বাংলা ছোটগল্প কল্লোল পর্বে এসে যে বাঁক নিয়েছিল, তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

বাংলা ছোটগল্প কল্লোল পর্বে এসে যে বাঁক নিয়েছিল, তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় বাংলা ছোটগল্পে “কল্লোল পর্ব” একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ১৯২০-এর দশকে সাহিত্য জগতে একটি নতুন ধারার সূচনা করে। এই পর্বে বাংলা ছোটগল্পে যে পরিবর্তন এসেছিল, তার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো: নতুন চিন্তাধারা ও প্রতিবাদী মনোভাব: কল্লোল যুগের সাহিত্যিকরা সমাজের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও প্রথাগত … Read more

‘তৃতীয় দ্যুতসভা’ গল্পটি কোন মূল গ্রন্থ থেকে নেওয়া? গ্রন্থটি কবে প্রকাশিত হয়? এই গল্পে কোন্ পৌরাণিক বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘তৃতীয় দ্যুতসভা’ গল্পটি তার গ্রন্থ ‘শ্রীকান্ত’ থেকে নেওয়া হয়েছে। ‘শ্রীকান্ত’ গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে। এই গল্পে মহাভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ পৌরাণিক ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে, যা হলো পাণ্ডবদের তৃতীয় দ্যুতক্রীড়া (জুয়া খেলা) এবং দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ। গল্পে মহাভারতের এই বিখ্যাত ঘটনা এবং তার নৈতিক ও সামাজিক পরিণতির উপর আলোকপাত করা হয়েছে।

“বস্তার মুখটা দড়ি জড়িয়ে এঁটে বেঁধে পুকুরের জলের নীচে, পাঁকে গিয়ে শুয়ে রইল।” কার কথা বলা হয়েছে? তার স্বামীর নাম কী? সে কেন এমন করল?

এই উদ্ধৃতিটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের “পুঁই মাচা” গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে যে বস্তার কথা বলা হয়েছে, সেটি মূলত এক নারীর মৃতদেহ, যার নাম গিরিবালা। তার স্বামীর নাম ছিল রামলোচন। গিরিবালা এমন করেছিল (আত্মহত্যা করেছিল) কারণ তার জীবন ছিল অসহনীয় কষ্টে পূর্ণ। তার স্বামী রামলোচন ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও অমানবিক, যে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন … Read more

‘জলসাঘর’ গল্প অনুসারে রায়বাড়িতে কয়টি আস্তাবল ছিল? সেখানে যে ঘোড়াটি ছিল তার নাম কি এবং কত বয়স?

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জলসাঘর’ গল্প অনুসারে রায়বাড়িতে দুটি আস্তাবল ছিল। সেখানে যে ঘোড়াটি ছিল, তার নাম তুফান এবং তার বয়স ছিল পঁচিশ বছর।

‘মহেশ’ গল্পে বর্ণিত জমিদারের নাম কী? তিনি কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন?

‘মহেশ’ গল্পে বর্ণিত জমিদারের নাম কী? তিনি কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন? জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা ‘মহেশ’ গল্পে বর্ণিত জমিদারের নাম হরকালী পাঠক। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং নির্দয় প্রকৃতির মানুষ। জমিদার হিসেবে তিনি দয়ামায়াহীন, নির্মম এবং কঠোর ছিলেন। তাঁর আচরণে কখনো মানবিকতা দেখা যায় না। গল্পে দেখা যায়, তিনি তার প্রজা গফুরের মেয়ের মৃত্যুর পরেও মহেশের … Read more

‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পের স্ত্রীর নাম কী? গল্পে তার বিবাহিত জীবনের কত বছরের উল্লেখ আছে? সে বাড়ির কত নম্বর বউ ছিল?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পে স্ত্রীর নাম মৃণাল। গল্পে উল্লেখ আছে যে, তার বিবাহিত জীবনের ১৫ বছর কেটে গেছে। এছাড়া, মৃণাল ছিল বাড়ির নবম বউ।

বাংলা ছোটগল্পের উদ্ভব কার হাত ধরে হয়েছিল? তাঁর প্রথম গল্পের নাম কী? উনি মোট কয়টি ছোটগল্প লিখেছেন?

বাংলা ছোটগল্পের সার্থক স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ। তার ‘ঘাটের কথা’ ছোটগল্পটি বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ছোটগল্পের স্বীকৃতি পেয়েছে। বীন্দ্রনাথের “ভিখারিণী” গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প। ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ কবিকাহিনী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৮ মে, ১৮৬১ – ৭ আগস্ট, ১৯৪১) ৯৪টি ছোটোগল্প রচনা করেছিলেন।

‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসের সুজাতা চরিত্রটি চিত্রিত করো।

অর্থবিত্তে স্বচ্ছল হলেও পরনারীতে অভ্যস্থ হওয়ায় দিব্যনাথ-সুজাতার দাম্পত্য-সম্পর্ক সুখের ছিল না। দিব্যনাথ সুজাতাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতো না। বরং যৌন পার্টনার হিসেবেই বিবেচনা করত। অসুখবিসুখ হলে খোঁজখবর নিত না। নবজাতকের কান্না থেকে বাঁচার জন্য তেতলায় ঘুমাত। প্রসূতি স্ত্রী থেকে দূরে অবস্থান করত। শাশুড়িমাও ছিল নারীবিদ্বেষী মহিলা। সুজাতার সন্তান জন্মদান সইতে পারত না। প্রসবকাল দেখলেই বাড়ি ছেড়ে … Read more

আঞ্চলিক উপন্যাসের পটভূমি দিয়ে শুরু হলেও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসটি শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিকতার সীমা অতিক্রম করে গেছে আলোচনা করো।

আঞ্চলিক উপন্যাসের পটভূমি দিয়ে শুরু হলেও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসটি শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিকতার সীমা অতিক্রম করে গেছে আলোচনা করো। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক উপন্যাস হিসেবে খ্যাত, যেখানে পদ্মা নদীর তীরবর্তী একটি ছোট্ট মৎস্যজীবী গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু উপন্যাসটি শুধুমাত্র আঞ্চলিকতার বৃত্তে সীমাবদ্ধ থাকে না; … Read more

সমকালীন রাজনীতির যে ছবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন তার স্বরূপ উদঘাটন করো।

সমকালীন রাজনীতির যে ছবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন তার স্বরূপ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চার অধ্যায় উপন্যাসে সমকালীন রাজনীতির এক জটিল ও অন্তর্দ্বন্দ্বপূর্ণ ছবি তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সমাজ ও রাজনীতির তৎকালীন বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। এই উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিন্নমুখী পথ, … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress