টীকা লেখো গীতাঞ্জলি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এক বিশ্ববিজয়ী কাব‍্যগ্ৰন্থ। রবীন্দ্রনাথের তৃতীয় পর্বের আধ‍্যাত্মিক ভাবমূলক কাব‍্য ‘গীতাঞ্জলি’। এইকাব‍্যে ঈশ্বরকে অনুভব করেছেন কবি কখনও পরিবর্তমান প্রাকৃতিক রূপের মধ্যে; কখনও ঈশ্বরের পায়ে আত্মনিবেদনে—– “আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধূলার তলে সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে।” রবীন্দ্রনাথ। ১৯১৩ সালে ইংরাজীতে অনূদিত গীতাঞ্জলি (song offerings) কাব‍্যের জন‍্য নোবেল … Read more

টীকা লেখো রামায়ণ

মূল ‘রামায়ণ’ সংস্কৃত ভাষার লিখেছিলেন মহাকবি বাল্মীকি। সেই মূল রামায়ণ মহাকাব‍্যের বাংলায় অনুবাদক হিসাবে শ্রেষ্ঠ হলেন কবি কৃত্তিবাস ওঝা। কবি কৃত্তিবাসের রামায়ণের নাম ‘শ্রীরাম পাঁচালি’।এটি সাতটি খণ্ডে বিভক্ত। কৃত্তিবাসের রাম ভক্তবৎসল। সর্বশ্রেণির মানুষের কাছে কৃত্তিবাসের রামায়ণ পেয়েছে কালজয়ী জনপ্রিয়তা। কবি মধুসূদন যথার্থই বলেছেন “কৃত্তিবাস কীর্তিবাস কবি এ বঙ্গের অলঙ্কার।”

সংবাদ প্রভাকর বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র

সংবাদ প্রভাকর বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র.

কমলাকান্ত ভট্টাচার্য

কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (আনুমানিক ১৭৭২-১৮২১ খ্রিষ্টাব্দ) প্রখ্যাত কালীসাধক ও শ্যামাসঙ্গীত রচয়িতা। আনুমানিক ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে বর্ধমান জেলার অন্তর্গত অম্বিকা-কালনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মহেশ্বর ভট্টাচার্য এবং মাতার নাম মহামায়াদেবী। কিশোর বয়সে তাঁর পিতার মৃত্যু হলে মা মহামায়াদেবী দুই শিশু পুত্র কমলাকান্ত ও শ্যামাকান্তকে নিয়ে পিত্রালয়ে আসেন। এখানে কমলাকান্ত স্থানীয় টোলে কিছুদিন পাঠ গ্রহণ করেন। এই সময় … Read more

বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের শঙ্কু মিত্রের অবদান

বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের শঙ্কু মিত্রের অবদান

বাংলা কাব্যে মানকুমারী বসুর অবদান

মানকুমারী বসু (১৮৬৩ খ্রীঃ-১৯৪৩ খ্রীঃ)■ উনিশ শতকের বাংলাদেশে স্ত্রী-শিক্ষা বিস্তার, স্ত্রীলোক-পাঠ্য পত্রিকা প্রকাশ (যেমন ‘মাসিক পত্রিকা’, ‘বামাতোষিণী’ ইত্যাদি) এবং নারী কল্যাণমূলক বিভিন্ন গল্প-উপন্যাস প্রকাশের পরমা ফলশ্রুতি হল মহিলা-কবিদের আবির্ভাব। এইসব কবিদের মধ্যে মধুসূদনের ভ্রাতুস্পুত্রী মানকুমারী বসু সহজাত কবি-প্রতিভা নিয়ে বাংলা কাব্যের জগতে আবির্ভূতা হয়েছিলেন। কাব্যের শ্রেণী ও বিষয়: সমালোচক শ্রীযোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত মানকুমারীর গীতি- কবিতাসমূহকে কয়েকটি … Read more

ছোটগল্পকার রবীন্দ্রনাথের সার্থকতা নির্ণয় করুন | বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্ব সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো এবং তার ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ করো।

রবীন্দ্রনাথের হাতেই বাংলা ছোটগল্পের সার্থক রূপটি পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ‘সাধনা’ পত্রিকায় তিনি ছোটগল্প লিখতে শুরু করেন। তার আগেও অবশ্য তিনি গল্প লিখেছেন। তবে বাংলা ছোটগল্প যে পাশ্চাত্য গল্পের কাছে ঋণী, এমন কি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও এডগার অ্যালান পো-র বিদেশি সাহিত্যিকের সৃষ্টির কথা সাহায্য গ্রহণ করেছিলেন, এ তথ্য প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বাংলা ছোটগল্পের সেই প্রাথমিক … Read more

বাংলা গদ্যে সাহিত্যের বিকাশে অক্ষয় কুমার দত্তের সার্থকতা বিচার করুন।

বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে অক্ষয় কুমার দত্তের অবদান অক্ষয় কুমার দত্ত বিদ্যাসাগরের মতোই বাংলা গদ্যে ও বাঙালির চিন্তার ক্ষেত্রে তার পরিছন্নতা ও শক্তির সঞ্চার করে দিয়েছেন। সাহিত্য জগতে তার আবির্ভাব কবি হিসেবে কিন্তু গদ্য রচনার সূত্রপাত হয় সংবাদ প্রভাকর পত্রিকার মধ্য দিয়ে। বুদ্ধিদীপ্ততার পৌরুষ তার গদ্যে জ্বলজ্বল করছে। তার রচনার মধ্যে এক যুক্তিবাদী বিজ্ঞাননিষ্ঠ মনই … Read more

বাংলা সাহিত্যে ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের বিচার করুন।

বাংলা সাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬) এক অনন্য জীবনশিল্পী। তিনি বিস্ময়কর প্রতিভা নিয়ে বাংলা সাহিত্যে আবির্ভূত হন ও বিচিত্র সৃজন কর্মের দ্বারা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কল্লোলীয় ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে সাহিত্যরচনা শুরু করেন—মানবমনের গহন গভীর জটিল মুহূর্তকে তুলে ধরেন মনোবিকলন তত্ত্ব দ্বারা মগ্নচৈতন্যের অতলশায়ী বোধকে প্রকাশ করেছেন : চেতনার পরতে পরতে যে … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress