যে কোনো দু’জন তাত্ত্বিকের তিনটি করে গ্রন্থের নাম লেখো: এডওয়ার্ড সাঈদ, জাকদেরিদা, মিশেল ফুকো, মিখায়েল বাখতিন।

নিচে উল্লিখিত চারজন তাত্ত্বিকের মধ্যে যেকোনো দু’জনের তিনটি করে গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হলো: এডওয়ার্ড সাঈদ (Edward Said) জাক দেরিদা (Jacques Derrida) মিশেল ফুকো (Michel Foucault) মিখায়েল বাখতিন (Mikhail Bakhtin) এই তাত্ত্বিকদের প্রতিটি বই তাঁদের নিজ নিজ চিন্তাধারা এবং তত্ত্বের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সমালোচক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বিশেষত্ব আলোচনা করো।

সমালোচক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট এবং প্রভাবশালী সমালোচক হিসেবে পরিচিত। তাঁর সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সাহিত্য বিশ্লেষণের গভীরতা তাঁকে বাংলা সাহিত্যের জগতে অনন্য স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে। তাঁর বিশেষত্বের কয়েকটি দিক নিম্নে আলোচিত হলো: ১. শৈল্পিক ও দার্শনিক সমালোচনা শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর শৈল্পিক এবং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি সাহিত্যকে শুধুমাত্র রূপ … Read more

রোমান্টিক কাব্যতত্ত্বে ‘প্রেরণা’-র ভূমিকা আলোচনা করো।

রোমান্টিক কাব্যতত্ত্বে ‘প্রেরণা’ (inspiration) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা। রোমান্টিক যুগের কবিরা বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃত কবিতা বা সাহিত্য রচনা কেবলমাত্র যুক্তি বা বুদ্ধি দ্বারা সম্ভব নয়; বরং এর জন্য প্রয়োজন এক ধরনের অন্তর্দৃষ্টি বা অন্তঃপ্রেরণা, যা সাধারণ মানুষের চিন্তার গণ্ডির বাইরে। প্রেরণার ধারণাটি রোমান্টিক কাব্যতত্ত্বের মূল কেন্দ্রে অবস্থান করে এবং এই ধারণার উপর ভিত্তি করে … Read more

বাংলা কথাসাহিত্য থেকে একটি দৃষ্টান্তযোগে নারীচেতনাবাদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

নারীচেতনাবাদ বা ফেমিনিজম হলো সেই দৃষ্টিভঙ্গি যা নারীর অধিকার, মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং সমানাধিকারের পক্ষে কথা বলে। বাংলা কথাসাহিত্যে নারীচেতনাবাদী চিন্তাধারা প্রায়শই প্রতিফলিত হয়েছে, বিশেষ করে বিংশ শতাব্দীর লেখকদের রচনায়। এ ধরনের সাহিত্য নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, নারীর জীবনের সংগ্রাম এবং তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলোকে তুলে ধরে। দৃষ্টান্ত: আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রতিশ্রুতি আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রতিশ্রুতি … Read more

মোহিতলাল মজুমদার সমালোচনার ‘উচ্চতম পাদশ’ থেকে বিচ্যুত হননি। এই প্রেক্ষিতে তাঁর সমালোচনার রূপরেখাটি কর্ণনা করো।

মোহিতলাল মজুমদার (১৮৮৮-১৯৫২) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান সমালোচক, কবি এবং সাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান শুধু কাব্যিক দিক দিয়ে নয়, সমালোচনার ক্ষেত্রেও অপরিসীম। মোহিতলাল মজুমদার তাঁর সমালোচনামূলক রচনায় ‘উচ্চতম পাদশ’ বজায় রেখে সমালোচনার শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর সমালোচনার বৈশিষ্ট্য হলো শৈল্পিক গভীরতা, দার্শনিকতা এবং বৈষয়িক বিশ্লেষণ। মোহিতলাল মজুমদারের সমালোচনার রূপরেখা ১. শৈল্পিক শুদ্ধতা ও গভীরতা … Read more

বঙ্কিমচন্দ্র মূলতঃ ঔপন্যাসিক হলেও তিনিই আধুনিক বাংলা সমালোচনা সাহিত্যের জনক।” মন্তব্যটি কতদূর গ্রহণযোগ্য তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করো।

  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) বাংলা সাহিত্যের অমর প্রতিভা। তাঁর প্রধান পরিচয় একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে, কিন্তু সাহিত্যিক সমালোচনায় তাঁর অবদানও অনস্বীকার্য। তিনি বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে পরিচিত হলেও তাঁর সাহিত্য সমালোচনা আধুনিক বাংলা সমালোচনা সাহিত্যের ভিত্তি স্থাপন করেছে। ফলে, “বঙ্কিমচন্দ্র মূলতঃ ঔপন্যাসিক হলেও তিনিই আধুনিক বাংলা সমালোচনা সাহিত্যের জনক” মন্তব্যটি যথার্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রবন্ধে আমরা … Read more

ট্র্যাজেডির নায়ক সাধারণ মাপের মানুষ নয়। এর শৈল্পিক কারণগুলি নির্দেশ করে অ্যারিস্টটলের অভিমতের যথার্থতা দৃষ্টান্তসহ ব্যাখ্যা করো।

অ্যারিস্টটলের মতে, ট্র্যাজেডির নায়ক সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদা ও অসাধারণ গুণাবলীসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ Poetics-এ ট্র্যাজেডি ও ট্র্যাজিক নায়কের বৈশিষ্ট্যগুলি বিশদভাবে আলোচনা করেছেন। অ্যারিস্টটল মনে করতেন, ট্র্যাজেডির নায়ককে অবশ্যই এমন একজন ব্যক্তি হতে হবে যিনি সাধারণ মানুষের চেয়ে উচ্চতর এবং মহৎ, কিন্তু সম্পূর্ণ নিখুঁত নন। এই বৈশিষ্ট্যগুলির মাধ্যমে তিনি ট্র্যাজেডির মূল লক্ষ্য—কথিত ক্যাথারসিস … Read more

অ্যারিস্টটল ‘প্লট’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? তিনি ‘প্লট’ ও ‘চরিত্র’-এর মধ্যে কোনাটকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন? পৃষ্টাতপাই আলোচনা করো।

অ্যারিস্টটল তার বিখ্যাত গ্রন্থ Poetics-এ ‘প্লট’ (Plot) বা কাহিনির কাঠামোকে নাট্যকাব্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেছেন। অ্যারিস্টটল মনে করতেন, একটি সার্থক নাট্যকাব্যের মূল আকর্ষণ তার প্লটের গঠনশৈলীতে নিহিত। প্লট হল সেই কাঠামো, যার মাধ্যমে কাহিনির ঘটনাগুলো সুনির্দিষ্ট ধারায় সংঘটিত হয় এবং একটি সমগ্র রূপে পরিণত হয়। অ্যারিস্টটলের প্লটের ধারণা অ্যারিস্টটল প্লটকে ‘মিথোস’ (Mythos) নামে … Read more

 কোনো কোনো ভারতীয় আলঙ্কারিক অলঙ্কারকে কাব্যের আত্মা বলেছেন। তাঁদের মতে সৌন্দর্যই অলঙ্কার। এই চিন্তাধারার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে তোমার সমালোচনা উপস্থাপিত করো।

ভারতীয় আলঙ্কারিকদের মধ্যে এমন কিছু চিন্তাবিদ আছেন, যারা অলঙ্কারকে কাব্যের আত্মা বলে মনে করেছেন। তাঁদের মতে, কাব্যের আসল সৌন্দর্য অলঙ্কারেই নিহিত, আর এই অলঙ্কার কাব্যের প্রাণ। এই চিন্তাধারা মূলত প্রাচীন ভারতের কাব্যতত্ত্বের সেই ধারা থেকে এসেছে যেখানে অলঙ্কারের মাধ্যমে কাব্যের শৈল্পিক ও রসিক মান নির্ধারণ করা হয়। অলঙ্কারের গুরুত্ব এবং কাব্যের আত্মা হিসেবে বিবেচনা আলঙ্কারিকদের … Read more

বিভাব, অনুভাব ও সঞ্চারীভাবের সংযোগে কীভাবে রসনিষ্পত্তি ঘটে-তা আলোচনা করো!

বিভাব, অনুভাব ও সঞ্চারীভাবের সংযোগে কীভাবে রসনিষ্পত্তি- রসতত্ত্বে, বিভাব, অনুভাব, এবং সঞ্চারীভাব এই তিনটি উপাদান একত্রিত হয়ে রসনিষ্পত্তি ঘটে। এই প্রক্রিয়া নাটক, কাব্য, বা যেকোনো শিল্পের মাধ্যমে একজন দর্শক বা পাঠকের মনে রসের অনুভূতি জাগায়। এর মধ্যে: রসনিষ্পত্তির প্রক্রিয়া বিভাব, অনুভাব, এবং সঞ্চারীভাবের সমন্বয়ে রসনিষ্পত্তি ঘটে। কোনো নাটক বা কাব্যে যখন বিভাবের মাধ্যমে অনুভূতি জাগানো … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress