নবীন মাধব চরিত্রের মূল্যায়ন করো।

নায়ক-চরিত্র বা নায়িকা চরিত্র উপন্যাস ও নাটকের কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত থেকে কাহিনীর গতিপ্রবাহকে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত করে থাকেন। তাঁকে আশ্রয় করে ঘটনাসমূহ আবর্তিত হয় এবং অন্যান্য চরিত্রেরা তাঁদের মনোভাব ও আচরণের দ্বারা মূল চরিত্রকে উজ্জ্বল করে তোলে। মূল কাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক অপ্রধান কাহিনী এবং অপ্রধান চরিত্র থাকতে পারে। তারা স্বতন্ত্র রূপে বিকশিত হয়ে পরিণামে মূল … Read more

‘নীলদর্পণ’ নাটকের ক্ষেত্রমনি চরিত্রের নির্যাতনের চিত্রটি কতটা শিল্পসম্মত হয়েছে তার পরিচয় দাও।

“নীলদর্পণ” নাটকের গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্র হল ক্ষেত্রমুনি। এই চরিত্রের মাধ্যমে নাট্যকার তার বস্তুনিষ্ঠ নাটকের কিছু উদ্দেশ্য পূরণ করেছেন। “নীলদর্পণ” নাটকটি নীলকর সাহেবরা কীভাবে কৃষকদের নিপীড়ন করেছিলেন তা তুলে ধরার জন্য। ক্ষেত্রমণির চরিত্র পরিকল্পনা হল কৃষকের বাড়ির যুবতী স্ত্রী ঝিদের প্রতি স্বামীর লোভ এবং আচরণের চিত্র। সাধুচরণের একমাত্র কন্যা ক্ষেত্রমণি একটি সন্তান প্রসব করে বাপের বাড়িতে … Read more

বাংলা রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে শৌখিন থিয়েটারের গুরুত্ব আলোচনা করো।

অথবা, “শখের নাট্যশালার ইতিহাসে পাথুরিয়াঘাটা বঙ্গনাট্যালয়ের স্থান অত্যন্ত গৌরবের।” —এই উক্তির আলোকে পাথুরিয়াঘাটা বঙ্গনাট্যালয়ের পরিচয় দাও। 1857 সালে আশুতোষ দেবের হোম থিয়েটারের মাধ্যমে অপেশাদার থিয়েটারের নবজাগরণ শুরু হয়। সেই থিয়েটার থেকেই বাংলা থিয়েটার এবং অভিনয় অনুষ্ঠানের যে উৎসাহ ও গতি সত্যিই এসেছিল তা পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত থিয়েটারগুলির মাধ্যমে ব্যাপক উন্নতি করেছিল। এর মধ্যে বিদ্যাসাহিনী থিয়েটার (1857), … Read more

গণনাট্য সংজ্ঞা দাও। এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

গণনাট্য সংজ্ঞা দাও: ১৯২৯ শে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার সুযোগে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ফ্যাসিস্ত শক্তির উত্থান শুরু হয় । মুসোলিনি , হিটলার , তোজো ..এরা । এরা গণতন্ত্রের গলা টিপে স্বৈরতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা চাইলো । আর গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন মানুষ এর বিরুদ্ধে এক হতে চাইলো । ১৯৩৫ সালে রোমাঁ রোলাঁর নেতৃত্বে ” World Congress Against Fascism and War … Read more

‘চিরদিন রথ টানে ওই ওরা’ ‘ওরা’ কারা? বক্তার চরিত্রের কোনদিক এখানে প্রকাশিত হয়েছে?

তিনি শূদ্র ও নিম্নবর্ণের মানুষের কথা বলেছেন, এই নাটকে নিম্নবর্ণ শোষিত মানুষকে পৃথিবীর পথ দেখায়। এই নাটকটি একটি প্রতীকী নাটক। এই নাটকটি আমাদের দেখায় যে গুটিকয়েক ধনী পশ্চিমা দেশে যতই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হোক না কেন, সমাজের প্রান্তিক মানুষকে সম্মান না দিলে পৃথিবীর এক ইঞ্চিও পরিবর্তন হবে না।

‘রথের রশি’ নাটকটি কোথায় কত সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং নাটকটি কাকে উৎসর্গ করা হয়েছিল?

গ্রন্থপঞ্জি ‘কালেরযাত্রা’ বাংলা ১৩৩৯ [১৯৩২] ভাদ্র মাসে প্রকাশিত হয়। এটি রবীন্দ্র-রচনাবলী 22 খণ্ডের অংশ। বর্তমান সংস্করণের পরিশিষ্টে সংকলিত ‘রথযাত্রা’ নাটকটি 1330 সালের অগ্রহায়ণ-সাংখ্য প্রবাসীতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল (পৃষ্ঠা 216-225)। ‘রথ রাশি’ হল এর পরিবর্তিত ও পুনর্লিখিত রূপ। রবীন্দ্র-রচনাবলী দ্বাদশ খণ্ডে রথযাত্রার পরিশিষ্ট হিসেবে ছাপা হয়েছে। কবীর দীক্ষার ভূমিকা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘শিবের ভিক্ষা’ নামে ১৩৩৫ … Read more

‘নীলদর্পণ’ নাটকের কয়েকটি ভদ্রেতর চরিত্রের নাম লেখো।

দীনবন্ধুমিত্রের নীলদর্পণ যে রসের নাটক এখানকার চরিত্রগুলি বিচার কালে সেই রসের দিকটিকেই আগে বিচার করে দেখতে হবে। যে চরিত্র যে বিশেষ উদ্দেশ্যে নিয়োজিত, তাদের মধ্যে সেই সেই উপাদান নাট্যকার কতখানি বাস্তব সম্মতভাবে খন্ডিত করতে পেরেছেন, তার বিচারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই বিচারে নাট্যকার জনসাধারণ ও দুষ্ট চরিত্রাঙ্কনে অসাধারণ বাস্তব জ্ঞানের পরিচয় দিলেও তথাকথিত সৎ ও সাধু … Read more

নীলদর্পণ নাটকের অপ্রধান চরিত্রের বর্ণনা দাও

দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকটি বাংলা সাহিত্য ও সংগ্রামের ইতিহাসে এক অমর সৃষ্টি। যে কোনো ধরনের নাটকে প্রধান চরিত্রগুলো গৌণ চরিত্রগুলোর যথাযথ উপস্থাপনের দ্বারা পরিপূরক হয়। নাটকের প্লটে, ঘটনার উপস্থাপনা, চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের বিকাশ, ক্লাইম্যাক্স ইত্যাদিতে ছোটখাটো চরিত্রগুলি অপরিহার্য হয়ে ওঠে। দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকে ছোট ছোট চরিত্রগুলো নাটকের ধারাবাহিকতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রসঙ্গত, দীনবন্ধু … Read more

‘নীলদর্পণ’ নাটকটি কবে, কোথা থেকে প্রকাশিত হয়? নাট্যকার কী নামে নাটকটি প্রকাশ করেছিলেন?

দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীল-দর্পণ’ নাটকটি ১৮৬০ সালে ঢাকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের মেহেরপুর এলাকার নীলচাষীদের ওপর অত্যাচার ও নীলচাষীদের দুর্ভোগ নিয়ে নাটকটি রচিত হয়েছে। নাটকের প্রধান চরিত্র: নবীন মাধব, রাইচরণ, তোরাপ, গোলক বসু। তাঁর আরও কয়েকটি নাটক: নবীন তপস্বিনী, লীলাবতী, জামাই বারিক, কমলে কামিনী।

‘বেঙ্গল থিয়েটার’-এর প্রতিষ্ঠাকাল ও প্রতিষ্ঠাতার নাম উল্লেখ করে কোথায় সেগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল লেখো।

থিয়েটার স্টেজ প্রথম বাংলা থিয়েটার মঞ্চ নির্মাণ করেছিলেন রুশ চিন্তাবিদ লেবেদেভ। 1795 সালে তিনি কলকাতার ডোমতলায় (বর্তমানে এজরা স্ট্রিট) ‘বেঙ্গলি থিয়েটার’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং 27 নভেম্বর কল্পনিক সম্বাদল নামে একটি বাংলা অনুবাদ নাটক মঞ্চস্থ করেন।

en_USEnglish
Powered by TranslatePress