‘লঘু-গুরু’ উপন্যাসটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

‘লঘু-গুরু’ উপন্যাসটির নামকরণের সার্থকতা “লঘু-গুরু” উপন্যাসটির নামকরণের সার্থকতা বিশ্লেষণ করতে হলে, প্রথমে নামের অর্থ এবং তার সঙ্গে উপন্যাসের বিষয়বস্তু ও চরিত্রগুলির সম্পর্ক বোঝা প্রয়োজন। নামের অর্থ: লঘু: যা সাধারণ, হালকা, অথবা গুরুত্বহীন। গুরু: যা গুরুতর, গুরুত্বপূর্ণ, অথবা প্রভাবশালী। নামকরণের সার্থকতা বিশ্লেষণ: **১. চরিত্রগুলির বৈপরীত্য: মধু ও নন্দলাল: উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলি, মধু ও নন্দলাল, প্রতীকীভাবে “লঘু” … Read more

‘দেনা-পাওনা’ উপন্যাসে বর্ণিত তৎকালীন সমাজব্যবস্থার সানুপুঙ্খ বিবরণ দাও।

‘দেনা-পাওনা’ উপন্যাসে বর্ণিত তৎকালীন সমাজব্যবস্থা “দেনা-পাওনা” উপন্যাস (১৯৩১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা তৎকালীন সমাজব্যবস্থার একটি সানুপুঙ্খ চিত্র তুলে ধরে। এই উপন্যাসে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষণ এবং তার সমস্যা ও সংকট তুলে ধরা হয়েছে। **১. সামাজিক শ্রেণিবিভাগ: উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি: উপন্যাসের পটভূমিতে সমাজের উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ব্যবধান ও দ্বন্দ্ব স্পষ্টভাবে ফুটে … Read more

‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসে প্রকৃত অর্থে নায়িকা বলে তুমি কাকে মনে করো তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি প্রদান করো।

‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসে প্রকৃত অর্থে নায়িকা বলে তুমি কাকে মনে করো “কৃষ্ণকান্তের উইল” উপন্যাসে প্রকৃত অর্থে নায়িকা হিসেবে মধুকে বিবেচনা করা হয়। যদিও উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র হিসেবে কৃষ্ণকান্ত এবং অন্যান্য পুরুষ চরিত্রদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তবে মধু চরিত্রটি নিজস্বভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ নায়িকা হিসেবে বিবেচিত। মধুর নায়িকা হিসেবে পরিচয়: **১. ব্যক্তিত্ব এবং চরিত্রের গভীরতা: মধুর চরিত্রে … Read more

বাংলা উপন্যাসে কল্লোল সাহিত্য আন্দোলনের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো।

বাংলা উপন্যাসে কল্লোল সাহিত্য আন্দোলনের প্রভাব কল্লোল সাহিত্য আন্দোলনের প্রভাব বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা ঘটায়, যা বিশ শতকের শুরুতে সাহিত্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। কল্লোল আন্দোলন, যা মূলত ১৯২০-এর দশকের বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য আন্দোলন হিসেবে পরিচিত, তার প্রভাব বাংলা উপন্যাসে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। এই আন্দোলনের প্রভাব বাংলা উপন্যাসে বিভিন্ন দিক থেকে প্রকাশ … Read more

‘লঘু-গুরু’ উপন্যাসটির উত্তম চরিত্রটির পরিচয় দাও।

‘লঘু-গুরু’ উপন্যাসটির উত্তম চরিত্রটির পরিচয় “লঘু-গুরু” (১৯৭৮) উপন্যাসটির উত্তম চরিত্র হলো অভিরাম সেন। অভিরাম সেনের পরিচয়: চরিত্রের পটভূমি: অভিরাম সেন একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে উপন্যাসে উত্থিত হয়েছে। তিনি একটি উল্লেখযোগ্য পেশাদার, এক ধরনের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে সমাজে পরিচিত। তার চরিত্রটি উচ্চশিক্ষিত এবং সমাজের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে। সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবন: অভিরাম সেনের সামাজিক … Read more

‘কাহাকে’ উপন্যাসটির মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলোচনা করো।

‘কাহাকে’ উপন্যাসটির মূল বক্তব্য সেলিনা হোসেনের “কাহাকে” (১৯৭৩) উপন্যাসটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাজ ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে। এই উপন্যাসটির মূল বক্তব্য সংক্ষেপে নিম্নরূপ: **১. পরিবার ও সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা: “কাহাকে” উপন্যাসটি পরিবার এবং সামাজিক সম্পর্কের জটিলতাকে কেন্দ্র করে তৈরি। এতে মূল চরিত্রদের পারিবারিক জীবন, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সামাজিক দায়িত্বের মুখোমুখি হতে দেখা যায়। বিশেষভাবে, বিভিন্ন … Read more

উপকাহিনি হিসেবে হৈম-নির্মল কাহিনির গুরুত্ব আলোচনা করো।

উপকাহিনি হিসেবে হৈম-নির্মল কাহিনির গুরুত্ব- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “হৈম-নির্মল” একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকাহিনি, যা তার “হতদরিদ্র” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই কাহিনির মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের নানা দিক তুলে ধরেছেন। উপকাহিনি হিসেবে “হৈম-নির্মল”-এর গুরুত্ব বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়: ১. মানবিক সম্পর্কের অঙ্কন: “হৈম-নির্মল” কাহিনিতে দুই প্রধান চরিত্র, হৈম ও নির্মল, তাদের সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সম্পর্কের … Read more

‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসে বারুণী পুষ্করিণীর গুরুত্ব আলোচনা করো।

‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসে বারুণী পুষ্করিণীর গুরুত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “কৃষ্ণকান্তের উইল” (১৯১২) উপন্যাসে বারুণী পুষ্করিণী একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক এবং তার গুরুত্ব উপন্যাসের নানা দিক থেকে উঠে আসে। এই পুষ্করিণীর মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ নানা সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং মানবিক বার্তা প্রদান করেছেন। এখানে তার গুরুত্ব আলোচনা করা হলো: ১. বারুণী পুষ্করিণীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: বারুণী পুষ্করিণী হলো একটি … Read more

নকশাল আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রচিত কয়েকটি বাংলা উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

নকশাল আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রচিত কয়েকটি বাংলা উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নকশাল আন্দোলন, যা ১৯৬৭ সালে শুরু হয়েছিল, ভারতের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ছিল। এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বাংলা সাহিত্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উপন্যাস রচিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি প্রধান উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হলো: ১. “মাঝরাতের মেষ” (১৯৭৪) – মহাশ্বেতা দেবী পরিচয়: … Read more

বিশ শতকের প্রথমার্ধের কয়েকটি প্রতিনিধিস্থানীয় উপন্যাসে উল্লিখিত কয়েকটি রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিচয় দাও।

বিশ শতকের প্রথমার্ধের কয়েকটি প্রতিনিধিস্থানীয় উপন্যাসে উল্লিখিত কয়েকটি রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিচয় বিশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতীয় উপন্যাসের মধ্যে নানা রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রতিফলন দেখা যায়। এই সময়ের উপন্যাসগুলো সাধারণত ঐতিহাসিক ঘটনাবলী, রাজনৈতিক আন্দোলন, এবং সমাজ পরিবর্তনের নানা দিক তুলে ধরে। এখানে কিছু প্রধান রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিচয় দেওয়া হলো যেগুলি এই সময়ের প্রতিনিধিস্থানীয় উপন্যাসে উল্লেখিত: ১. বাঙালি জাতীয় … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress