‘বিসর্জন’ নাটকের জয়সিংহ চরিত্র

বিসর্জন (১৮৯০) নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) বহুমুখী প্রতিভার অনন্য সাক্ষর। আচারসর্বস্ব ধর্মের সঙ্গে মানব ধর্মের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি এবং শেষ পর্যন্ত মানব ধর্মের জয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন এ নাটকে। এ নাট্যসাহিত্যে বেশকিছু চরিত্র রয়েছে। তন্মধ্যে জয়সিংহ অন্যতম চরিত্র। এ চরিত্রের মধ্যে নায়কের সব গুণ রয়েছে। তাই এটিকে নায়ক চরিত্রের মর্যাদা দেওয়া যায়। … Read more

‘মানুষের ধর্ম’ গ্রন্থ অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক মননের পরিচয় তুলে ধরুন।

‘মানুষের ধর্ম’ বইতে রবীন্দ্রনাথ মানুষের ভিতর দুরকম ধর্মের অস্তিত্বের কথা বলেছেন। প্রথমটি নিতান্ত প্রাকৃতিক তথা জৈব ধর্ম, যে-ধর্মে শারীরিক প্রয়োজনই সব। মানুষের পূর্বপুরুষ অতীতকালে চার হাত-পায়ে চলাফেরা করেছে। উবু হয়ে চলবার কালে তাদের দৃষ্টি কেবল নিচের দিকেই নিবদ্ধ থেকেছে। তার পরে এক সময়ে মানুষ যখন চলাফেরার কাজ থেকে হাত দুটো মুক্ত করে উঠে দাঁড়াতে পেরেছে, … Read more

‘যোগাযোগ’ বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলোচনা করে উপন্যাসে প্রতিফলিত দাম্পত্য সম্পর্কের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার স্বরূপ উন্মোচন করুন।

‘যোগাযোগ’ বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলোচনা করে উপন্যাসে প্রতিফলিত দাম্পত্য সম্পর্কের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার স্বরূপ উন্মোচন করুন।

‘প্রেম আর প্রতাপ’-এই দুই ভাবের দ্বন্দ্ব ‘বিসর্জন’ নাটকে দেখা যায়। নাটক অবলম্বনে তা আলোচনা করে বুঝিয়ে দিন |

অথবা, রবীন্দ্রনাথের ‘বিসর্জন’ পাঠ বিশ্বাসের রাজনীতি বনাম বিশ্বাসের আধ্যাত্মিক নীতি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিসর্জন’ নাটকে বরাবর এই দুটি ভাবের বিরোধ বেধেছে- প্রেম আর প্রতাপ। রঘুপতির প্রভুত্বের ইচ্ছার সঙ্গে গোবিন্দমাণিক্যের প্রেমের শক্তির দ্বন্দ্ব বেধেছিল। রাজা প্রেমকে জয়যুক্ত করতে চান, রাজপুরোহিত নিজের প্রভুত্বকে। নাটকের শেষে রঘুপতিকে হার মানতে হয়েছিল। তাঁর চৈতন্য হল, বোঝবার বাধা দূর হল, প্রেম হল … Read more

প্রাচীন ভারতীয় নাটক ও তার প্রকৃতির পরিচয় দিন।

থিয়েটার বলুন বা নাটক অথবা যাত্রা- মঞ্চ হল তার অপরিহার্য অঙ্গ। যদিও মঞ্চ ছাড়া উন্মুক্ত স্থলে ‘পথ নাটিকা’ হয়। কিন্তু মঞ্চ হল মঞ্চ, তার গরিমাই আলাদা। আর এই মঞ্চেরও প্রকারভেদ আছে, যা শুনলে আপনারা আশ্চর্য হয়ে যাবেন। ধরুন যাত্রার মঞ্চ- যা কিনা তিন দিক খোলা হয়। আবার থিয়েটারের স্থায়ী মঞ্চ শুধু সামনের দিক খোলা, ডাইনে … Read more

বাংলা ছোটোগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করুন | অথবা  বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্ব সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো এবং তার ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ করো।

ছোটোগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান: রবীন্দ্রনাথের হাতেই বাংলা ছোটগল্পের সার্থক রূপটি পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ‘সাধনা’ পত্রিকায় তিনি ছোটগল্প লিখতে শুরু করেন। তার আগেও অবশ্য তিনি গল্প লিখেছেন। তবে বাংলা ছোটগল্প যে পাশ্চাত্য গল্পের কাছে ঋণী, এমন কি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও এডগার অ্যালান পো-র বিদেশি সাহিত্যিকের সৃষ্টির কথা সাহায্য গ্রহণ করেছিলেন, এ তথ্য প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বাংলা … Read more

উপন্যাসে নারীবাদ প্রসঙ্গে একটি নাতিদীর্ঘ আলোচনা করুন।

তত্ত্ব ও আন্দোলনের সঙ্গে উপন্যাসের যে অনিবার্য সংযোগের কথা আমরা বলছি নারীবাদ সেই প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। এই মানবীবিদ্যার চোখ দিয়ে আমরা জগৎ ও জীবনকে নতুন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের আলোয় বর্তমানে আলোকিত হতে দেখি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফেমিনিজম্ বা নারীবাদ নারীর পক্ষ নিয়েই যে শুধু কথা বলে এমন নয়। এই মতবাদ নারীর জন্য একটি নিজস্ব … Read more

‘রক্তকরবী’ নাটকের নন্দিনী চরিত্র বিশ্লেষণ করুন।

“রক্তকরবী” নাটকের নন্দিনী চরিত্রটি মূলত বিশ্লেষণাত্মক এবং সামাজিক বিমুক্তির প্রতি তার সংশ্লিষ্টতা দেখানো হয়েছে। এই নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার রচনা “রক্তকরবী” এর আধারে নির্মিত হয়েছে। নন্দিনী নাটকে একটি ক্রিয়াশীল এবং সমাজের প্রতি আত্মবল দেখানো হয়েছে। তার চরিত্রে আছে বিভিন্ন মানবীয় দৃষ্টিভঙ্গি, যা তাকে একজন শক্তিশালী এবং উদাত্ত চরিত্রে পরিণত করে। নন্দিনী একজন স্বাধীন আত্মা, … Read more

en_USEnglish
Powered by TranslatePress