ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের তিনজন পণ্ডিতের একটি করে গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো। তিনটি গ্রন্থ সম্পর্কেই সংক্ষেপে আলোচনা করো।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের তিনজন পণ্ডিত হলেন-উইলিয়াম কেরী, রামরাম বসু ও মৃত্যঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার। তাঁদের লেখা তিনটি গ্রন্থ হল- উইলিয়াম কেরী-‘ইতিহাসমালা’, রামরাম বসু-‘লিপিমালা’ ও মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার-‘রাজাবলি’। কেরীর ‘ইতিহাসমালা’ ঠিক ইতিহাস বলতে আমরা যা বুঝি তা নয়, অনেকটা গল্পের ছলে লেখা। তবে প্রশ্নের আখ্যাপত্রে লেখা ছিল-“A collection of stories in the Bengali Language collected from various sources.”। বঙ্গদেশে … Read more

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের চারজন গৌণ পণ্ডিতের নাম উল্লেখ করো। তাঁদের একটি করে গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো। যে-কোনো একজনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের চারজন গৌণ পণ্ডিত হলেন- রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়, তারিণীচরণ মিত্র, গোলকনাথ শর্মা ও চণ্ডীচরণ মুনশি। তাঁদের একটি করে গ্রন্থ হল- রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়-‘মহারাজ কৃয়চন্দ্র চরিত্রং’ তারিণীচরণ মিত্র-‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ গোলকনাথ শর্মা-‘হিতোপদেশ’ ও চন্ডীচরণ মুনশি-‘তোতা ইতিহাস’। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের গৌণ লেখকদের মধ্যে অন্যতম রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়। তিনি উইলিয়াম কেরীর সহকারী পন্ডিত হিসেবে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে যোগ … Read more

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বিদেশি পন্ডিত হলেন উইলিয়াম কেরী। উইলিয়াম কেরীর দুটি গ্রন্থ হল-‘কথোপকথন’ ও ‘ইতিহাসমালা’।

উইলিয়াম কেরীর লেখা দুটি প্রশ্নের পরিচয় পাওয়া যায়। যথা-‘কথোপকথন‘ (১৮০১) ও ‘ইতিহাসমালা‘ (১৮১২)। ‘কথোপকথন‘ সংলাপের ঢঙে লেখা। বাঙালি জীবনের ঘরোয়া নানা তথ্য নিয়ে তিনি গ্রন্থটিকে সাজিয়েছেন। যেমন–হাটের বিষয়, স্ত্রীলোকের হাটকরণ, মাইয়া কোন্দল, চাকর ভাড়াকরণ ইত্যাদির মতো হালকা বিষয়গুলি নিয়ে তিনি সিভিলিয়ানদের জনজীবন সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছেন। কেরীর ‘ইতিহাসমালা‘ ঠিক ইতিহাস বলতে আমরা যা বুঝি … Read more

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অন্যতম পণ্ডিত উইলিয়াম কেরীর কৃতিত্ব আলোচনা করো। অথতা, উইলিয়াম কেরী কে ছিলেন? তাঁর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অন্যতম পণ্ডিত উইলিয়াম কেরী। বাংলা গদ্যের বিকাশে যেসব বিদেশিদের নাম স্মরণীয় তাঁদের মধ্যে উইলিয়াম কেরী অন্যতম সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনিই প্রথম সিভিলিয়ানদের এদেশীয় ভাষা সংস্কৃতি শেখার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি নিজে যেমন গ্রন্থ রচনা করেছেন, তেমনি বাঙালি পন্ডিতদের দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন রচনা করিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। উইলিয়াম কেরীর নামে দুটি … Read more

‘ভোরের পাখী’ কে কাকে বলেছিলেন? বাংলা গীতিকাব্যের ধারায় উক্ত কবির গুরুত্ব বিচার করুন | বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান | বিহারীলাল চক্রবর্তীর কাব্যচর্চার পরিচয় দাও | গীতিকবি হিসেবে বিহারীলাল চক্রবর্তী

‘ভোরের পাখী’ কে কাকে বলেছিলেন? বাংলা গীতিকাব্যের ধারায় উক্ত কবির গুরুত্ব বিচার করুন | বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান | বিহারীলাল চক্রবর্তীর কাব্যচর্চার পরিচয় দাও | গীতিকবি হিসেবে বিহারীলাল চক্রবর্তী

ছোটগল্পকার রবীন্দ্রনাথের সার্থকতা নির্ণয় করুন | বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্ব সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো এবং তার ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ করো।

রবীন্দ্রনাথের হাতেই বাংলা ছোটগল্পের সার্থক রূপটি পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ‘সাধনা’ পত্রিকায় তিনি ছোটগল্প লিখতে শুরু করেন। তার আগেও অবশ্য তিনি গল্প লিখেছেন। তবে বাংলা ছোটগল্প যে পাশ্চাত্য গল্পের কাছে ঋণী, এমন কি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও এডগার অ্যালান পো-র বিদেশি সাহিত্যিকের সৃষ্টির কথা সাহায্য গ্রহণ করেছিলেন, এ তথ্য প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বাংলা ছোটগল্পের সেই প্রাথমিক … Read more

বাংলা কাব্যে মধুসূদন দত্তের অবদানের পরিচয় দিন।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি, নাট্যকার এবং প্রহসন রচয়িতা। মধুসূদন দত্তকে বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও তিনি পরিচিত। তাই তাঁকে বঙ্গ-ভারতীর দামাল পুত্র মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলা হয়। যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে, ২৫ শে জানুয়ারি ১৮২৪ সালে মধুসূদনের জন্ম হয় … Read more

বাংলা কাব্যসাহিত্যে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২ খ্ৰীঃ – ১৮৫৯ খ্ৰীঃ) অবদান

বাংলা কাব্যে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত: ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ তথা ভারতচন্দ্রের মৃত্যুর পর তেমন কোন পালাবদলের ইঙ্গিত বাংলা কাব্যসাহিত্যে ফুটে ওঠেনি। ভারতচন্দ্রীয় আদিরসের ফেনিল উচ্ছ্বাস, আর কবিওয়ালাদের উচ্চকিত উল্লাস বাংলা সাহিত্যে শুধুমাত্র সামান্য পরিবর্তনের রেশ এনেছিল। তারপর রঙ্গলাল এসে ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সর্বপ্রথম নতুন কাব্যবস্তুর নান্দীপাঠ করলেন। মধুসূদন নতুন নতুন কুশীলব নিয়ে শুরু করলেন তাঁর রচনা। সেই … Read more

ছোটোগল্পকার হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কৃতিত্ব আলোচনা করো

ছোটোগল্পকার হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর :- যাঁরা শুধু সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত থাকেন না, সৃষ্টিকে আপন প্রতিভা বলে গৌরবের চরমসীমায় স্থাপন করেন, তেমনই এক অসামান্য স্রষ্ঠা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা ছোটগল্পের সার্থক স্রষ্টা তিনি। তিনিই এর পূর্ণতাদানকারী। গল্পগ্রন্থ: রবীন্দ্রনাথ তাঁর “সোনার তরী” কাব্যের “বর্ষাযাপন” কবিতায় ছোটগল্পের রূপ নির্মিতি ব্যাখ্যা করেছেন এবং সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী অসংখ্য সার্থক ছোটোগল্প রচনা … Read more

সোনার তরী কাব্যের বিষয়বস্তু আলোচনা করো।

সোনার তরী : ১২৯৮-এর আষাঢ়ে সাজাদপুরে বসে একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ বাংলার নদীমাতৃক পল্লিভূমির জীবনের মধ্যে এক চিরন্তন ও মহৎ অনুভূতি অর্জন করেছিলেন। প্রকৃতির সেই প্রসারিত উদাসীনতার মধ্যে বয়ে চলা মানুষের জীবনের নিশিদিনের কর্মস্রোত কবির কাছে অত্যন্ত নিষ্ফল ভাবে প্রতিভাত হয়েছে। সেদিন সেই নিরুদ্দেশ প্রকৃতির শাস্তিময় ঔদার্যে নির্বিকার সৌন্দর্যের দীপ্ত প্রদীপ উন্মনা হয়ে গেছেন তাঁর চারপাশের … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress