তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস সম্পর্কে আলােচনা

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচিত্র সৃষ্টিকর্মের ইতিহাসকে মােটামুটিভাবে তিনটি পর্বে ভাগ করা যেতে পারে।  প্রথম পর্বে আছে ‘চৈতালী ঘূর্ণি’ (১৯৩২ খ্রি.), ‘পাষাণপুরী’ (১৯৩৩ খ্রি.), ‘নীলকণ্ঠ’ (১৯৪৩ খ্রি.), ‘রাইকমল’ (১৯৩৫ খ্রি.) প্রভৃতি ;  দ্বিতীয় পর্বে আছে ‘ধাত্রীদেবতা’ (১৯৩৯ খ্রি.), ‘কালিন্দী’ (১৯৪০ খ্রি.), ‘কবি’ (১৯৪২ খ্রি.), ‘গণদেবতা’ (১৯৪২ খ্রি.), ‘পগ্রাম’ (১৯৪৪ খ্রি.), ‘সন্দীপন পাঠশালা’ (১৯৪৬ খ্রি.), ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ … Read more

বাংলা উপন্যাসে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান/কৃতিত্ব সম্পর্কে আলােচনা

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০ খ্রি.) রবীন্দ্র-পরবর্তী যুগের একজন প্রধান ঔপন্যাসিক। বিভূতিভূষণ যেসব উপন্যাস রচনা করেছেন সেগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযােগ্য কয়েকটি হল—‘পথের পাঁচালী’, ‘অপরাজিত’ (১ম ও ২য় খণ্ড), ‘দৃষ্টিপ্রদীপ’, ‘আরণ্যক’, ‘আদর্শ হিন্দু হােটেল’, ‘দেবান’, ‘ইছামতী’, ‘অশনি সংকেত’ ইত্যাদি। বিভূতিভূষণের প্রথম উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’ (১৯২৯ খ্রি.) গ্রামবাংলার প্রকৃতি, ছােটো ছােটো সুখ-দুঃখ ভরা প্রাত্যহিক জীবন আর একটি স্বপ্নময় ও … Read more

ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কয়েকটি উপন্যাসের পরিচয় দিয়ে বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো

বাংলা উপন্যাসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান সমস্যাজীর্ণ গ্রামীণ সমাজ এবং সাধারণ মধ্যবিত্ত ও বিত্তহীন মানুষের স্নেহ, প্রেম, সুখ-দুঃখ, আশা-নিরাশার কথা তার উপন্যাসে প্রকাশ করেছেন দরদি কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে শরৎচন্দ্রের উপন্যাসগুলিকে নিম্নলিখিত কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়- পারিবারিক উপন্যাস: শরৎচন্দ্রের এই পর্যায়ের উপন্যাসগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল ‘বিন্দুর ছেলে’, ‘মেজদিদি’, ‘নিষ্কৃতি’, ‘বৈকুণ্ঠের উইল’ ইত্যাদি। … Read more

বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো

বাংলা গদ্যের বিকাশে “বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষার প্রথম যথার্থ শিল্পী ছিলেন। তৎপূর্বে বাংলা গদ্য সাহিত্যের সূচনা হইয়াছিল কিন্তু তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা গদ্যে কলানৈপুণ্যের অবতারণা করেন”- রবীন্দ্রনাথ   ভূমিকা: পুণ্যশ্লোক মহাপুরুষর বিদ্যাসাগর ঊনবিংশ শতাব্দীর বিরাট বিস্ময়রূপে প্রতিভাত  হয়েছেন। সহজ সাবলীল ও গতিশীল বাংলা গদ্য ভাষা ও সাহিত্য সৃষ্টিতে তাঁর অবদান অসামান্য। তাঁর পূর্বে রামমোহন এবং ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অধ্যাপকগণ বাংলা গদ্য … Read more

সময়কাল অনুযায়ী বাংলা ভাষার যুগ বিভাগ কর। প্রত্যেক যুগের বাংলা ভাষার সাহিত্যিক নিদর্শনগুলির পরিচয় দাও।

সময়কাল অনুযায়ী বাংলা সাহিত্যের এই হাজার বছরের অধিক কালের ইতিহাস কে মনে রাখার সুবিধার্থে বা কালের প্রবাহ কে স্বীকার করে নিয়ে কয়েকটি যুগ বা প্রর্যায়ে ভাগ করে নিতে পারি। যদিও সাহিত্যের ইতিহাস সর্বত্র সাল তারিখের হিসেব স্পষ্ট যুগ বিভাগ করা যায় না। সাল তারিখ দেখে যুগের আরম্ভ হয় না, যুগের পরিসমাপ্তিও ঘটেনা। সাহিত্যকর্মের বৈচিত্র্যে ও … Read more

বর্ণ বিপর্যয়

বর্ণ বিপর্যয়- শব্দের মধ্যবর্তী দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি পরস্পর স্থান বিনিময় বা অদলবদল করে উচ্চারিত হলে তখন তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। অর্থাৎ উচ্চারণের সময় মধ্যবর্তী দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির স্থান পরিবর্তন করাকেই ধ্বনি বিপর্যয় বলে। ধ্বনি বিপর্যয়ের উদাহরণ হলো: চাকরি ˃ চারকি, লাফ ˃ ফাল, বাক্স ˃ বাস্ক, রিক্সা ˃ রিস্কা, পিশাচ ˃ পিচাশ, নকশা ˃ নশকা ইত্যাদি।

টীকা লেখোঃজোড়কলম শব্দ

জোড়কলম শব্দ জোড়কলম শব্দ একাধিক রূপের মিশ্রণের ফলেই তৈরি হয় পাের্টম্যানটু ওয়ার্ড বা জোড়কলম শব্দ। যখন একটি শব্দ বা শব্দাংশের সঙ্গে অন্য শব্দ বা শব্দাংশ। জুড়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করা হয়, তখন তাকে বলে জোড়কলম শব্দ। যেমন-আরবি ‘মিন্নৎ’ শব্দের প্রথমাংশ এবং সংস্কৃত ‘বিজ্ঞপ্তি’ শব্দের শেষাংশ জুড়ে তৈরি হয়েছে জোড়কলম শব্দ ‘মিনতি’। জোড়কলম শব্দ ‘ধোঁয়াশা’ … Read more

ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, চাঁদের পাহাড়,আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালে যে বন্দ্যোপাধ্যায়-ত্রয়ীর আবির্ভাব বাঙলা কথাসাহিত্য জগতে নতুন যুগের সম্ভাবনা সূচিত করেছিল, তাদের মধ্যে বয়ােজ্যেষ্ঠ ছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই (বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর ও … Read more

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ঐতিহাসিক নাটকগুলির নাম উল্লেখ করে এই ধারার নাটকে তাঁর কৃতিত্ব আলোচনা করো।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে জীবদ্দশায় প্রকাশিত আর্যগাথা (১ম ও ২য় ভাগ) ও মন্দ্র বিখ্যাত। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বিখ্যাত নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একঘরে, কল্কি-অবতার, বিরহ, সীতা, তারাবাঈ, দুর্গাদাস, রাণা প্রতাপসিংহ, মেবার-পতন, নূরজাহান, সাজাহান, চন্দ্রগুপ্ত, সিংহল-বিজয় ইত্যাদি। ভূমিকা: বাংলা নাট্য সাহিত্যে মধুসূদন দীনবন্ধু, গিরীশচন্দ্র ঘোষের অবিস্মরণীয় অবদান বাংলা নাট্য ধারাকে বিপুল প্রসারী করে যে আবহমণ্ডল সৃষ্টি করেছিল … Read more

বাংলা কবিতায় কবি ঈশ্বরগুপ্তের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো।

বাংলা কাব্যে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ তথা ভারতচন্দ্রের মৃত্যুর পর তেমন কোন পালাবদলের ইঙ্গিত বাংলা কাব্যসাহিত্যে ফুটে ওঠেনি। ভারতচন্দ্রীয় আদিরসের ফেনিল উচ্ছ্বাস, আর কবিওয়ালাদের উচ্চকিত উল্লাস বাংলা সাহিত্যে শুধুমাত্র সামান্য পরিবর্তনের রেশ এনেছিল। তারপর রঙ্গলাল এসে ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সর্বপ্রথম নতুন কাব্যবস্তুর নান্দীপাঠ করলেন। মধুসূদন নতুন নতুন কুশীলব নিয়ে শুরু করলেন তাঁর রচনা। সেই … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress