির মধ্যে রয়েছে ‘খেয়া’, ‘গীতাঞ্জলি’, ‘গীতিমাল্য’ ও ‘গীতালি’। এই পর্বে এসে রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন ভারতীয়ত্ববোধ থেকে আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশ করেন। প্রমথনাথ বিশীর মতে-“খেয়া মৃত্যুর কাব্য নহে, জীবনের কাব্য-নবতর জীবনের এবং নবতর কর্মপ্রবাহের।” এই কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলি হল-‘শেষ খেয়া’, ‘আগমন’, ‘পথিক’, ‘বিদায়’, ‘পথের শেষ’ ইত্যাদি। ‘শেষ খেয়া’ কবিতায় শুনতে পাই-“দিনের শেষে ঘুমের দেশে ঘোমটা … Read more

রবীন্দ্রনাথের প্রথম পর্যায়ের কাব্যগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে পরিচয়দাও। – রবীন্দ্রনাথের প্রথম পর্যায়ের কাব্যগুলির মধ্যে রয়েছে ‘কবিকাহিনী’, ‘বনফুল’,

রবীন্দ্রনাথের পদ্মাপারের কাব্যগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সোনারতরী’, ‘চিত্রা’ ও ‘চৈতালি’। ‘সোনারতরী’ কাব্যটি প্রকাশিত হয় ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে। কাব্যটি উৎসর্গ করেন দেবেন্দ্রনাথ সেনকে। এ কাব্যের ভূমিকায় কবি জানিয়েছেন-“বাংলাদেশকে তো বলতে পারি না বেগানা দেশ; তার ভাষা চিনি, তার সুর চিনি। ক্ষণে ক্ষত্রে যতটুকু গোচরে এসেছিল তার চেয়ে অনেকখানি প্রবেশ করেছিল মনের অন্দরমহলে আপন বিচিত্র রূপ নিয়ে।” এ কাব্যের … Read more

মধুসূদনের সনেটগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উনিশ শতকে মহাকাব্য, পত্রকাব্যের মতো মধুসূদন বাংলা সনেটেরও জন্মদাতা। বাংলা সনেটকে এক উচ্চপর্যায়ে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন। জন্মভূমি থেকে বহুদূরে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরে বসে তিনি এই সনেটগুলি রচনা করেছেন। মধুসূদন দত্ত মোট ১১০টি সনেট রচনা করেন। রাজনারায়ণ বসুকে তিনি নিজেই এক চিঠিতে লিখেছেন-“I want to introduce the sonnet into our language.” পেত্রার্ক, দান্তে, শেকসপিয়র-এর অনুকরণে তিনি … Read more

মধুসূদন দত্তের ‘ব্রজঙ্গনা কাব্য’ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্যতম কাব্য ‘ব্রজঙ্গনা কাব্য’। কাব্যটি ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। রাধার বিরহবিধুর চিত্তের এক আবেগঘন অবস্থা তিনি সৃষ্টি করেছেন এই কাব্যে। যদিও প্রথমে তিনি কাব্যটির নাম রেখেছিলেন ‘রাধাবিরহ’। এই রাধা বৈষুব পদাবলিতে চিত্রিত রাধা বা রাধার অনুকরণ নয়। এ-রাধা মধুসূদনের স্বনির্মিত রাধা। মধুসুদন নিজেই এই রাধা সম্পর্কে জানিয়েছেন-‘Poor lady of Braja’ তেমনি কাব্যটি … Read more

মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ সম্পর্কে আলোচনা করো।

মধুসূদন দত্তের অন্যতম কাব্য ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ (১৮৬২)। বাংলা পত্রকাব্যের ইতিহাসে প্রথম পথের দিশারি ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’। উনিশ শতকের পটভূমিকায় পুরাণের নারীদের কীভাবে আধুনিক যুগের পটভূমিকায় উপস্থাপন করা যায় তা মধুসুদন দেখিয়েছেন এই কাব্যে। উনিশ শতকের নারীচেতনাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন বিদ্যাসাগরকে এই কাব্য উৎসর্গ করে। এগারোটি পত্রে পুরাণের নারীরা সকলেই প্রতিবাদের সুর শুনিয়ে গেছেন। কেউ প্রেমে, … Read more

বাংলা গদ্যসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান আলোচনা করো।

উনিশ শতকের বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম জীবনে উপন্যাস দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু করলেও পরে প্রবন্ধে প্রবেশ করেন। দেশ জাতির জন্য তিনি যেমন প্রবন্ধ লিখেছেন, তেমনি সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ লিখে বাংলা সাহিত্যের অশেষ উন্নতি করেছেন। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের হাত ধরে বাংলা গদ্যের প্রতিষ্ঠা, বিদ্যাসাগরের হাতে তা পরিণতি লাভ করেছে আর বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress