বাংলা কাব্যে মধুসূদন দত্তের অবদানের পরিচয় দিন।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি, নাট্যকার এবং প্রহসন রচয়িতা। মধুসূদন দত্তকে বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও তিনি পরিচিত। তাই তাঁকে বঙ্গ-ভারতীর দামাল পুত্র মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলা হয়। যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে, ২৫ শে জানুয়ারি ১৮২৪ সালে মধুসূদনের জন্ম হয় … Read more

চণ্ডীদাস সমস্যা আলোচনান্তে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ভাষা, অলংকার, ভাব ও রীতির বৈশিষ্ট্যগুলির যথাযথ পরিচয় দিন।

ভাষা: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের অনেক শব্দই আজকের পাঠকের কাছে দুর্বোধ্য ও অর্থহীন বলে মনে হলেও শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে অপভ্রংশের খোলস ছেড়ে বেরোনো চর্যাপদের বাংলা ভাষার জড়তা দূর হয়ে তা সাবলীল ও তুলনায় অনেক গতিময় হয়ে উঠেছে- এ বিষয়ে কবির দক্ষতা ও অপরিসীম। • অলংকার: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের বহিরাঙ্গিক কারুকৃতি ও লক্ষণীয়। কবি বড়ু চন্ডীদাস তাঁর এই কাব্যে উপমা,রূপক, উৎপ্রেক্ষা প্রভৃতি অলংকার … Read more

কাশীরাম দাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে, তাঁর অনূদিত মহাভারতের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য বিচার করুন।

কাশীরাম দাসের মহাভারতের গুরুত্ব

ধর্মমঙ্গল কাব্যকে ‘রাঢ় অঞ্চলের জাতীয় মহাকাব্য’ বলা হয় কেন? একজন শ্রেষ্ঠ ধর্মমঙ্গল রচয়িত কাব্য প্রতিভার পরিচয় দিন।

ধর্মমঙ্গল  কাব্যের অন্যান্য কবিরা হলেন ময়ূরভট্ট (ধর্মমঙ্গলের আদিকবি), শ্যাম পণ্ডিত, ধর্মদাস, রামদাস আদক, সীতারাম দাস, যাদুনাথ বা যাদবনাথ পণ্ডিত, খেলারাম চক্রবর্তী ও মানিকরাম গাঙ্গুলি। রাঢ় অঞ্চলের সমাজ ও রাজনীতি এই কাব্যের মূল উপজীব্য হওয়ায় কোনো কোনো সমালোচক এই কাব্যকে “রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য” বলে উল্লেখ করেন। ধর্মমঙ্গল‘রাঢ় অঞ্চলের জাতীয় মহাকাব্য’ বলা বিষয়বস্তুর প্রাচীনত্বে ও বিভিন্ন ধর্মমতের … Read more

বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনতত্ত্ব হলেও চর্যাগীতিতে বাস্তব সমাজ-জীবনের পরিচয় মুদ্রিত।- আলোচনা করো।

‘সহজ’ শব্দের আরেকটি অর্থ হলো যা মানুষের স্বভাবের অনুকূল, আর যা প্রতিকূল তা বক্র। এ অর্থে মনুষ্য-স্বভাবকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা না করে বরং স্বভাবের অনুকূল পথে আত্মোপলব্ধির চেষ্টা করাই সহজিয়ামতের লক্ষ্য। সহজিয়াদের বিশ্বাস, সাধনার যিনি লক্ষ্য তিনি জ্ঞানস্বরূপ; তাঁর অবস্থান দেহের মধ্যে, দেহের বাইরে নয়। সুতরাং দেহকে বাদ দিয়ে তাঁকে পাওয়া যায় না। তাঁকে যুক্তিতর্ক বা গ্রন্থপাঠেও জানা যায় না, জানা যায় … Read more

চৈতন্যোত্তর বৈষ্ণব পদকর্তা গোবিন্দ দাসের পদের বিষয়বস্তু ও কাব্যসৌন্দর্য আলোচনা করে দেখাও তাঁকে কেন ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি বলা হয়।

চৈতন্যোত্তর বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা গোবিন্দদাস কবিরাজ। ষোড়শ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা বলা চলে একাধারে সাধক, ভক্ত ও রূপদক্ষ এই কবিকেই। যৌবনের প্রান্তসীমায় উপনীত হয়ে বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষিত হন গোবিন্দদাস। অতঃপর রূপ গোস্বামীর উজ্জ্বলনীলমণি আয়ত্ত্ব করে বৈষ্ণব রসশাস্ত্র অনুসারে রচনা করতে থাকেন রাধাকৃষ্ণ-লীলা ও চৈতন্য-লীলার পদাবলি। তাঁকে বলা হয় বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য।  জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান … Read more

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে ময়মনসিংহ গীতিকার স্বাতন্ত্র্য নির্দেশ করো।

আমরা বাংলাদেশের মানুষরা খানিকটা গান পাগলা! আমাদের দেশের আনাচে কানাচে কত ধরনের গান যে ছড়িয়ে আছে, এইসব গানে আছে গল্প, আছে চটুলতা, গভীরতা, আবার অতলস্পর্সী স্তব্ধতা। আনন্দ উৎসবে গানের একটা বিরাট ভূমিকা থাকে। আছে সুখের গান, দুঃখের গান, আনন্দের গান… কাজে ব্যস্ত থাকা মানুষও কাজের ফাঁকে ফাঁকে গান গেয়ে আনন্দ পায়। মাঝি নৌকা বাইতে বাইতে … Read more

অষ্টাদশ শতাধির সামাজিক পটভূমিকায় রচিত ভারতচন্দ্রের সৃষ্টিতে ওই শতাব্দীর প্রভাব কতটা পড়েছে  আলোচনা কর ?

যে সকল অসাধারণ প্রতিভাধর কবি-সাহিত্যিকদের হাত ধরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য আজ এত উন্নত ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে, তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে ‘ভারতচন্দ্র রায়’ নামটি বিশেষভাবে স্মর্তব্য। ভারতচন্দ্র রায় তাঁর অসাধারণ লেখনী ও কাব্যপ্রতিভাগুণে হয়ে উঠেছেন বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের পরিসমাপ্তি ঘটে। তিনি এমনই মহান এক কবি, … Read more

ধর্মমঙ্গল কাব্যকে কেন রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলা হয় ? ঘনরাম চক্রবর্তীর ধর্মমঙ্গল কাব্য আলোচনা করে এই মন্তেব্যের যোক্তিকতা প্রমান করো ? 

উত্তরঃ- ধর্মমঙ্গলকে রাঢ়ের জাতীয় কাব্য বলার কারণঃ– ১.রাঢ় বাংলার ইতিহাস-সমাজ-সংস্কৃতির আলেখ্য নির্মাণ। ২.লাউসেনের মতো জাতীয় বীর চরিত্র নির্মাণ। ৩.স্বর্গ ও মর্ত্যের কাহিনিবৃত্ত রচনা। ৪. মহাকাব্যিক বিশালতা, চরিত্রের মহত্ব,আদর্শ ও ধর্মের জয়,অধর্মের পরাজয় প্রভৃতি মহাকাব্যিক পরিবেশ রচনা করেছেন বলে মধ্যযুগীয় মঙ্গলকাব্য ধারায় ধর্মমঙ্গল কাব্যখানি বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী এবং স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল। ফেলারাম চক্রবর্তী এই আখ্যান কাব্যকে ‘গৌড়কাব্য’ হিসাবে আখ্যাত করলেও কথাটা নানা দিক … Read more

চৈতন্যজীবনসাহিত্য রূপে বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত কাব্যটির বিশিষ্ঠতার পরিচয় দাও।

চৈতন্য মহাপ্রভুর অন্যতম পার্ষদ শ্রীবাসের ভ্রাতুষ্পুত্রী নারায়ণীর পুত্র হলেন বৃন্দাবন দাস। গ্রন্থমধ্যে বৃন্দাবন পিতার নাম কোথাও উল্লেখ না করলেও মাতা নারায়ণীর পরিচয় দিয়েছেন। বৃন্দাবনের জন্মকথা অনেকটা রহস্যাচ্ছন্ন। মনে করা হয় কবির জন্ম বর্ধমান জেলার দেনুর গ্রামে । বৃন্দাবন দাসের জন্মসন নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে ঃ (a) দীনেশচন্দ্র সেনের মতে ১৫৩৫ খ্রিস্টাব্দে বৃন্দাবনদাসের জন্ম।(b) সুকুমার … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress