1857 সালের বিদ্রোহের ইতিহাস রচনার একটি কলম-চিত্র দিন।

নীল বিদ্রোহ: নীল বিদ্রোহ (Indigo Rebellion) ছিল ১৮৫৯-১৮৬০ সালের বাংলায় কৃষকদের নেতৃত্বে সংঘটিত এক বিশাল প্রতিবাদ আন্দোলন। এটি ইংরেজ শাসনের অর্থনৈতিক শোষণ এবং স্থানীয়জমিদারওও নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলার কৃষকদের সাহসিক প্রতিরোধের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। নীলচাষের প্রেক্ষাপট ১. নীল চাষের সূচনা ২. চুক্তি ব্যবস্থার শোষণ ৩. নীল চাষের ক্ষতিকর প্রভাব বিদ্রোহের কারণ ১. অত্যাচার এবং শোষণ … Read more

নীল বিদ্রোহের উপর একটি নোট লেখ।

নীল বিদ্রোহ (Blue Rebellion) ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষক বিদ্রোহ যা ১৮৫৯-৬০ সালে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত হয়। এটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ কৃষকদের এক ধরনের প্রতিরোধ ছিল, যারা নানা রকম নিপীড়ন ও শোষণের শিকার হচ্ছিল। নীল বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল, ব্রিটিশ শাসকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নীল চাষ প্রথা, যার ফলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব হচ্ছিল। নীল … Read more

19 শতকের বঙ্গীয় রেনেসাঁর সীমাবদ্ধতা কি ছিল? 

১৯ শতকের বঙ্গীয় রেনেসাঁরসীমাবদ্ধতা একটি বিশ্লেষণ ১৯ শতকের বঙ্গীয় রেনেসাঁ ছিল এক যুগান্তকারী সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ও বৌদ্ধিক আন্দোলন, যা বাংলার সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে প্রভাবিত করেছিল। বঙ্গীরেনেসাঁরসংক্ষিপ্তপ্ত পরিচিতি বঙ্গীয় রেনেসাঁর সূচনা হয় মূলত ১৮১৭ সালে কলকাতা হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এই রেনেসাঁর প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেরামধ প্রবর্তন। বঙ্গীয় রেনেসাঁর সীমাবদ্ধতা ১. সামাজিক সীমাবদ্ধতা ‌**(ক) সমাজের … Read more

ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের ব্যাপারে ব্রিটিশ রাজের আদর্শ কি ছিল? 

ব্রিটিশ রাজের ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের আদর্শ একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ ব্রিটিশ রাজের অধীনে ভারত একটি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত হতো, যেখানে শাসকের লক্ষ্য ছিল মূলত ব্রিটিশ স্বার্থ রক্ষা করা এবং উপনিবেশ থে“সভ্যতার” আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপন করলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল শোষণমূলক এবং একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের একটি কাঠামো। ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের ব্যাপারে ব্রিটিশ রাজের আদর্শ এবং নীতিগুলি … Read more

ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কিভাবে দেওয়ানী লাভ করে? এর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব কী ছিল? 

ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভ: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (East India Company) ১৭৬৫ সালে মুঘল সম্রাট শাহ আলম II-এর কাছ থেকে বাংলার দেওয়ানি (রাজস্ব সংগ্রহের অধিকার) লাভ করে। এটি ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দেওয়ানি লাভের মধ্য দিয়ে কোম্পানি প্রথমবারের মতো একটি অঞ্চলের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ অর্জন করে। বাংলার দেওয়ানি লাভের … Read more

‘শিক্ষার সংকট’ প্রবন্ধ অবলম্বনে অন্নদাশঙ্কর রায়ের শিক্ষা-চিন্তার পরিচয় দাও।

‘শিক্ষার সংকট’ প্রবন্ধ অবলম্বনে অন্নদাশঙ্কর রায়ের শিক্ষা-চিন্তার পরিচয় অন্নদাশঙ্কর রায়ের ‘শিক্ষার সংকট’ প্রবন্ধে ভারতীয় শিক্ষার অন্ধকার দিকগুলো এবং শিক্ষাব্যবস্থার নানা অসঙ্গতি নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করেছেন। এই প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি দেশীয় শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন এবং এর সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। অন্নদাশঙ্কর রায়ের চিন্তা ছিল শিক্ষার প্রতি এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, যা আধুনিক ও ঐতিহ্যগত শিক্ষার মধ্যে একটি সেতুবন্ধন … Read more

‘বিজ্ঞানে সাহিত্য’ প্রবন্ধে বিজ্ঞান ও সাহিত্যের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রাবন্ধিক যেভাবে দেখিয়েছেন নিজের ভাষায় বিবৃত করো।

বিজ্ঞানে সাহিত্য’ প্রবন্ধে বিজ্ঞান ও সাহিত্যের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রাবন্ধিক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় অত্যন্ত সুদীর্ঘ এবং বিশ্লেষণীভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বিজ্ঞান এবং সাহিত্যের সম্পর্ককে কোনো একক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেননি, বরং এই দুই ক্ষেত্রের মধ্যে গভীর এবং পরস্পর পরিপূরক সম্পর্কের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন। বিজ্ঞান এবং সাহিত্য—এই দুটি জগতের একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া এক গভীর … Read more

প্রমথ চৌধুরী ‘রায়তের কথা’ প্রবন্ধে সেকালীন রায়তদের যে দুঃখ-কষ্টের বিবরণ দিয়েছেন তা তোমার ভাষায় ব্যক্ত করো।

প্রমথ চৌধুরী ‘রায়তের কথা’ প্রবন্ধে সেকালীন রায়তদের দুঃখ-কষ্টের বিবরণ দিয়েছেন একটি গভীর, চমকপ্রদ এবং মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে। তিনি সেকালের (বিশেষত ১৮০০-১৯০০ সালের কাছাকাছি) বাংলার কৃষকদের, বিশেষ করে রায়তদের জীবনযাত্রার চিত্র অত্যন্ত বাস্তবিক ও নির্মমভাবে তুলে ধরেছেন। “রায়তের কথা” প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রমথ চৌধুরী মূলত সেই সময়ের কৃষকের দৈনন্দিন সংগ্রাম, নিঃস্বতা, অধিকারহীনতা এবং সামাজিক অবিচার বিষয়ক এক উন্মুক্ত … Read more

‘মেঘদূত’ প্রবন্ধানুসরণে সৌন্দর্য সাধক রবীন্দ্রনাথের পরিচয় দাও।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং শিল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, যাঁর সাহিত্য, সঙ্গীত, দর্শন এবং শিল্পকর্মের মধ্যে এক অবিস্মরণীয় গভীরতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির মধ্যে এক অপূর্ব সৌন্দর্য, শাশ্বত মানবিকতা এবং প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পাওয়া যায়। তাঁর সাহিত্যিক জীবনের একটি বিশেষ দিক হলো, তিনি সৌন্দর্য সাধক হিসেবে গণ্য হয়েছেন, যা তাঁর প্রতিটি রচনায়, বিশেষ … Read more

সার্থক পটুয়া শিল্পের জন্য শিল্পীর যে মানসিকতার প্রয়োজন অবনীন্দ্রনাথকে অনুসরণ করে তা তোমার ভাষায় বিবৃত করো।

সার্থক পটুয়া শিল্পের জন্য শিল্পীর মানসিকতা নিয়ে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন, যা আজও লোকশিল্প এবং পটুয়া শিল্পের বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে মূল্যায়িত হয়। পটুয়া শিল্প, যেটি মূলত বাংলার লোকশিল্প হিসেবে পরিচিত, এর মধ্যে সৃজনশীলতা, নিপুণতা এবং সুশৃঙ্খল চিন্তার সাথে শিল্পীর অনুভূতির আন্তরিক প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শিল্পসম্বন্ধীয় আলোচনা এবং দর্শনরূপে পটুয়া শিল্পের … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress